রেসিপিঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে চটপটি তৈরি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার ,১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। এজন্য আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করে আর সেগুলোকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। হঠাৎ করে কিছুদিন চটপটি খেতে ইচ্ছা করছিল তাই চিন্তা করলাম চটপটি তৈরি করি আর একই সাথে সেটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা ও হয়ে যাবে। এবার আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি একটি চটপটি তৈরির পোস্ট।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | ডাবলি ডাল |
২ | আলু |
৩ | কাঁচামরিচ |
৪ | পেঁয়াজ |
৫ | ডিম |
৬ | চটপটি মসলা |
৭ | তেঁতুল |
৮ | ফুসকা |
ধাপ-১
প্রথমে আমি দুই কাপ ডাবলি ডাল নিয়েছি।ডাল গুলো বিশ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখেছিলাম । ডালগুলো ভালোভাবে ভিজে গেলে একটি প্রেসার কুকার নিয়ে ডাল গুলো দিয়ে এক কাপ পানি দিয়ে দিলাম।
ধাপ-২
এরপর প্রেসার কুকারের মধ্যে এক চামচ লবণ ও এক চামচ হলুদ গুঁড়া দিলাম। সাথে দুইটা আলু কুচি কুচি করে কেটে দিলাম।
ধাপ-৩
তারপর ১০ মিনিট জ্বাল করে সেগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিলাম।
ধাপ-৪
ডাল ও আলু গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে আমগুলো আমি ভালোভাবে গলিয়ে ডালের সঙ্গে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ-৫
এরপর ডাল গুলোর মধ্যে পরিমাণমতো কাঁচা মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি ও চটপটি মসলা দিলাম। এখানে আমি দুই চামচ মসলা ব্যবহার করেছি। তাছাড়াও সাতটা ফুচকা গুঁড়ো করে দিয়েছে।
ধাপ-৬
এরপর একটি ডিম কুচি করে কেটে দিয়েছি।
ধাপ-৭
এগুলো তৈরি করার আগে আমি কিছুটা পাকা তেঁতুল ভিজিয়ে রেখেছিলাম। তেঁতুল গুলো ভালোভাবে ভিজে গেলে সেগুলো পানির সাথে গুলিয়ে বিচি গুলো ফেলে দিলাম। তারপর এক চামচ বিট লবণ দিয়ে তেঁতুলের টক তৈরি করে নিলাম।
ধাপ-৮
এরপর টক গুলো আমি চটপটি তৈরির মধ্যে দিয়ে দিলাম। তারপর ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ-৯
বাড়িতেই চটপটি তৈরি করার এই পদ্ধতিটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি একজন গৃহিণী। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যখনই সময় পাই এজন্য আপনাদের মাঝে আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করে থাকি। এছাড়াও রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নানা ধরনের চিত্র অঙ্কন করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপু আপনি খুবই লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন। চটপটি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। কিন্তু কখনো ঘরে তৈরি করা হয়নি। আমার কাছে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে তাই ঘরে তৈরি করা হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চটপটি তৈরি করেছেন। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তাহলে এভাবে একদিন বাড়িতে চটপটি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভীষণ ভালো লাগে আপু।
বেশ কিছুদিন ধরে চটপটি খেতে ইচ্ছা করছে তাই হঠাৎ করেই নিজে বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চটপটি তৈরি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার তৈরি চটপটি রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। চটপটি খাবারটি আমারও ভীষণ পছন্দের। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সবার খুব লোভনীয় একটি রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আসলে এই মজাদার খাবার গুলো বাড়িতে তৈরি করলে সবাই একসাথে মজা করে খাওয়া যায়। আর খাবারটাও বাহির থেকে পুষ্টি সম্পূর্ণ হয় বলে আমি মনে করি। আজ আপনার বানানো চটপটিটি দেখেই মনে হচ্ছে যে,অনেক ভালো হয়েছে।আর এর পুরো প্রসেসটি সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
বাড়িতে এভাবে করলে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে মজা করে খাওয়া যায় আপু।
আপনার রান্নার দক্ষতা আছে বলতে হবে, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চটপটি তৈরি করেছেন আর কিভাবে এই চটপটি রেসিপি ঘরে বসে তৈরি করা যায় সেটা পর্যায়ক্রমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সব মিলিয়ে অনেক লোভনীয়ভাবে পরিবেশন করেছেন আপু শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
চেষ্টা করছি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
চটপটি আমার সব থেকে ফেভারিট একটা খাবার। আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমার পছন্দের খাবারটা তৈরি করেছেন দেখেই তো আমার অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে এরকম ভাবে চটপটি তৈরি করলে আসলেই খুব মজাদার হয় যা খেতে ভালো লাগে। আমিও কয়েকবার তৈরি করেছিলাম ঘরোয়া পদ্ধতিতে চটপটি। বাহিরে গেলেও চটপটি দেখলে আমি খাওয়ার চেষ্টা করি। অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে আপনার তৈরি করা এই চটপটি
নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছিলেন।
জি আপু চটপটি রেসিপিটা সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আমার কাছে চটপটি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাই যখনই ইচ্ছে হয় চটপটি তৈরি করে বাড়িতে খাওয়া হয়।
চটপটি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার তৈরি চটপটি দেখে খুবই ভালো লাগছে। তাছাড়া দেখে মনে হচ্ছে খুবই চটপটি রান্না বেশ সুস্বাদু হয়েছে। আসলে ঘরে তৈরি সব জিনিস অনেক ভালো হয়। যদিও বাইরের তৈরি চটপটির থেকে ঘরের তৈরি চটপটি খেতে কম স্বাদ লাগে কিন্তু গুণগত মানটা অনেক বেশি ভালো হয়। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর ভাবে চটপটি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকভাবে তৈরি করতে পারলে বাইরের থেকে ঘরের তৈরি চটপটি বেশি ভালো লাগে ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চটপটি তৈরীর বর্ণনা গুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এভাবে চটপটি তৈরি করে খাওয়ার মজাই আলাদা। চটপটি তৈরিতে তেতুলের ব্যবহারটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আমার কাছে কেন যেন বাইরের কেনা চটপটির থেকে ঘরে বানানো চটপটি খেতে বেশি ভালো লাগে। কিন্তু চটপটি বানানো ঝামেলার মনে হয়। আপনার চটপটি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এত লোভনীয় লাগছে দেখতে। অনেকদিন চটপটি বাসায় বানানো হয় না। আপনার বানানোর পদ্ধতি দেখে শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু বাড়িতে চটপটি তৈরি করা একটু ঝামেলা। সবকিছু গুছিয়ে তৈরি করে আর খেতে ইচ্ছে করে না। ধন্যবাদ আপু।
আসলেই সেদিনের চটপটি টা খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। বাজার থেকে কিনে খাবার থেকে যদি এভাবে নিজের বাড়িতে রান্না করে খাওয়া হয় তাহলে খেতেও সুস্বাদু লাগে আবার খরচ ও অনেক কম হয়।
কি বলেছেন এভাবে বাড়িতে তৈরি করা হলে যখন ইচ্ছে তখন তৈরি করে খাওয়া যায়।
আপনি আজকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে লোভনীয় চটপটি তৈরি করে নিয়েছেন দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা। চটপটি কিন্তু অনেকেরই পছন্দের। আমারও ভালো লাগে চটপটি খেতে। চটপটি খেতে ইচ্ছে করছিল বলে নিজেই ঘরে তৈরি করে নিয়ে ভালো করেছেন। বাহিরে থেকে না খেয়ে নিজে যদি তৈরি করে খাওয়া হয় তাহলে শরীরের জন্য ও ভালো। এরকম মজাদার রেসিপি দেখলে সত্যি খুবই খেতে ইচ্ছে করে। আপনি লোভ লাগিয়ে দিয়ে কিন্তু একেবারেই ভালো করলেন না। নিজে তো খেয়েছেন আমাদেরকে লোভ লাগিয়ে দিয়েছেন।
আপনার কমেন্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।