মজাদার সিঙ্গারা রেসিপি।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি পোস্ট । আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি । আমি তৈরি করেছি আজকে আমি সিঙ্গারা রেসিপি তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। রান্না করাটা আমার একটা শখ । আজকেও আপনাদের সাথে নতুন একটি রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি সিঙ্গারা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন আগে আমার অনেক সিঙ্গারা খেতে মন চাইছিল ।কিন্তু আমাদের এলাকায় যে সিঙ্গারা গুলো বিক্রি করে সেগুলো অনেক ছোট ছোট আর খেতে একটুও ভালো লাগেনা । বাজারে সিঙ্গারা গুলো খেতে ভালো লাগে। কিন্তু বাজারে গিয়ে সিঙ্গারা এনে খাওয়ানোর মতো লোক ছিল না আমাদের পরিবারে ভাই দুইটা ছোট ছোট। দুপুর বেলা ভাতের সময় তখন আম্মু ও বাজারে যাবে না। সেজন্য ভাবলাম নিজেই সিঙ্গারা বানিয়ে ফেলি। আইসক্রিম খেতে অনেক ইচ্ছে করছে। কিন্তু এই শীতকালে আইসক্রিম খাওয়ার সাহস পাচ্ছিনা। সেজন্য বিকেল বেলা আমি সিঙ্গারা বানিয়েছিলাম এবং সবাই মিলে মজা করে খেয়েছি।আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।
উপকরণ
আটা
কালোজিরা
তেল
পানি
আলু
পেঁয়াজ
রসুন
লবন
মরিচ গুঁড়া
হলুদ গুঁড়া
টমেটো
কাঁচামরিচ
সস
তৈরি করার পদ্ধতি:-
একটি বাটিতে আমি দুই কাপ আটা নিয়ে নিয়েছি। এরপর সামান্য পরিমাণ কালোজিরা নিলাম। কালোজিরা গুলো আটার মধ্যে মিশিয়ে নিয়েছি ভালো করে। পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম।
এখানে আমি আধা কাপ তেল দিয়ে দিলাম আটার মধ্যে। তারপর আটা দিয়ে মেখে নিলাম আটা একেবারে ঝরঝরে হয়ে গিয়েছে।
এরপর আমি পরিমাণ মতো পানি দিয়ে আটা মেখে নিয়েছি ।দেখতেই পাচ্ছেন আটা অনেক সুন্দর করে মেখে নিয়েছি পুরো বাটি পরিষ্কার করে ফেলেছি ।আটা মাখার পর প্রায় আধা ঘন্টা আটা এইভাবে রেখে দিয়েছি।
পাঁচটা আলু নিলাম। আলু গুলোকে সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি। এরপর আলুগুলোকে ছোট ছোট পিস করে কেটে নিলাম।
এখন আমি সিঙ্গারার ভিতরে আলু রান্না করে নেব ।একটি কড়াই এর মধ্যে তেল গরম হতে দিয়ে তার মধ্যে পেয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম এবং রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি।
পেঁয়াজ রসুন, বাটা ভালো করে ভাজার পর এখন আমি লবণ, হলুদ, মরিচ পরিমাণ মতো দিয়ে দিলাম। মসলাগুলো দিয়ে আমি ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
কড়াই এর মধ্যে আমি সিদ্ধ করে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিলাম এবং অনেকক্ষণ মসলাগুলোর সাথে কষিয়ে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে দিলাম। পানি গুলো শুকানোর পর রান্না হয়ে গেল সিঙ্গারার ভিতরে আলু।
আগে থেকে মেখে রাখা আটা দিয়ে এখন আমি রুটি বানিয়ে নিব। একটি রুটি বানিয়ে আমি মাঝখানে দুই ভাগ করে নিলাম। একটা রুটি থেকে দুইটা সিঙ্গারা বানানো যায়।
রুটির একটি অংশ নিয়ে আমি সিঙ্গারার সাইজে ভাঁজ করে মাঝখানে আলু দিয়ে দিলাম। আলু দিয়ে ভালো করে সিঙ্গারার সেইফ তৈরি করে একটি সিঙ্গারা বানিয়ে নিলাম। এভাবে আমি মোটা আটটি সিঙ্গারা বানিয়েছি।
এখন আমি সিঙ্গারা গুলো তেলের মধ্যে ভেজে নেব।সেজন্য একটি কড়াইয়ে বেশ অনেকটা পরিমাণ তেল দিয়ে দিলাম । তেল গরম হওয়ার পর সিঙ্গারা গুলোকে ভেজে নিলাম।।
সিঙ্গারা বানানোর শেষ এখন আমি পরিবেশন করার জন্য একটি টমেটো নিয়ে গোল গোল করে কেটে নিলাম । তিনটি কাঁচামরিচ দিয়ে প্লেটের মধ্যে সিঙ্গারা গুলোকে রেখে সস দিয়ে পরিবেশন করে নিলাম। খেতে অনেক মজা হয়েছে । আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
একা একা সিঙ্গারা তৈরি করে খেয়ে নিয়েছেন। আমাদেরকে একটু দিলেন ও না। দেখেই বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে রেসিপিটি। আপনার কিন্তু পেটে ব্যথা করতে পারে আমাকে খুবই লোভ লাগিয়ে দিলেন। এভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যেকোনো রেসিপি তৈরি করে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। রেসিপির কালার কম্বিনেশনও অসাধারণ ছিল। আপনার উপস্থাপনা দেখে যে কেউ খুবই সহজে তৈরি করতে পারবে।
অনেক সময় হয়ত আমাদের অনেক কিছু খেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু বাহিরে যাওয়া হয়ে উঠে না। তাই বাসায় সেই খাবারগুলো তৈরি করলে ভালো হয়। বাজার থেকে কিনে আনা সিঙ্গারা গুলো খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি নিজে নিজে তৈরি করলেও খেতে ভালো লাগে। যদিও নিজে কখনো ট্রাই করে দেখিনি। মনে হচ্ছে আপনার বানানো সিঙ্গারা খেতে ভালোই হয়েছিল আপু। লোভনীয় লাগছে দেখতে।
আপনি ঠিক বলছেন আসলে বড় বাজারে যে সিঙ্গারা গুলো বানাই সেগুলো খেতে মজা কিন্তু পাশের দোকানে গ্রামের দোকানের সিঙ্গারা খেতে ভালো লাগে না।আপনি ঘরে মজার করে সিঙ্গারা বানিয়েছেন কিন্তু সিংগারা এত ব্রাউন করে ভেজেছেন খেতে অনেক মজার হবে।আপনার সিঙ্গারা তৈরির রেসিপিটি অনেক ভালো লেগেছে আপু ধন্যবাদ।
আপনি রান্না করতে অনেক বেশি পছন্দ করেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো আসলে রান্না করা কোন কোন মেয়ে অনেক বেশি পছন্দ করে। আসলে বর্তমান সময়ে বাজারে সিঙ্গারা গুলোতে তেমন একটা সাধ খুজে পাইনা। অবশেষে আপনি নিজে নিজে সিঙ্গারার রেসিপি তৈরি করেছেন যিনি খুবই ভালো লাগলো। এখন শীতকাল আর এই শীতের সময় আইসক্রিম না খাওয়াই ভালো কারণ ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে সবসময়।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, অনেক দোকানের সিংগারা মোটেই ভালো লাগেনা। সেক্ষেত্রে ঘরে যদি বানানো যায় সেটাই সবচেয়ে উত্তম হয়।আপনি কষ্ট করে ঘরে বানিয়েছেন সেটা মনে অনেক বেশি মজাদার হয়েছে। আসলে অনেক সময় মানুষের অভাবে অনেক কিছু এনে খাওয়া যায় না। আপনি সিংগাড়ার মধ্যে কালোজিরা দিয়েছেন সেটা মনে হয় আরও মজাদার করে তুলেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সিঙ্গারা আমার অনেক প্রিয়। তবে অনেকদিন ধরেই সিঙ্গারা খাওয়া হচ্ছে না। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।