লোভী মহিলার গল্প।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। লোভী মহিলার করার গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

B612_20240112_225302_769.jpg

আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাদের মাঝে প্রায়ই চেষ্টা করি গল্প শেয়ার করার আপনারা খুবই ভালোভাবে পড়েন এবং খুবই সুন্দরভাবে কমেন্ট করে থাকেন যেটা দেখে খুবই ভালো লাগে। সময় আপনাদের কাছে ভুতের গল্প শেয়ার করে থাকে ভূতের গল্প পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে সেজন্য আপনাদের মাঝেও শেয়ার করি। তবে আজকে আর ভূতের গল্প শেয়ার করবো না আজকের একলগে মহিলার গল্প শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে চলে এসেছি। আজকের গল্পটি হলে চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্প।

আজকের লোভী মহিলার গল্প আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি। একটা মহিলা খুবই ভালো পরিবারের মেয়ে ছিল। চার গ্রামে মহিলাটির বাবার অনেক নাম ডাকছিল। তার বাবা খুবই ভালো মানুষ ছিল। তার বাবা খুবই সহজ সরল এবং ধর্ম প্রাণ একজন মানুষ ছিল। সমাজের কাছে পরিচিতি মুখ ছিল কিন্তু তার মেয়ে হয়ে তিনি খুবই খারাপ ভাবে জীবন যাপন করতেন। তার বাবা ছিল একজন আলেম হুজুর ।তিনি তার পরিবারের সবাইকে পর্দায় চলাফেরা করাতেন এবং সমাজের মানুষও তাকে দেখলে পর্দা করে চলত। একটা সময় ওই মহিলাটি যখন খুবই কম বয়সে ছিল তখন তার বাবা মারা যায়। ওই মহিলাটি তার বাবার মহত্বের কথা ভুলে গেলেও গ্রামবাসী যার গ্রামের মানুষ তার বাবার মহত্বের কথা কখনো ভুলেনি।

মহিলাটির বাবা কে দেখে সবাই পর্দা করতো কিন্তু মহিলাটি খুবই বেপর্দায় চলত। তার বিয়ে হওয়ার পর তার স্বামী প্রবাসে থাকবো তিনি তার ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। তার স্বামীর টাকা পয়সা নিয়ে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে বিলাসিতা করতেন এবং ছেলে মেয়েদেরও ঠিকভাবে মানুষ করেননি। তিনি একজন হুজুর আলেমের মেয়ে হয়ে খুবই উশৃঙ্খলভাবে চলা ফেরা করতেন। জোরে জোরে গান বাজিয়ে রাখতাম সারা দিন রাত। পাশে ছিল মসজিদ, মসজিদে মানুষ নামাজ পড়তে এবং বাচ্চারা কোরআন শরীফ পড়ত সেখানে তার গানের আওয়াজ এর কারনে ঠিকভাবে তারা তাদের ধর্মীয় কাজগুলো করতে পারত না। মহিলাটিকে অনেক অনেক বার বলা হয়েছিল যে মসজিদের মানুষের খুবই ডিস্টার্ব হয় তারা তো জোরে গান শোনার কারণে। কিন্তু মহিলাটি সেই কথা শুনে নি এভাবে অনেকটা সময় কেটে যায় মহিলাটি খুবই খারাপ ভাবে চলাফেরা করতো এবং সে তার স্বামীর উপার্জন করা টাকা মানুষকে দিয়ে তার সুদ গ্রহণ করত। যেটা ইসলামে ও খুবই অন্যায় কাজ। একজন বড় হুজুরের মেয়ে হয়ে তিনি এইভাবে অনাচারও অন্যায় কাজগুলো করতেন।

কিন্তু কথায় আছে অন্যায় সীমা পার করে গেলে সে অন্যায়ের শাস্তি এসে দুনিয়াতেই পেয়ে যায়। তার একটা মাত্র ছেলে ছিল। ছেলের খুবই আপত্তি ছিল তার মায়ের এভাবে চলাফেরা করার কারণে। সেজন্য ছেলে মায়ের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়াও করতে অনেক। এবং একটা সময় মায়ের উপর রাগ করে ছেলেটি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। এরপর ছেলেকে বুঝিয়ে শুনিয়ে কোনভাবে তার মা বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। যাতে মায়ের এসব কাজে ছেলে আপত্তি না জানাতে পারে। ছেলেটিকে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার পর হঠাৎ দু'বছর পর ছেলে দেশে ফিরে আসে এবং ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল তখন। একটা ভালো ছেলে প্রবাসে গিয়ে পাগল হয়ে ফিরে এলো দেশে এটা আসলে খুবই মর্মান্তিক অস্বাভাবিক বিষয় ছিল। সমাজের মানুষ এটা দেখে খুবই দুঃখ প্রকাশ করছিল।

ছেলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার পর দেশে এসে তার মাকে দেখলে অনেক বেশি রেগে যেত। মাকে সহ্য করতে পারত না অনেকবার সে মাকে মারতেও গিয়েছিল। সমাজের মানুষ মনে করে মায়ের অন্যায়ের শাস্তি ছেলে পাচ্ছে। এ জন্য আমাদের উচিত শালীনতা বজায় রেখে সমাজের চলাফেরা করা যাতে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করা যায়।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Sort:  
 6 months ago 

খুব দুঃখজনক ঘটনা।ওই মহিলা পুরাই নাস্তিক ছিলো তাই তো তিনি ধর্মীয় কার্যক্রম গুলোতেও উচ্চস্বরে গান বাজনা করতো এবং বেপর্দায় চলাফেরা করতো।ইসলামে যা যা নিষেধ ছিলো তিনি সব কিছু করতো।তার ছেলে এসব পছন্দ করতো না জন্য ছেলেকে বিদেশে পাঠায় এবং ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে দেশে ফেরে জন্য সবাই মাকো দোষারুপ করে। আসলে সৃষ্টি কর্তার নীলা বোঝা বড়ো দায় কখন কিভাবে কার পরিক্ষা নেন কাকে শাস্তি দেন তিনি একমাত্র জানেন।ধন্যবাদ আপু লোভী মহিলার গল্পটি শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

গল্পটা অনেক সুন্দর ছিলো , তবে গল্পের কাহিনী পড়ে অনেক খারাপ লাগলো ৷ ভদ্র পরিবারের মেয়ে হয়েও এমন আচরণ কিংবা এধরেনর কাজকর্ম করা সত্যিই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক বিষয় ৷ তার বাবা কত ভালো মানুষই না ছিলেন ৷ তিনি কিভাবে এধরনের জীবনযাপন করতে পারেন ? আসলে কিছু মানুষ বিবেগহীন হয় ৷ যাই হোক , শেষে অন্তত তার পাপের শান্তি পেয়েছেন ছেলের মাধ্যমে ৷ তবে এটাও কিছুটা মন্দ হয়েছে ৷ সৃষ্টিকর্তা ছেলের উপর এমন না করে সেই মহিলার উপরই কিছু একটা করলে ভালো হতো ৷ যাতে পাপের কষ্টটা নিজের মাধ্যমে নিজেই অনুভব করতে পারে ৷

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

অনেক সুন্দর একটা গল্প লিখেছেন আপনি আজকে। যেটার মাধ্যমে শিক্ষনীয় একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। মহিলাটির বাবা আলেম হলেও মহিলাটি ছিল খুবই বাজে স্বভাবের একটি মহিলা। তার ছেলেও তাকে এইসব কাজের জন্য বারণ করত সব সময়। কিন্তু ছেলে যেন বারন না করে, তাই দেখছি ছেলেকেই বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তার মায়ের এসব কারণের শাস্তি এখন ছেলেটা পাচ্ছে। ভারসাম্যহীন হয়ে দেশে ফিরে এসেছে। আর মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। ছেলের এরকম অবস্থার কথা শুনে সত্যি খারাপ লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57839.82
ETH 3132.70
USDT 1.00
SBD 2.43