পরীক্ষা শেষে খাওয়া-দাওয়ার কিছু মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। পরীক্ষা শেষে খাওয়া-দাওয়ার কিছু মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

PhotoCollage_1692721577218.jpg

আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। জীবনের ছোটখাটো কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারলে খুবই ভালো লাগে মনের মধ্যে একটা শান্তি পাই। সেরকমই আজকে য কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি। গিয়েছিলাম কালকে কলেজে প্রথম দিন পরীক্ষা ছিল। আজকের দ দুই বছর বই এর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। পরীক্ষার আগের দিন রাতে বই সাথে শুভদৃষ্টি হল এবং সেখান থেকে আবার নতুন করে সম্পর্ক শুরু হলো। যাইহোক এক রাতে মানুষের কতই পড়তে পারে কিছুই পড়তে পারেনি যাই কিছু পড়েছি সেটা পরীক্ষার প্রশ্নের আশেপাশে দিয়েও আসেনি। প্রথমে আশেপাশে সামনে পেছনে যারা ছিল তাদের সাথে কথাবার্তা বলে নিলাম যাতে কিছু অন্তত দেখায়।

IMG-20230822-WA0016.jpg

যাই হোক খুব ভালো লেগেছে পরীক্ষা দিতে অনেক দিন সবাইকে দেখলাম।পাশের মেয়েটাও অনেক দেখিয়েছে। তার সাথে এত ভাব হয়েছে একদিনে যে বান্ধবী হয়ে গেলাম। কলেজ থেকে আসার সময় তার সাথে এসেছি নতুন বান্ধবী পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে মজার একটা বিষয় আপনাদের সাথে বলি পরীক্ষায় লিখতে লিখতে যখন আর কিছু মাথায় আসছিল না। তখন বান্ধবী ললিতার কথা মনে পড়ছিল। মাথার মধ্যে শুধু বান্ধবী ললিতা কথাই ঘুরছিল। আসলে মনে পড়তো না কারণ পেছনে ছেলেগুলো পরীক্ষা না দিয়ে বসে বসে বান্ধবী ললিতা গানটি গাইছিল সেজন্য মনে পড়ল। যাই হোক কলেজ থেকে অনেকটা দূর পর্যন্ত হেঁটে এসেছি এত গরম ছিল এত রোদ ছিল রাস্তায় হাট যাচ্ছিল না। তারপর আমরা তিন বান্ধবী ছিলাম তার মধ্যে একজনের তিনজনের কাছে ছাতা ছিল। এক ছাতায় তিন বান্ধবী এসেছি। এসে হাজবেন্ডের কাছে গেলাম সে বলল কিছু খাওয়া দাওয়া করার জন্য গেলাম আমাদের প্রিয় রেস্টুরেন্টে।

IMG-20230822-WA0011.jpg

সেখানে গিয়ে টেবিলে বসার পরে দেখলাম খুব সুন্দর একটা নীল গোলাপ। খুবই সুন্দর লাগছে লাগছে যদি আর্টিফিশিয়াল গোলাপটাও দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল। যেখানে বসে প্রথমে ঠান্ডা কিছু খাওয়ার কথা বললাম। এই রেস্টুরেন্ট আমাদের দুটো জিনিসই প্রিয় জিনিস। যখনই যাই দুটো জিনিস খায় সেটা হচ্ছে একটা নুডুলস আরেকটা হচ্ছে লাচ্ছি। এই গরমে নুডুলস খাওয়া সম্ভবই না তাই লাচ্ছি খাওয়ার কথা বললাম। আর অন্য কিছু কি খাব সেটা ভাবনা চিন্তা করতে করতে মনে পড়লো কেক হওয়া যাক কিন্তু আমার খুবই পছন্দের। এদিকে তো বান্ধবীর প্রেমিকের গল্প শোনা ছিলাম হাসবেন্ডকে। বলছিলাম যে আমার এক বান্ধবী তার প্রেমিককে নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে ।সে কলেজের ভিতরে পরীক্ষা দিয়েছে তার প্রেমিক ৩ ঘন্টা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। কি ভালোবাসা এত ভালোবাসা দেখে তো আর সহ্য হয় না। যাইহোক রেস্টুরেন্টে বসে একটা ছবি তুলেছিলাম কোন রেস্টুরেন্টে খেতে যাব সেখানে ছবি তুলবো না সেটা তো হয় না।

IMG-20230822-WA0014.jpg

IMG-20230822-WA0013.jpg

এরপর আমাদের লাচ্ছি আর কেক চলে এসেছে। খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম খুবই খিদে পেয়েছিল খেয়ে খুবই ভালো লেগেছে খুবই শান্তি পেলাম। কারণ এত গরমের মধ্যে ঠান্ডা কিছু না খেলে যেন খুবই খারাপ লাগে। সেখানে লাচ্ছি খাওয়ার পর ও বাড়িতে এসে ঠান্ডা ঠান্ডা লেবু শরবত খেয়েছি দুই গ্লাস। মা বানিয়ে রেখেছিল আগে থেকে কারণ আমার আম্মু জানে যে আমি বাইরে থেকে গেলে ঠান্ডা কিছু খেতে চাই। যাই হোক এখানকার লাচ্ছি কিন্তু আগে ভালো লাগতো তুমি এখন আমার খুবই প্রিয় হয়ে উঠেছে। খুবই মজার ব্যাপার কি জানেন কলেজ গিয়েছে বান্ধবীদের সাথে দেখা হয়েছে কিন্তু ফুচকা খাইনি। প্রথমত হচ্ছে গরম আর তাছাড়া কলেজের পাশে যেখানে ফুচকা বিক্রি করা হয় গতবার খেয়েছিলাম এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম এত জঘন্য খেতে কি আর বলবো। রেস্টুরেন্টে ফুচকা বিক্রি করা হয় সেখানে গিয়ে খাব ভেবেছিলাম কিন্তু বান্ধবী তো প্রেমিক নিয়ে ব্যস্ত । বান্ধবীর প্রেমিককে দেখে আমি দশ হাত দূরে ভেগেছি তাদের থেকে। কারণ কলেজ ড্রেস পরা তার মধ্যে প্রেমিক নিয়ে রাস্তায় হাঁটছে এই দৃশ্য যদি কোন সিসি ক্যামেরা চোখে পড়ে তাহলে তো কলেজ এর ফেইসবুক গ্রুপের ভাইরাল হয়ে যাবে।

IMG-20230822-WA0009.jpg

IMG-20230822-WA0017.jpg

এরপর কিছুক্ষণ খাওয়া দাওয়া শেষ করে কথাবার্তা বললাম এরপর আমি গাড়িতে করে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। আর পরীক্ষার কথা কি বলব পরীক্ষায় যা পেরেছি বানিয়ে বানিয়ে লিখেছি। মনে হয় না পাস করব তারপরও কোন টেনশন নেই কারণ একদিন পড়ে তো আর কেউ পাশ করতে পারে না। যা আশেপাশ থেকে দেখে করেছি তাতে মনে হয় না পাস উঠবে। যাই হোক তাতে কোন আফসোস নেই। কারণটা ফাইনাল পরীক্ষা না টেস্ট পরীক্ষা । পরীক্ষা শেষে খাওয়া দাওয়া করার কিছু মুহূর্ত এবং কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা। আশা করি আপনাদের কাছে আমারই পোস্টটি করে ভালো লাগবে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Sort:  
 last year 

আপনার পোস্ট পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ, পরীক্ষার হলে বান্ধবী ললিতা এটা চমৎকার বিষয়। পরীক্ষার হলে তাহলে চমৎকার বিনোদন হয়েছে।

 last year 

হ্যাঁ ভাইয়া খুব ভালোভাবে পরীক্ষাটা দিয়েছি অনেক মজা করে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year (edited)

বান্ধবীর ললিতার কাহিনীটি পড়ে খুব মজা পেলাম আপু।সারা জীবন চিল করে পরীক্ষার আগের রাতে পড়াটা আসলে একটা মজার বিষয়।যাইহোক পরীক্ষা শেষ করে আপনার হাসবেন্ডের সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার অনুভুতিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 last year 

ছোটখাটো কিছু অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

পরীক্ষার হলে গিয়ে এইরকম একটি বান্ধবী পেলে কার না ভালো লাগে। আসলে অনেকের মধ্যে পরীক্ষার হলে গিয়ে অহংকার বেড়ে যায় যেটা আমার একদম পছন্দ না। যাই হোক অনেকদিন পর পরীক্ষা দিতে গিয়ে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়েছে তারপর খাওয়া-দাওয়া ভালো একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন অনেক ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

হ্যাঁ ভাইয়া এরকম অনেকেই আছে তবে আমার পাশেরটা খুবই ভালো ছিল । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপু আরেকটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করবেন।ব্লগটা অনেকেই পরে তো সো এখানে অনেক ধরনের মানুষ আছে তাই একটু গুছিয়ে লিখলে সবার সুবিধা হতো।

নতুন বান্ধবি পেয়েছেন আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা উপদেশ দেওয়ার জন্য। আসলে সব সময় মন খুলে ব্লগিং করার চেষ্টা করি। তবে আপনি একদমই ঠিক বলেছেন অনেক ধরনের মানুষ রয়েছে কে কখন কোন বিষয় নিয়ে কি চিন্তা করে সেটা তো আর বলা যায় না। অবশ্যই এবার থেকে খুবই গুছিয়ে লিখার চেষ্টা করব। আমাদের সবার পোস্টেই অনেক ভুল হয় কিন্তু আমরা কমেন্ট বাড়ানোর জন্য কমেন্ট করে চলে যাই কারো ভুল ধরিয়ে দি না কেউ ।আপনার এই বিষয়টা দেখতে পেয়ে আমার খুব ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে আবারো।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58544.56
ETH 2629.02
USDT 1.00
SBD 2.44