একজন অসৎ ব্যবসায়ীর গল্প।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। অসৎ ব্যবসায়ীর গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরও একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। গল্প পড়তে এবং গল্প করতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। নতুন নতুন গল্প পড়তে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আমার আজকের গল্পটির নাম হল অসৎ ব্যবসায়ী গল্প। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের গল্পটি। একটা পরিবারে দুই বাবা ছেলে বাইরে কাজ করে। তারা বিভিন্ন ব্যাবসা করে সংসার চালানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে কোন সময় মাছ বিক্রি করে কোন সময়ে গাছ বিক্রি করে। এভাবে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা তারা করে থাকেন। আর তাতে মোটামুটি কোনরকম ভাবে তাদের সংসার চলে যায়।
তবে ছেলেটির বাবা যে ছিল সংসারের প্রধান তিনি বাইরের ব্যবসার বেশিরভাগ সময় দেখে। তার ছেলে টুকটাক তাকে ব্যবসার কাজে সাহায্য করত। তিনি ব্যবসা করতেন ঠিকই কিন্তু সবসময় চিন্তা করতেন কম পরিশ্রমে কিভাবে ব্যবসায় বেশি লাভ করা যায়। এই চিন্তায় তার মধ্যে সবসময় তার মাথায় ঘুরপাক খেতো। আর এসব চিন্তা করতে করতে তিনি বেশিরভাগ সময় ব্যবসা অসৎ উপায় ব্যবহার করে বেশি ইনকাম করার চেষ্টা করত। একদিন সকালবেলা বাবা
ছেলে একসাথে বেরিয়েছে ব্যবসা কাজে। মানুষের কাছে গাছ কাঠ বিক্রি করতো। সব কাজে বাবাই সামলাতো ছেলে তার হালকা পাতলা কিছু সাহায্য করতে বাবাকে। কাঠ বিক্রি করা সময় মানুষকে ঠকিয়ে অনেক টাকা আয় করার চেষ্টা করত।
এমন মানুষ কাঠ কেনার সময় যত টাকার কাঠ কিনত ওই অসৎ ব্যবসায়ী বিক্রি করার সময় ওজনই কিছুটা কম দিত ।মানুষ তো আর ওজন করে দেখতো না। মানুষ সেই টাকায় অল্প কাঠ কিনে নিয়ে যেত। এভাবেই ওজনে কম কাঠ দিয়ে সে কিছু খাট নিজের কাছে বাঁচিয়ে রাখতে এবং সেগুলো আরেকজন মানুষের কাছে বিক্রি করতো। আর এভাবেই একই কাঠ দিয়ে তিনি অনেক টাকা আয় করতো। তার পাশেই আরেকজন কাঠ ব্যবসায়ী ছিল। তার কাছে এত কাস্টমার এবং তারা তো টাকা ইনকাম দেখে সে খুবই চিন্তায় পড়ে যায় তার ব্যবসা খুবই খারাপ চলছিল। পরবর্তীতে পাশের ব্যবসায়ীটি খেয়াল করেছে কিভাবে এত কম পরিশ্রমে দিয়ে এত বেশি টাকা ইনকাম করে।
কিছুদিন ওই অসৎ ব্যবসায়ীর কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করার পর সে বুঝতে পারে যে মানুষকে ঠকিয়ে কম কাঠ দিয়ে সে কাঠগুলোকে আবার বিক্রি করে সে অনেক টাকা ইনকাম করে। আর এটা দেখে সে মনে মনে খুব রেগে যায় বলে এভাবে তো মানুষকে ঠকানো উচিত নয়। তখন সে চিন্তা করে এই অসৎ ব্যবসায়ীর কাজকর্ম কিভাবে মানুষের সামনে নিয়ে আসবে। তখন ব্যবসায়ী একটা বুদ্ধি করে এবং অসৎ ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে বলেন শহরে শুনেছি অনেক লবনের ব্যবসা হয়। সেই লবণের ব্যবসা নাকি খুবই কম পরিশ্রমে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। লবণের ব্যবসার লোভ দেখিয়ে অনেক কথাই বলে আসে।
অসৎ ব্যবসায়ী তো সবসময় চিন্তা করতে থাকে কম পরিশ্রমে কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। সেজন্য পাশের ব্যবসায়ী থেকে যখন শুনতে পারে লবণের ব্যবসা অনেক টাকা ইনকাম হয় কম পরিশ্রমে। তখন সে তার ছেলের সাথে পরামর্শ করে লবণের ব্যবসা করবে। কিছুদিন পর সে কাঠের ব্যবসা বাদ দিয়ে লবণের ব্যবসা করা শুরু করে দেয়। পরে একদিন পাশের কাঠ ব্যবসায় তার কাছে লবণ কিনতে যায়। তখন সে একইভাবে লবণের ওজন নিয়ে কম দিয়ে টাকা নিয়ে নে। পরে সে কিছু যখন পর আবারও তার দোকান থেকে এসে আবার লবণ গুলোকে তাকে মাপতে বলে।
ওজন করতে বলায় অসৎ ব্যবসায়ী তো খুবই ভয় পেয়ে যায়। পরবর্তীতে কিছু করার না থাকায় ওজন করে দেখে যে ওজনে খুবই কম দিয়েছে। তখন সে অসৎ ব্যবসায়ী তার ভুল বুঝতে পারে এবং তার পাশের ব্যবসায়ীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে আমি কখনো আর এসব কিছু মানুষের সাথে করবো না আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি সব সময় এবার থেকে ওজনে ঠিক ভাবেই দিবো। এরপর থেকে লোকটি মান-সম্মানের ভয়ে সবসময়ই ঠিকঠাক ভাবে ওজন করে মানুষের কাছে জিনিস বিক্রি করতো। আর এই ছিল আমার আজকের অসৎ ব্যবসায়ী গল্প।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1723560723429855547?t=oT53newsjI-ObTKd351BxQ&s=19
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে এই ধরনের মানুষগুলোর মাথায় এরকম চিন্তা ভাবনা ঘুরপাক খায় সব সময়। তারা তো সবসময় ভাবে কিভাবে মানুষকে ঠকিয়ে বেশি টাকা লাভ করা যায়। তেমনটা ওই অসৎ ব্যবসায়ী করেছিল। অসৎ ব্যবসায়ির এরকম কাজকর্ম পরবর্তীতে ওই দ্বিতীয় ব্যবসায়ী বুঝতে পেরেছিল। যার কারণে তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এরকমটা করেছিল। পরবর্তীতে অসৎ ব্যবসায়ী নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিল জেনে ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার গল্পটি পড়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এই ধরনের অসৎ মানুষদের মনে এরকম চিন্তা ভাবনা সারাক্ষণ ঘুরপাক খায়। এরকম মানুষগুলো অন্যকে ঠকিয়ে বেশি টাকা রোজগার করার চেষ্টা করে । অসৎ ব্যবসায়ীটা ও এরকম করেছিল প্রত্যেকটা মানুষের সাথে। অবশেষে লোকটা ধরা পড়েছিল এবং নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছিল জেনে ভালো লাগলো।
গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন দেখে খুবই ভাল লাগবে । ঠিক বলেছেন নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে।
একটা কথা আছে লোভে পাপ এবং পাপে মৃত্যু। বাংলাদ এমন ব্যবসায়ির সংখ্যা একেবারে কম না যারা এইরকম মাপে কম দেয় হা হা। কিন্তু ধরা পড়ে খুবই কম। যেমনটা ঐ লোভী ব্যবসায়ী ধরে পড়ে এবং ক্ষমা চেয়ে বলে এগুলো আর করব না। কোন বিবেকবান মানুষ আর যাইহোক কখনো ওজনে কম দিতে পারে না। ভালো ছিল আপনার গল্পটা।
একদম ঠিক বলেছেন আমাদের আশেপাশে অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে যারা মাপে খুবই কম দেয়। আপনি আমার গল্পটি পড়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জন করে হয় তো বা অনেক টাকার মালিক হওয়া যায় কিন্তুু সন্মান কোন ভাবেই পাওয়া যায় না।মানুষ কে ঠকানো একটা পাপ।তাই তো কোন না কোন ভাবে সে পাপ প্রকাশ পেয়েছে সবার কাছে।তবে ওনি তার ভুল বুঝেতে পেয়ে ক্ষমা চেয়েছে জন্য ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন মানুষ চেষ্টা করে টাকার মালিক হতে পারে কিন্তু সহজে সম্মানটা পেতে পারেনা সম্মান মানুষ মন থেকেই করে। ধন্যবাদ আপু গল্পটির পুরো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।