গল্প:- পরিশ্রমের মাধ্যমে ভাগ্য বদল(পর্ব ২)।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। পরিশ্রমের মাধ্যমে ভাগ্য বদল আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকের গল্প ঠিক আছে একটি অভাগী মেয়ে কিভাবে পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যটাকে পরিবর্তন করেছে সেটা নিয়েই। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্পটি। গ্রামীণ জীবনের একটি সুন্দর পরিবারের গল্প শুরু করব এখন। এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমি আপনাদের মাঝে গত কয়েকদিন আগে শেয়ার করলাম। গল্পটির বাকি অংশ আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। গত সপ্তাহে শেয়ার করেছিলাম যে পর্যন্ত সেখান থেকেই শুরু করছি আজকে। বাড়িতে মা আর মেয়ে অপেক্ষা করছে স্বামী স্ত্রী দুজনেই মাঠে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যায়। মানে দুজনেই তো অপেক্ষা করে রয়েছে কখন ছেলে বৌ আসবে। এদিকে গ্রামবাসী হসপিটাল থেকে যখন মৃত ঘোষণা করা হয় তখন তারা তাদের বাড়ির দিকেই তাদেরকে নিয়ে যায়।
হঠাৎ করে কি থেকে কি হয়ে গেল তারা যেন কিছুই বুঝে উঠতে পারল না। এদিকে দাপন কাপনেরও কোন মানুষজন নেই যে কিছু করবে গ্রামবাসী মিলে তাদের শেষ কাজ সম্পন্ন করল। এদিকে বুড়ো মা আর মেয়ে মিলে তো নাজেহাল অবস্থা। কিভাবে তাদের সংসার চলবে এই ছোট্ট বাচ্চাটা কে কিভাবে এই বয়স্ক দাদি মানুষ করবে সেই চিন্তায় দাদিরও রয়েছে। তাছাড়া গ্রামবাসীরাও রয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসী অনেক বেশি ভালো ছিল। গ্রামের সবাই তাদের খোঁজখবর নিতে তাদেরকে বিভিন্নভাবে উপকার করত। এভাবে কিছুদিন কাটে থাকার পর তার দাদি কিছুটা শোক সামলে যখন নাতনির দিকে তাকায় দেখে যে মেয়েটাও যেন একেবারে নিস্তেজ হয়ে গেছে।
তখন দাদি আবার সিদ্ধান্ত নেয় যে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা উচিত। এভাবে তো আর জীবন কাটে না। তাদেরকে লড়াই করেই এখন দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে হবে। এভাবেই দিনের পর দিন দাদি মেয়েটাকে আগলে রাখে স্কুলে পাঠায়। এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকে দাদি মেয়েটাকে স্কুলে পাঠায়। মেয়েটাও পড়ালেখায় অনেক বেশি ভালো ছিল। এভাবে মেয়েটাও আস্তে আস্তে লেখাপড়া করতে থাকে। এভাবে দিন কাটতে থাকে আস্তে আস্তে মেয়েটাও অনেক বড় হয়ে যায়। আর গ্রামের বিষয় তো সবারই জানা একটা মেয়ে যখন বড় হয় তখন সবাই বিয়ের জন্য পাগল করে দেয়।
মেয়েটা যখন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে তখন মেয়েটার অনেক স্বপ্ন ছিল। পড়ালেখা করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং ভালো কিছু করবে। এদিকে মেয়েটা যখন একটু বড় হয় তখন গ্রামের সবাই এসে তার দাদিকে বলতে থাকে মেয়েটা বড় হয়ে যাচ্ছে বিয়ে দিবে কবে। রোজ মেয়েটা স্কুলে বেরিয়ে যাওয়ার পর বা কাজ খোঁজার জন্য বেরিয়ে যাওয়ার পর সবাই এসে তার দাদিকে জ্বালাতন করত। তার দাদি ও তার নাতনী স্বপ্নকেই অনেক বেশি সাপোর্ট করতো। দাদি ও সবার মুখের উপর বলে দিত যে আমার নাতনি পড়ালেখা করে চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে তারপর সে বিয়ে করবে। যখন সময় হবে তখন সে নিজেই বিয়ে করবে তোমাদেরকে তার বিয়ে নিয়ে এত চিন্তা করতে হবে না।(চলবে.....)
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
পরিশ্রম সৌভাগ্যে চাবিকাঠি। এটা আমরা সবাই জানি। পরিশ্রমের মাধ্যমেই অনেকে ভাগ্যটাকে ফেরাতে পারে। আজ আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দাদি আর নাতিকে মিলে সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে লিখে শেয়ার করেছেন। নিশ্চয়ই পরের পর্বগুলো আরো ভালো হবে। এর পরের পর্বটি দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার কাছে গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে যেন খুবই খুশি হলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বেশ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করলেন আপনি। আসলে পরিশ্রম মানুষের ভাগ্য কে পরিবর্তন এনে দিতে পারে। তাদের দাদী নাতির গল্পটি আপনি খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন লিখে। আশা করি পরবর্তি পর্বে আরো কিছু জানতে পারবো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু গল্পটি পড়েছেন এবং খুব শিগ্রই আপনাদের মাঝে পর্বগুলো শেয়ার করব।
পরিশ্রমের মাধ্যমে ভাগ্য বদল কথাটি সত্যি খুব বাস্তব। আসলে পরিশ্রম ছাড়া কোন ভাবে সফলতা অর্জন করা যায় না। পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব। আপনার পরিশ্রমের মাধ্যমে ভাগ্য বদল আজকে পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। বেশ সুন্দর লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা পাওয়া যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
পরিশ্রম এমন একটা জিনিস যেটা আমাদের ভাগ্য কে অনেক দূরে নিয়ে যায়। স্বামী স্ত্রী দুজনেই মারা যাওয়ার বিষয়টা অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল। মেয়েটা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করছে। আশা করছি সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে আরো ভালো কিছু করতে পারবে।
হ্যাঁ আপু গল্পের মধ্যে এটা সবথেকে খারাপ লাগার বিষয় তারা দুজনে একসাথে মারা গিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কথায় আছে না পরিশ্রম হচ্ছে সাফল্যের মূল চাবি। আর যেখানে পরিশ্রম থাকবে সেখানে একদিন না একদিন অবশ্যই সাফল্য আসবে। আর এই পরিশ্রমের মাধ্যমেই ভাগ্য বদলে যায়। আর আমার তো মনে হয় মেয়েটার ভাগ্য একদিন অবশ্যই বদলে যাবে। কারণ ও অনেক পরিশ্রম করে এগোচ্ছে সামনের দিকে।
আপনি একদমই ঠিক কথা বলেছেন অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
https://x.com/APatwary88409/status/1880298924294246825?t=-2Rl9eKAVirGjblQIg061g&s=19