একজন কৃষকের কপাল খুলে যাওয়ার গল্প (শেষ পর্ব)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। একজন কৃষকের কপাল খুলে যাওয়ার গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গল্প পড়তেই অনেক ভালো লাগে। সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকে যেগুলো আমি পড়ে থাকি এবং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে গল্পের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লাগে ভূতের গল্প। আপনাদের মাঝে আমি অনেক ভূতের গল্প শেয়ার করেছি আগে তা ছাড়া অন্য গল্প গুলো শেয়ার করেছি। আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি নাম হলো একজন কৃষকের কপাল খুলে যাওয়ার গল্প।
এই গল্পে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব একজন খুবই গরীব এবং অসহায় পরিবারের কৃষকের কিভাবে কপাল খুলে গেল এবং ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল খুবই সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে লাগলো সেই বিষয়টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গল্পের মাধ্যমে।এই গল্পের প্রথম পর্ব আমি আগেই আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি এখন নতুন এবং শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। তাহলে চলুন শুরু করা যাক গল্পটি গত পর্বে আমি বলেছিলাম যে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধান তারা ঠিকভাবে বিক্রি করতে পারেনি। খুবই কম টাকায় বিক্রি করে খুবই কম টাকায় ধান বিক্রি করার কারণে তাদের সংসারের ঠিকভাবে চালাতে পারছিল না। যে টাকা পেয়েছে তাতে তো তাদের দুজনের ঠিক করে সংসার চলবে না কিভাবে বাকিটা সময় সংসার চালাবে। সেটাই চিন্তা করছিল অন্য কাজ করার জন্য তারা চিন্তা-ভাবনা করছিল।
গরিবের কৃষক তার আশেপাশের সকল প্রতিবেশী এবং বন্ধুদেরকে বলে রেখেছিল যে অন্য কোন কাজ থাকলে তাকে যেন বলে। কারণ পানি শুকানো ছাড়া তো আর ধান চাষ করতে পারবে না সে পর্যন্ত খালি পেটে চলতে পারে না। কিছুদিন পর তার এক প্রতিবেশী তাকে এসে বলছিল যে আপনিও একটা কাজের কথা বললেন গ্রামের চেয়ারম্যান এর বাসায় একটা কাজ আছে আপনি কি করতে চান। তখন সেই গরিব কৃষক রাজি হয়ে গেল চেয়ারম্যানের বাসায় কাজ করলে তো কোন কথাই নেই সংসারে কোন অভাব অনটন থাকবে না। সে পরদিন থেকে চেয়ারম্যানের বাসায় কাজ করা শুরু করেছে অনেকদিন পর্যন্ত সে চেয়ারম্যানের বাসায় তার গরু এবং বিভিন্ন জিনিসের দেখাশোনা করত।
রাতে চেয়ারম্যানের গরু গুলোকে পাহারা দিত সেজন্য চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাতে থাকতে হতো। চেয়ারম্যানের বাড়ির লোকজন তাকে গোয়াল ঘরে গরুর সাথে খাবারও গরুর সাথে খেতে দিত। সে সবকিছুই মুখ বুঝে মেনে নিয়েছিল কারণ ধান নষ্ট হওয়ার কারণে তার কাছে সংসার চালানোর জন্য কিছুই নেই সেজন্য সে খুবই কষ্ট করেই চেয়ারম্যানের বাড়িতে কাজটা করে যাচ্ছে। চেয়ারম্যান সাহেব একটু মায়া দয়া করত না তার প্রতি। একটা মানুষকে কিভাবে একসাথে গুরুর সাথে খাবার এবং থাকতে দিয়ে। এরপরও গরিব কৃষক কিছু করতে না পেরে সেই কাজটাই করতে থাকলো একদিন চেয়ারম্যানের বাসায় একটা ছোট বাচ্চা খেলতে খেলতে গরুর ঘরে চলে আসে।
তখন সেই গরিব চাষী চেয়ারম্যান সাহেবদের বাচ্চাকে গরুর সামনে থেকে বাঁচায়। আর এই বিষয়টা যখন চেয়ারম্যান সাহেব জানতে পারে তখন সে গরিব চাষের উপর খুবই খুশি হয়। তখন সেই চাষী জিজ্ঞেস করে যে তার কি লাগবে তার কাছে সে অনেক খুশি হয়েছে সেজন্য তাকে একটা উপহার দিতে চায়। তখন সে বলল যে গ্রামে যে
ধান ব্যবসাগুলো রয়েছে তাদেরকে ধানের ঠিকঠাক টাকা দেওয়ার জন্য বলে দিতে এবং তাকে যেন একটা আলাদা ঘরে থাকতে এবং খেতে দেওয়া হয়। শর্তগুলো মেনে নেয় এবং তার বেতন ও অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয় এতে করে কৃষকের সংসার খুবই সুন্দরভাবে চলে এবং খুব সুন্দর ভাবে তারা জীবন যাপন করতে থাকে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপনি এই গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। আসলে কার ভাগ্যে কি হয়ে যায় কেউ বলতে পারে না। না হলে একজন মানুষকে কিভাবে গরুর ঘরে খেতে দেয় এবং থাকতে দেয় । বিষয়টি পড়ে আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছে। যাই হোক পরে ছোট বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে দেওয়ার কারণে চেয়ারম্যান খুশি হয়ে তাকে বেতন বাড়িয়ে দেয়। পরে কৃষকের সংসার খুব ভালোভাবে চলছিল এটা জেনে ভালোই লাগলো।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই গল্পটির প্রথম পর্বটি আপনি পড়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো এবং শেষ পর্বটি পড়েও সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। দেখে খুবই খুশি হলাম আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু কখন কার কপাল খুলে যায় সেটা কেউ বলতে পারেনা ।সবই উপরওয়ালার হাতে। হঠাৎ করে কৃষকের ভাগ্যের চাকা খুলে গেল। ছোট বাচ্চাটি ওসিলা হিসেবে এসে কৃষকের সৌভাগ্য এনে দিল। বেশ ভালো লাগলো গল্পটি। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু কখন কার কপালে কি হয় এবং কখন মানুষের জীবনে ভালো সময় টা আসে সেটা আসলে কেউই বুঝতে পারে না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1757108525229388114?t=QkhZLzSpivSsqjsKyW1y0Q&s=19
আসলে মানুষের জীবনে উত্থান পতন কখন কি ভাবে আসবে কেউ বলতে পারেন না।কৃষক তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পায়নি বৃষ্টির কারণে তাই তো তাতে সংসার চালানোর জন্য চেয়ারম্যানের বাড়িতে গরুদেখা শোনার কাজ করতে হয়েছে এবং খুব কষ্টে জীবন জাপন করতে হয়েছে। তবে চেয়ারম্যানের বাচ্চাকে গরুর সামন থেকে বাঁচানোর জন্য কৃষকের ভাগ্য ঘুরে দাঁড়ায়। আপনার পোস্ট থেকে এটা বোঝা গেলো যে যতো কষ্টই হোক না কেন ভালো কাজের অবশ্যই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন মানুষের জীবনে কখন কি হয় সেটা একদমই বোঝা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর গল্প পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো৷ আসলে কার ভাগ্য কখন পরিবর্তিত হয়ে যায় তা কখনোই বলা যায় না৷ হয়তো কোন ব্যক্তি কোন দিন যে বিষয়গুলো চিন্তাও করতে পারেনি, ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ার কারণে সে ব্যক্তি সে বিষয়গুলো উপভোগ করছে৷ এই কৃষকটিও চেয়ারম্যান এর বাচ্চাকে বাঁচিয়ে দেওয়ায় চেয়ারম্যান তাকে খুশি হয়ে অনেকটাই সুখ শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিয়েছেন৷
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
গরিব কৃষকের ভাগ্যের চাকা তাহলে ওই বাচ্চাটাকে দিয়েই খুলে গিয়েছিল। বাচ্চাটাকে বাঁচানোর কারণেই তো চেয়ারম্যান তার উপর অনেক বেশি খুশি হয়েছিল আর তার কথা মেনে ছিল। এবং কি তার ইচ্ছে শুনে সেগুলো পূরণ করেছে। তারপর থেকে ওই গরিব কৃষক বেশ ভালোভাবেই চলছিল এবং জীবন যাপন করছিল জেনে ভালো লাগলো। আপনার লেখা আজকের এই গল্পটার প্রথম পর্ব না পড়া হলেও শেষ পর্ব টা খুব ভালো লেগেছে।
জি ভাইয়া একটা না একটা মাধ্যম তো লাগে ভাগ্যের পরিবর্তনের। জন্যই কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘোরার কারণ ছিল ছোট বাচ্চাটি। গল্প পড়ে পড়েছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
এরকম ভাবে একজন গরীব কৃষকের কপাল খুলে যাওয়ার বিষয় দেখে ভালো লেগেছে। ওই ছোট বাচ্চাটাকে গরিব কৃষকটা যখন বাঁচিয়েছিল, তখন চেয়ারম্যান দেখেছিল। আর তার উপর খুশি হয়ে তার ইচ্ছা পূরণ করেছে। কৃষক এর সংসার এখন সুন্দরভাবে চলছে জেনে ভালো লেগেছে। চেয়ারম্যান তাকে কিন্তু বেশ ভালোই সাহায্য করেছে এর কারণে। আপনার আজকের এই গল্পটার শেষ পর্ব ভালো লেগেছে অনেক বেশি।
আমার এই গল্পে শেষ পর্বটি পড়ে আপনি সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।