রেসিপি:ভাপা পিঠা তৈরি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির সকল বন্ধুগণ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি বেশ ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভাল আছি। আজকে আপনাদের মাঝে আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে রেসিপি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। তাই আজকে একটি মজাদার পিঠার রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি। এখন শীতকাল আসছে। কৃষকের ঘরে নতুন ধান উঠবে। আর তার সঙ্গে পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যাবে সব জায়গাতেই। তাই আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে ভাপা পিঠা কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা শেয়ার করব। যদিও এটা আমার নিজ হাতে প্রথম তৈরি করা ভাপা পিঠা। তাই ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তো চলুন শুরু করা যাক আজকের রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | ময়দা |
২ | চিনি |
৩ | নারিকেল |
৪ | দুধ |
৫ | লবণ |
ধাপ-১
প্রথমে আমি কিছু চালের ময়দা নিয়ে নিলাম।
ধাপ-২
তারপর আটার মধ্যে স্বাদমতো লবণ দিলাম।
ধাপ-৩
এরপর লবণ গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পরিমাণ মতো দুধ দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৪
তারপর আটার মধ্যে পরিমাণ মতো নারকেল কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৫
এরপর স্বাদমতো চিনি দিলাম।
ধাপ-৬
তারপর সবকিছু অনেকক্ষণ ধরে নাড়াচাড়া করতে থাকলাম। যখন সম্পূর্ণ মিশ্রণ হয়ে গেল তখন আমার ভাপা পিঠে তৈরির জন্য ময়দাও তৈরি হয়ে গেল।
ধাপ-৭
এরপর আমি ছোট্ট একটি মাটির তৈরি সাড়া নিলাম। সেটার মধ্যে ভাপা পিঠার ময়দা সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিলাম।
ধাপ-৮
তারপর চুলায় একটি বড় হাড়ি দিয়ে তার মধ্যে কিছু পানি দিয়েছিলাম এবং হাড়ের উপরে ভাপা পিঠা ছাঁকার জন্য মাটির তৈরি ছাঁকনি দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ জাল দেবার পরে পানিটা গরম হয়ে গেলে ভাপ উঠছিল।
ধাপ-৯
তারপর মাটির সাড়াতে তৈরি করে রাখা পিঠাটি একটি পাতলা জাল দিয়ে ঢেকে নিলাম।
ধাপ-১০
এরপর পিঠাটি ছাঁকনির ওপর বসিয়ে দিলাম। আর একটা বড় মাটির তৈরি সাড়া দিয়ে পুরো ছাঁকনি টি ঢেকে দিলাম।
ধাপ-১১
তারপর ঢেকে কিছুটা জাল দেবার পারে পিঠাটি তৈরি হয়ে গেল। এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পিঠাটির মধ্যে দিয়েও ভাপ বের হচ্ছে।
ধাপ-১২
আর একই রকম করে আমি অনেকগুলো পিঠা তৈরি করে নিলাম। পিঠাটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আমার আজকের তৈরি ভাপা পিঠা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাবেন। আশা করছি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে ।আজকে এই পর্যন্তই শেষ। আগামী দিন নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন সবার জন্য শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।
শীতকালে এই পিঠা ঘরে ঘরে তৈরী করা হয়। এখন তো হালকা হালকা শীত চলেই এসেছে। খুব ভালো লাগলো আপনার ভাপা পিঠার রেসিপি দেখে।কিন্তু আমার কাছে খেজুরের গুড়ের ভাপা পিঠা খেতে বেশী মজা লাগে।
আমার কাছেও খেজুরের গুড়ের ভাপা পিঠা খেতে ভালো লাগে। কিন্তু এখনো খেজুরের গুড় সেই ভাবে বাজারে ওঠেনি ।তাই আপনাদের মাঝে চিনি ব্যবহার করে এই ভাপা পিঠা রেসিপি টা শেয়ার করলাম।
শীত যেহেতু চলেই আসছে তাহলে চারিদিকে এমনিতেই শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যাবে। ভাপা পিঠের খেতে ইচ্ছে করছে হঠাৎ করে দেখায়।
ভাপা পিঠা তৈরি করা তো অনেক সহজ। তাই তৈরি করে এখনি খেয়ে নিন আপু।
কি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু বলেন তো। আমার তো এখন ধোঁয়া উঠানো ভাপা পিঠা খেতে ইচ্ছে করছে। আমি ভাপা পিঠা খুব পছন্দ করি।শীত যদিও আমার শহরে এখনো আসেনি।কিন্তু পিঠা দেখে তো আর সহ্য হচ্ছে না।কবে যে বানাবো। যাক দেখেই শান্তি পেলাম।ধন্যবাদ মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
কালকে বানিয়ে ফেলুন আপু। কেননা ভাপা পিঠা তৈরি করা অনেক সহজ।
আপু শীত আসতে না আসতেই শীতের পিঠা শুরু করে দিলেন।আপনার পিঠা গুলো দেখে লোভ লেগে গেল। আসলে এখনো খেজুরের গুড় পাওয়া যায় নি এখানে। যাইহোক আপু আপনি প্রথম হিসেবে বেশ সুন্দর পিঠা তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খেজুরের গুড় নেই তো কি হয়েছে চিনি দিয়েই তৈরি করে ফেলুন মজার মজার ভাপা পিঠা। ধন্যবাদ আপু।
বাহ শীতের শুরুতেই আপনি ভাপা পিঠা খাওয়া শুরু করে দিয়েছেন আপু।শহর অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ দোকান থেকে পিঠা ক্রয় করে খায়। তবে গ্রামে ঘরে ঘরে পিঠা উৎসব পালন হয়। ভাপা পিঠার তৈরির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।অনেক অনেক ধন্যবাদ পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শীতকাল আসলে বেশ ভালোই লাগে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে বেশ মজার হয়। শীতকালে খেতে যেমন মজা লাগে কিন্তু অন্য ঋতুতে তত বেশি ভালো লাগে না। আপনি তো দেখছি শীতকাল শুরু হওয়ার আগেই ভাপা পিঠা খাওয়া শুরু করে দিলেন। সবাইকে ভাপা পিঠা খাওয়ার লোভ লাগাই দিলেন আপনি। বেশ মজার করে তৈরি করলেন। অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শুধু পিঠা না আপু সব ধরনের খাবার খেতে শীতকালে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়াও শীতের সকালটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
শীতকাল আসলেই জানো এই ভাপা পিঠা চারিদিকে তৈরি করার ধুম পড়ে যায়। আমার কাছে তো এই ধরনের ভাপা পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাপা পিঠা তৈরীর পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তবে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে রাস্তার পাশে যে ভাপা পিঠাগুলো তৈরি করে না ছোট ছোট করে সেগুলো।
শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই সবার পিঠে,পুলি খাওয়ার ধুম পরেছে।অসাধারণ সুন্দর সুস্বাদু এই ভাপা পিঠা। গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে খুব মজা লাগে।এক কথায় লোভনীয় পোস্ট করেছে আপনি।ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ আপু ।আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
হেমন্তকাল চলমান থাকলেও আমরা শীতের আবহাওয়াটা বেশ ভালই বুঝতে পারছি।
শীতকাল মানেই বিভিন্ন ধরনের পিঠা আর পিঠাপুলির উৎসব।
শীতের শুরুতেই আপনি ভাপা পিঠার রেসিপি প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখেই তো লোভ হচ্ছে এসে করছে তুলে খেতে শুরু করি।
দেখেই তো আমার অনেক লোভ হচ্ছে আপু। ভাপা পিঠা আমার অনেক পছন্দের। তবে এটা আরেকটু শীত পড়লে বেশি ভালো লাগে। কিন্তু আপনি এখনই তৈরি করে ফেলেছেন ভাপা পিঠা টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন আপু। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে ধোয়া উঠা গরম ভাপা পিঠা ইস ভাবলেই কেমন যেন লাগছে।