মা হারা দুই সন্তানের গল্প (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। মা হারা দুই সন্তানের গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

1000028077.jpg

আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গল্প পড়তেই অনেক ভালো লাগে। সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকে যেগুলো আমি পড়ে থাকি এবং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে গল্পের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লাগে ভূতের গল্প। আপনাদের মাঝে আমি অনেক ভূতের গল্প শেয়ার করেছি আগে তা ছাড়া অন্য গল্প গুলো শেয়ার করেছি। আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি নাম হলো মা হারা দুই সন্তানের গল্প। এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমি গত সপ্তাহে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি চলুন বাকি পর্বটি আপনাদের মাঝে আজকে শেয়ার করা যাক।

গত পর্বে আমি গল্পটিতে বলেছিলাম যে ছেলেটি তার সৎ মায়ের উপর রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তার ছোট বোনও ভাইয়ের সাথে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সারারাত বাড়ির বাইরে কাটানোর ফলে মেয়েটির ভীষণ জ্বর উঠে যায় তারা কি করবে বুঝতে না পেরে আবার বাড়িতে ফিরে যায়। বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর সৎ মা দেখে তো অনেক কথাই বলছিল যে এত জেদ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে এখন আবার ফিরে এলে কেন। তখন তাদের বাবা তাদের সৎ মাকে অনেক কিছু বলে থামিয়ে দিল এবং তাদেরকে ঘরে যেতে বলল। তারপর ছেলেমেয়ে দুটোর বাবা ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসে তার মেয়েকে সুস্থ করার জন্য। এদিকে তাদের সৎ মা তার সৎ বোনকে বলছিল দেখছিস তোর সৎ ভাইবোনদের মধ্যে কত আদর যত্ন ভালোবাসা। যতই ভালবাসা থাক আমাকে তো জ্বালিয়ে মারছে।

ওদের এসব নেকামি আমি আর সহ্য করা যাবে না ওদেরকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য কিছু করতে হবে। এ বলে তাদের সৎ মা কোথায় যেন চলে গিয়েছে। ছেলে মেয়ে দুটি আর সৎ বোন আবার খুবই ভাল ছিল তাদের সাথে খুবই সুন্দর করে চলত। এদিকে সৎমা বুদ্ধি করছে কিভাবে দুই ভাই বোনের মধ্যে মায়া মমতা কমানো যায় এবং ঝামেলা করানো যায়। সে ঠিক করলো যে তার সৎ মেয়েকে তার সৎ ছেলে বিরুদ্ধে অনেক কথা বলবে এবং দুই ভাই বোনকে আলাদা করে দিবে। তখন তার সৎ ছেলে যখন বাড়িতে থাকত না তখন তার সৎ মেয়ের কাছে গিয়ে তার ভাইয়ের নামে অনেক কথা বলতো। যে তোর ভাইয়ের কারণে তোর এত জ্বর হয়েছে আমি কি তোর খারাপ চাই নাকি তোকে কি কাজকর্ম শিখতে হবে না সেজন্যই তো বাড়িতে কাজকর্ম করতে বলি আর তোর ভাই কি করলো তোকে বাইরে নিয়ে গিয়ে এখন অসুস্থ করে নিয়ে এলো।

আরে এভাবেই দিনের পর দিন সৎ মা তার ঐ সৎ মেয়েকে নিয়ে সৎ ছেলের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলতে থাকে কানে অনেক বিষ ঢালতে থাকে। আর একটা সময় মেয়েটাও তার ভাইয়ের প্রতি আস্তে আস্তে বিরক্ত হতে থাকে। এরপর একটা সময় ভাইয়ের সাথে অনেক খারাপ আচরণ করতে থাকে। ভাই যত মেয়েটার প্রতি আদর যত্ন দেখাতে সে মেয়েটা তত খারাপ আচরণ করতে থাকে। মেয়েটার জ্বর থাকা অবস্থায় একদিন মেয়েটার বাবা তার বাকি দুই ভাই বোনের জন্য আইসক্রিম নিয়ে এসেছিল। মেয়েটার জ্বর ছিল সেজন্য তার জন্য নিয়ে আসেনি। এই সুযোগে তার সৎ মা বলল যে তোর ভাইয়ের জন্য তোর বাবা তোকে বেশি আদর করে না। এভাবে ছোটখাটো জিনিস দেখিয়ে মেয়েটার মনটা ভাইয়ের প্রতি বিশিয়ে তোলে।

এরপর একদিন ভাই কি একটা কাজ করছিল। ছোট বোন তখন যখন ভাইকে এভাবে খারাপ আচরণ করছিল। তার ভাই অনেকটাই গরম হয়ে বোনকেই মুখে এক চড় মারে। সে চড় মারার পর তার সৎ মায়ে কাজে লাগিয়ে দিল বলল তোর ভাই তোকে মারার চেষ্টা করছে। এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকে। একদিন তাদের সৎ বোন শুনে ফেলে কিভাবে তার মা তার বড় ভাই বোনদের ভিতরে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করছে।তখন সে গিয়ে তার বাবাকে বলে দে। এরপর একদিন তাদের বাবা ও নিজে চোখে সব কিছু দেখে ফেলো।পরে ছেলে মেয়ে তিন জনকে রেখে দিয়ে তাদের মাকে বের করে দেয় বাড়ি থেকে।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Sort:  
 9 months ago 

একজনের মনে অন্যজনের নামে সারাদিন বলতে থাকতে একসময় না একসময় মানুষের মন পাল্টে যায়। তাদের সৎ মা তার সৎ ছেলেমেয়েকে আলাদা করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। ভাগ্য ভালো যে মেয়েটি তার মায়ের কথা শুনে ফেলেছে এবং তার বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার বাবা মহিলাটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়াতে কি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যাই হোক আপু পরবর্তী পর্বে অপেক্ষায় রইলাম।

 9 months ago 

হ্যাঁ আপু আপনি একদমই ঠিক বলেছেন কারণ সব সময় খারাপ কথা বলে গেলে তখন মন পাল্টে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 9 months ago 

ছেলে মেয়ে দুটির সৎ মা তো দেখছি প্রচন্ড খারাপ ছিল। ভাই বোনের মধ্যে খারাপ ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যায়ে সৎ বোন সবকিছু শুনে নিয়েছিল, আর বাবাকে জানিয়ে দিয়ে ভালোই করেছে। তিন সন্তানকে দেখে মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তাদের বাবা ভালোই উচিত শিক্ষা দিয়েছে ওই মহিলাটাকে। আসলে এরকম মানুষকে বের করে দেওয়াটাই সবথেকে ভালো কাজ। মা হারা দুই সন্তানের গল্পের শেষের দিকটা একেবারে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। এত সুন্দর একটা গল্প লিখে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 9 months ago 

এই গল্পের পুরো পর্বটি আপনি পড়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য।

 9 months ago 

আপনি সবসময় অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প লিখে থাকেন। আমি বেশিরভাগ সময় আপনার লেখা গল্পগুলো পড়ে থাকি। আর তেমনি ভাবে এই গল্পটার আগের পর্বটা আমি পড়েছিলাম। সৎ মা দেখছি মেয়েটার কানে ভাইয়ের নামে খারাপ খারাপ কথা বলতো। আর আস্তে আস্তে মেয়েটাও ভাইয়ের প্রতি বিরক্ত হচ্ছিল এবং কি তাকে দেখতে পারত না। তবে তাদের সৎ বোন বিষয়টা জেনে বাবাকে বলে ভালো করেছিল। আর বাবা ও খুব সুন্দর একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, মহিলাটাকে বের করে দেওয়ার। আশা করছি পরবর্তীতে লোকটা তিন সন্তানকে নিয়ে ভালোই ছিল।

 9 months ago 

আপনি বেশিরভাগ সময় আমার গল্পগুলো পড়ে থাকেন জেনে খুবই খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.035
BTC 93813.30
ETH 3144.59
USDT 1.00
SBD 3.15