বন্ধুর বিয়ের মজার ঘটনা।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে ঘটনা শেয়ার করব। আজকে আমি আপনাদের সাথে বন্ধুর বিয়েতে যাওয়ার মজার একটি ঘটনা শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সবার সাথে আমার একটা বন্ধুর বিয়ের গল্প শেয়ার করব। অনেকদিন আগের ঘটনা আমার সেই বন্ধু একটি মেয়েকে অনেক বেশি পছন্দ করে। পরবর্তীতে ওই বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাবনা পাঠানো হয় কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে তার ফ্যামিলির তার পরিবারের কেউই তা জানে না। পরিবারের কেউ যেহেতু এ বিষয়ে অবগত নয় সে ক্ষেত্রে প্রস্তাবনা আর কাকে দিয়ে পাঠাবে এ নিয়ে একটু চিন্তিত।
পরবর্তীতে আমরা অনেক বন্ধুরা একসাথে হলাম এবং কিছু বুদ্ধি বের করলাম। এবার আমরা আমাদের বন্ধুদের মধ্য থেকে তার অভিভাবক তৈরি করলাম। আমাদের বন্ধুদের মধ্য থেকে কাউকে বানালাম তার চাচাতো ভাই কাউকে বানালাম তার কাকা এবং কাউকে বানালাম তার মামা এবং বাহির থেকে বয়স্ক আরো দুই একজন ব্যক্তি নিলাম।একজনকে নানা এবং একজনকে দাদা বানালাম।
পরবর্তীতে আমরা সবাই মিলে নির্দিষ্ট একটি তারিখ নির্ধারণ করে ওই বাড়িতে গেলাম বিয়ের প্রস্তাবনা নিয়ে। যেহেতু দুজন দুজনকে আগে থেকেই পছন্দ করত সে ক্ষেত্রে আমাদের তেমনটা জটিলতা হয়নি। আমরা বিয়ের প্রস্তাবনা নিয়ে যাওয়ার পর ওই বাড়ির অনেক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন এবং সবার সাথে কথা বলা শেষ করে বিয়ে পাকাপোক্ত করে ফেললাম।আমরা সবাই মিলে নির্দিষ্ট একটি তারিখ নির্ধারণ করলাম বিয়ের জন্য এবং আমরা আমাদের বন্ধুবান্ধব থেকে অনেকগুলি বন্ধু গিয়ে ওই বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা শুরু করি। সবাই মিলে নির্দিষ্ট তারিখে গেলাম এবং তাদের বিয়েটা সম্পূর্ণ করলাম এবং অনেক খাওয়া-দাওয়া করলাম অনেক মজা করলাম।
তবে বিষয়টি হচ্ছে আমরা যার বিয়ে সম্পন্ন করে আসলাম তার পরিবার এবং তার নিজস্ব কোন অভিভাবক ছিল না। ওই বিয়েতে এবং তারা কেউই এ বিষয়ে অবগত ছিল না। বন্ধুর এমন বিয়েতে গেলাম যেখানে বন্ধুর পরিবারের কেউ তো ছিলই না এমন কি যে বিয়ে করেছে সেও ছিল না। সে বিদেশে থাকে সেজন্য সে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে করেছে। একটা কথা আছে না যার বিয়ে তার হুঁশ নিয়ে পাড়া পড়শীর ঘুমিয়ে এখানেও সেরকম হয়েছে। যার বিয়ে সেও নেই তার পরিবারের লোক ও নেই আমরা বন্ধুবান্ধব নিয়ে তার বিয়েতে গিয়েছি। আমরা বন্ধু ওরা সবাই একসাথে এই উদ্যোগ নিয়ে এ কাজটি সম্পন্ন করেছিলাম।
শ্রেণী | গল্প |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/Farjana47240232/status/1646898870100836355?t=L9G-qM1Wvt-JDvSdFuw6LA&s=19
বিয়ের পুরো ঘটনা পড়ে তো বেশ হাসি পাচ্ছে এমন ঘটনা কি হয়? এমন বিয়ে কিভাবে সম্ভব হল। আপু মেয়ের পক্ষ কি ছেলের পক্ষের বাড়িতে গিয়ে যাচাই বাছাই করেনি?বিয়ে তো হয়ে গেল কিন্তু পরবর্তীতে ছেলের বাড়িতে জানার পরে এই পরিণতিটা কি রকম হয়েছিল জানার জন্য খুব ইচ্ছে হচ্ছে😛😻😍।
আপু এখনো ছেলে বিদেশ থেকে আসেনি। বিদেশ থেকে আসার পর শেষ পরিণতিটা জানা যাবে।
আসলেই ব্যাপারটা ঠিক তেমনি হয়েছে যার বিয়ে তার খবর নাই পাড়া পড়শীর হুশ নাই হাহাহা। বর্তমান সময়ের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক বিয়ে আছে যে বিয়ে গুলো মোবাইলেই সম্পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে দেখা নেই অথচ দুজন দুই প্রান্ত থেকে বিয়ে করে নিচ্ছে, আপনার বন্ধুর বিয়ের মজার ঘটনাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
প্রথমত আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই আমার এই গল্পটি আপনি পড়েছেন। ঠিকই বলেছেন এখন এরকম বিয়ে প্রায়ই দেখা যায়।