রহস্যময়ী হাড়ির গল্প (পর্ব ১)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। রহস্যময়ী হাড়ি আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

B612_20230707_083044_926.jpg

আজকে আরো একটি গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটির নাম হল রহস্যময়ী হাড়ি চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্পটি। একটা পুরুষ এবং একটা মহিলা দুজনই হাজব্যান্ড ওয়াইফ তারা একসাথে থাকে।সেই লোকটি চাকরি জন্য বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে থাকে। তাকে সব সময় ট্রান্সফার করা হয় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। যার কারণে সে কোন পার্মানেন্ট বাড়ি করেনি। বিভিন্ন জায়গায় যায় আর সেখানে বাসা নিয়ে নিয়ে থাকে। এরপর অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করলে অন্য জায়গায় গিয়ে বাসায় থাকে। এভাবেই করতে করতে একটা জায়গায় এসে ট্রানস্ফার হলো সেখানে বাসা ভাড়া নিল সেখানেই থাকতে লাগল।

বর্তমানে তারা যে জায়গায় রয়েছে সে জায়গায় লোকটির বেশ ভালো লেগেছে। একদিন রাতের বেলা বসে বসে সে তার বউকে বলছিল এই পরিবেশটা আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। অনেক বাতাস স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এখানে এসে আমার হাঁপানি রোগটা যেন উধাও হয়ে গেছে। ভাবছি এখানে একটা বাড়ি করে পার্মানেন্ট এখানে থেকে যাব। বউকে বলছিল পাশের একটু দূরে আমি একটা জমি দেখেছি খুবই সস্তা পানির দামে বিক্রি করছিল সেই জায়গাটা ভাবছি কিনব। তখন তার বউ বলে উঠলো সেখানে তুমি জায়গা কিনে বাড়ি করলে তো সব সময় থাকতে পারবেনা কয়েকদিন পরে তো তোমার ট্রান্সফার হবে অন্য জায়গায়। তখন ওই লোকটি বলছিল এই বিষয়ে সমস্যা নেই এই বিষয়ে আমি স্যারকে বলব অনেক বছর চাকরি করছি আর বিভিন্ন জায়গায়ও ঘোরাঘুরি করছি। এবার না হয় এখানে চিরজীবনের জন্য রাখার অনুরোধ করবো।

তখন লোকটির বউও মেনে যায় এত বছর এদিক সেদিক ঘোরাঘুরির করে রয়েছে নিজের একটা বাড়ি নেই। নিজের বাড়িতে থাকা শান্তি অন্যরকম সেজন্য লোকটির কথা তার বউও মেনে গেলো। কিন্তু তার প্রশ্ন করছিল জায়গা জমি যে দাম এত পানির দামে জায়গা কেন এভাবে বিক্রি করছে। এগুলো চিন্তা করতে করতে তার তার বউ ঘুমিয়ে গেল।সকালবেলা লোকটি তার বউকে নিয়ে ওই জায়গাটা দেখতে যায়। জায়গার পরিবেশ সবকিছুই তাদের দুজনেরই পছন্দ হয়ে যায় এবং তারা জমিটা কিনে ফেলে। জমি কেনার পর সেখানে ঘর করার আগে তারা একটা পুজো দেয়। এরপরই তারা ঘরের কাজ করার জন্য শুরু করে।

ঘরের কাজ করতে করতে একটা সময় সেখানের কর্মীরা হঠাৎ মাটির তলে কি যেন একটা আওয়াজ পেল। তখন ওই লোকটিকে বলল লোকটি বলল তাহলে তাড়াতাড়ি তোল তুলে দেখে কি আছে।একটা হাড়ি হাড়িটি দেখে লোকটি মনে মনে চিন্তা করতে লাগলো তাহলে এখানে গুপ্তধন আছে। কর্মচারীরা এই হাঁড়িটা খুলতে চাইলে সবার সামনে কিন্তু ঐ লোকটি গুপ্তধন আছে চিন্তা করে হাঁড়িটা নিয়ে এক পাশে চলে যায় এবং কর্মীদেরকে কাজ করতে বলে। একা একা যখন হাড়িটি খুলে তখন হাড়ি থেকে যেন একটা বাতাস বেরিয়ে এলো ।তারপর ভেতরের দিকে দেখে মানুষের হাড়গোড় পড়ে আছে হাড়ির ভিতর।

এগুলো দেখে লোকটা খুবই হতাশ হয়ে যায়। ভেবেছিল এই পুরনো হাড়ির ভেতরে কেউ গুপ্তধন রেখেছে কিনা আগের দিনে এসব ভেবে খুশি হয়েছিল। কিন্তু হাড়ের ভিতরে মানুষের হাড় করে দেখা খুবই হতাশ হয়। তারপর আবার কর্মীদেরকে ডেকে ওই হাড়িটা অন্য জায়গায় মাটির নিচে পুঁতে দিতে বলে। এরপর হাড়িটা একই ভাবে মাটির নিচে পুঁতে দেওয়া হয় আর এভাবেই ঘরের কাজ করতে লাগলো আবার কর্মীরা। এভাবে প্রায় এক মাস ঘরের কাজকর্ম করতে লেগে যায়। তারা মাঝে মাঝে আজ তো কাজ করছে কিনা ঠিকভাবে এগুলো দেখে যেত........(চলবে)

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Sort:  
 last year 

রহস্যময় হাড়ির প্রথম পর্ব বেশ ভালো লেগেছে।প্রতিটি মানুষের মধ্যে লোভ রয়েছে জমি পানির দরে কিনে ঘর করবার সময় একটি হাড়ি পায়। ভেবেছিল সে হাড়িতে গুপ্তধন আছে যে কারণে তিনি একা একাই হাড়ির মুখটি খুলেছিল।পরবর্তীতে হাড়ি গুপ্তধনের বদলে তাকে হাড় উপহার দেয় তাই হাড়ি আবারো মাটির নিচে পুতে রাখেন।আপনার কিছু বানানে ভুল রয়েছে আশা করি পরবর্তী পর্বে সমস্যাটি সমাধান করবেন।রহস্যময় হাড়ির দ্বিতীয় পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ আপু।

 last year 

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার গল্প পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আমার কাছে কিন্তু এ ধরনের রহস্যময়ী গল্পগুলো পড়তে বেশ ভালোই লাগে। শুধু কৌতুহলের সৃস্টি হয়। আজকে আপনার রহস্যময়ী হাড়িরর গল্পটির টাইটেল পড়েই ভিতরে ঢুকে গেলাম। বেশ ভালো লিখেছেন এবং রহসময়ী হাড়িরর গল্পকে রহস্যময়ীর মতই তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। মানুষের লোভ বড়ই খারাপ জিনিস । যাক দেখা যাক আগামী পর্বে কি রহস্য লুকিয়ে আছে আপনার গল্পে।

 last year 

আপনার কাছে এই ধরনের গল্প পড়তে ভালো লাগে জেনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য।

 last year 

রহস্যময়ী হাড়ির গল্পটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। আসলে যে কেউ যদি মাটির নিচে এরকম পুরাতন হাড়ি পায় তাহলে ভাববে এখানে গুপ্তধন রয়েছে, সেরকমই ওই লোকটাও ভেবেছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল সেখানে মানুষের হাড় ছিল। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। আমার তো খুবই জানতে ইচ্ছে করছে পরবর্তীতে কি হবে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্ব নিয়ে হাজির হবেন।

 last year 

আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন মাটির নিচ থেকে কিছু পেলে সেটা আমরা গুপ্তধনের কথাই প্রথমে চিন্তা করি। যাই হোক পুরো গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

একেবারে রহস্যে ঘেরা একটা গল্প শেয়ার করলেন। রহস্যময় হাড়ির গল্প সম্পর্কে সবেমাত্র প্রথম পর্ব পড়লাম। আমি তো ভেবেছিলাম হয়তো হাড়ির মধ্যে সত্যি সত্যি গুপ্তধন থাকবে। পরে যখন পড়লাম আসলে সেখানে মানুষের হাড় ছিল, এটা পড়ে অনেক বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ঘরের কাজ করা লোক গুলো অন্য জায়গায় হাঁড়িটি পুঁতে দেওয়ার পরে কি হয়েছিল তা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

 last year 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য এবং আমার গল্পটি পড়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.031
BTC 86273.50
ETH 3305.14
USDT 1.00
SBD 2.81