রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি ঘুরাঘুরি করার জন্য সেদিন সন্ধ্যার পর বেরিয়েছি। সেদিন বেরিয়ে ছিলাম কোন প্ল্যান ছাড়া রেস্টুরেন্টে খেতে যাব বা ঘুরতে বেরোবে এরকম কোন প্ল্যান ছাড়াই বেরিয়েছিলাম। সন্ধ্যার পর বেরিয়েছিলাম কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস দরকার ছিল যেগুলো না কিনলে নয় সেগুলো কেনার জন্যই বেরিয়েছিলাম। সেগুলো কেনাকাটা করা খুব অল্প সময়ের মধ্যে হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে আমার কি যে হয় জানিনা খুবই কম সময়ের মধ্যেই কেনাকাটা হয়ে যায়। কেনাকাটা শেষ যেহেতু খুবই কম সময়ের মধ্যে হয়ে গেছে ভাবলাম যেহেতু হাতে সময় আছে কিছু টা সময় বাইরে কাটানো যাক।
আমরা যে এলাকার মধ্যে ছিলাম সেই এলাকার মধ্যে কোন ধরনের পার্ক বা ঘোরাঘুরি করার কোন জায়গা নেই বিনোদনের কোন জায়গা নেই। শুধু কিছু ভালো মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখানে খাওয়া দাওয়া করা যায় এতোটুকু। আমরা ভাবলাম আমাদের রেস্টুরেন্টে যাই এবং বাজেটের মধ্যে রেস্টুরেন্টের মধ্যে যাবো এবং কিছু বসে কিছু খাবো। এখানে বসে আমরা মেনু দেখছিলাম সেখানে গেলে আমরা শুধু একটাই জিনিস খাই সেটা হচ্ছে যে মিক্স নুডুলস। সেটা আমাদের অনেক বেশি প্রিয়। আজকে প্রথমে বলে দিয়েছিলাম এখানে মিক্স নুডুলস খাব না কিন্তু অন্য কিছু খাবো আজকে মিক্স খাওয়া যাবে না। যেহেতু মিক্স নুডুলস খাব না তাহলে চিন্তায় পড়ে গেলাম মানে আমাদের কি খাব সেটা ঠিক করতেই অনেকটা সময় লেগে গিয়েছে। তার মধ্যে ও সেখানের ওয়েটার দুইবার এসে জিজ্ঞেস করছিল কি খাব কি খাব আমরা বলছি আমি একটু পরে বলবে।
অবশেষে আমরা ঠিক করলাম আমরা থাই স্যুপ খাব। আমি এর আগে কখনো থাই স্যুপ খাইনি। আমরা ফুল থাই স্যুপ অর্ডার দিলাম তখন ওয়েটার আমাদেরকে বলল ফুল নিলে আপনারা খেতে পারবেন না হাফ নিতে পারেন। তো আমরা বললাম তাহলে তো সেটা আমাদের জন্য অনেক ভালো আমরা তাকে ধন্যবাদ জানালাম কারণ আমি এমনিতে তেমন কিছু খেতে পারি না। এরপর অর্ডার দেওয়ার পর অনেকক্ষণ পর থাই স্যুপ নিয়ে আসলো তার সাথে আমরা ক্রিসপি চিকেন আর সস অর্ডার দিয়েছিলাম। প্রথমবার থাই স্যুপ খেলাম স্যুপ খাওয়ার অভিজ্ঞতা এত বাজে ছিল।
আমি দু-এক চামচ মুখে দেওয়ার পর আর কেন জানি নিচের দিকে নামছিলো না। সেখানে তারা আরো সিদ্ধ করা চিকেন দিয়েছিল চিকেন এমনিতে খুবই মসলাদার চটপটা হলে খাওয়া যায়। কিন্তু সিদ্ধ করা চিকেন আমি এমনিতেই খেতে পারি না তার মধ্যে এক টুকরো সিদ্ধ করা আমার মুখের মধ্যে চলে গিয়েছিল সেটা খাওয়ার পর থেকে তো থাই স্যুপ নিচের দিকে নাম ছিল না। এরপর আমার হাজব্যান্ড কেই পুরো স্যুপ খেতে হল আমারটা তারটা দুটোই খেয়ে তার পেট ফুল ভর্তি। আমি ক্রিসপি চিকেন টা খেয়েছিলাম সেটা খেতে বেশ মজাদার ছিল। দুই ধরনের সস দিয়েছিল একটা টমেটো সস ছিল আরেকটা ছিল সেটা হয়তো অন্যান্য বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করেছিল সেটা খেতে বেশ মজা ছিল।
আমি তো তখনই বলছিলাম আমি কখনো আমার কাছে থাই স্যুপ খাবো না। এরকম ভালো লাগেনা আমার হাসবেন্ড বলছিল আমিও যখন প্রথমবার খেয়েছিলাম তখন আমার কাছে ভালো লাগেনি। তারপর এখন সেটাই ভালো লাগে আমি বললাম আমি আর কখনো খাব না খুবই জঘন্য খেতে। এরপর আমি বলছিলাম তাকে একদিন আমি রেসিপি দেখে তৈরি করব সেটা যদি খেতে ভালো হয় তাহলে নিজে তৈরি করেই খাব রেস্টুরেন্টের থাই স্যুপ খাবো না। এরপর সেখান থেকে খাওয়া দাওয়া করে আমরা বেরিয়ে গেলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। প্রায় অনেকটাই রাত হয়ে গিয়েছিল আর এই ছিল সামান্য ঘোরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
আসলে যখন কেনাকাটা করতে যাওয়া হয় মাঝে মধ্যে কেনাকাটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। আর সেই সময় একটু ঘুরাঘুরি করলেও মনটাও ভালো থাকে অথবা খাওয়া-দাওয়া করলে। আপনি আর ভাইয়া রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো। থাই স্যুপ আমার কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম এটা অনেক জঘন্য খেতে। ক্রিসপি চিকেন তা মনে হচ্ছে বেশ মজা করে খাওয়া হয়েছিল আপনার।
আসলে মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
থাই স্যুপ আমিও যখন প্রথমবার খেয়েছিলাম তখন আমার কাছে একেবারেই জঘন্য লেগেছিল। তবে কিছুদিন আগে অন্য এক রেস্টুরেন্ট থেকে থাই স্যুপ খেয়েছিলাম সেটা অনেকটাই বেটার ছিল। মাঝেমধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটার পর বাড়তি সময় হাতে থাকলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে বেশ ভালোই লাগে।
খাওয়া দাওয়া করতে কার না ভালো লাগে। আমি তো সবসময় বাইরে খেতেই ভালোবাসি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ব্যক্তিগত কেনাকাটার জন্য সন্ধ্যাবেলা বাহির হলেন। মাঝেমধ্যে এমন কিছু দরকার হয় না বাহির হয়েও পারা যায় না। তবে রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো একটা অভিজ্ঞতাই করেছেন।প্রথমবার থাই স্যুপ খেয়ে জঘন্য একটা অভিজ্ঞতা করলেন। হয়তোবা থাই স্যুপ খেতে আপনার কাছে ভালো লাগলো না। তাহলে আপনার ভালোই অভিজ্ঞতাই হল। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।