উচ্চাশা যেখানে শেষ হয় সেখান থেকেই শান্তি শুরু হয়।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।উচ্চাশা যেখানে শেষ হয় সেখান থেকেই শান্তি শুরু হয় কথাটি নিয়ে কিছু আলোচনা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই আশার কোন শেষ নেই। আমরা যত পাই তত চাই আমাদের স্বপ্নের আমাদের পাওয়ার আকাঙ্কার কোন শেষ নেই। কিন্তু আমাদের জীবনে যত চাওয়া বেশি থাকবে ততই দুঃখ কষ্ট বেশি থাকবে। কারণ চাওয়া গুলো যদি পূর্ণ না হয় তাহলে সেই চাওয়া গুলো না পূরণ হওয়ার দুঃখ মনে থেকে যাবে। সেজন্য সবারই উচিত কোন কিছু আশা না করা। জীবনে জীবনে যত বেশি আশা থাকবে আকাঙ্খা থাকবে তত বেশি ব্যর্থতা থাকবে। মানুষ হিসেবে আমি প্রতিনিয়তই চেষ্টা করি আমাদের আশেপাশ থেকে শুরু করে জীবনের প্রতি এবং মানুষের প্রতি কোন আকাঙ্ক্ষা না রাখার কারণ কেউই কারোর মনের মত হতে পারে না।
জীবনে মানুষ যা চিন্তা করে সেটা সে কখনোই ঠিকভাবে পায় না। আর আশা করা সেই জিনিসটা না পাওয়ার কারণে মানুষ অনেক বেশি কষ্ট পায় এবং নিজেকে ব্যর্থ মনে করে। আর সেখান থেকে তার জীবনের কষ্ট এবং আফসোসটা অনেক বেশি বেড়ে যায়। সে সারা জীবন আফসোস করতে থাকে যেই জিনিসটা আমার পাওয়ার কথা ছিল সেটা আমি পাইনি। এই আফসোসের কারণে সে জীবনটাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারে না। যতই সে জীবনে এগিয়ে যাক সারা জীবনই রেখে দেয় এবং সব সময় এই আফসোসটা করে।
আর আমি মনে করি জীবনে আফসোস করে বাঁচার মধ্যে সুখ নেই। কারণ যেখানে হাজারো আনন্দ খুশির মধ্যে একটা সময় গিয়ে আপনাকে একটা জিনিসের জন্য আফসোস করতে হয় সেখানে তো পরিপূর্ণভাবে একজন মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে না। কারণ সে দিনশেষে একটা জিনিসের জন্য আফসোস করেই যাচ্ছে। আর জীবনটাকে শান্তিপূর্ণ করে বাঁচার জন্য জীবনের সব আকাঙ্ক্ষা এবং আশা এবং উচ্ছ্বাসে সব কিছুই বাদ দিয়ে চলতে হবে। এসব কিছু বাদ দিয়ে জীবন সামনের দিকে এগিয়ে গেলে আপনার কোন আফসোস থাকবে না। যেখানে কারো থেকে বা কোন কিছু থেকে আপনার আশা নেই সেই জায়গায় আপনি যদি সফল হয়ে যান তাহলে তো সেটা খুশির বিষয়। আর যদি ব্যর্থ হয়ে যান তাহলে তো সেটা দুঃখের বিষয় ঠিক আছে তবে সেটা নিয়ে তো আপনি আফসোস না করলে আপনার জীবনের সেই দুঃখের কোন জায়গায় নেই।
আমাদের আশেপাশে চোখ ফেললেই দেখা যায় যে যার টাকা পয়সা বেশি আছে তার তার জীবনে টেনশনও বেশি। সুখী হয়েও যেন সুখী হতে পারেনি এরকম একটা দৃশ্য দেখা যায়। কারণ তার টাকা রয়েছে তার চিন্তা হচ্ছে টাকা থেকে আরও কিভাবে উপার্জন করা যায় সেই নিয়ে। এখানে দেখা যায় যে তার আকাঙ্ক্ষা আরো অনেক বেশি রয়েছে যেটা তার কাছে আছে তার থেকেও বেশি এখন সে টাকা উপার্জন করে। সুন্দরভাবে চলার পর তার জীবনের উৎস এখানকার কারণে কোন শান্তি নেই । আর একইভাবে একজন মধ্যবিত্ত মানুষ সে যদি কোনোভাবে সংসারটা ঠিকভাবে চালাতে পারে তাহলে সে অনেক বেশি শান্তি পায়। কারণ তার আকাঙ্ক্ষা বেশি নয় সে যতটুকু সামর্থ্য মধ্যে সে ততটুকু করতে পেরেছে সেখানে সে শান্তি থাকতে পারে।
এই জন্য জীবনে শান্তি নামক শব্দটি নিয়ে আসতে চাইলে উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং উচ্চাশা সবকিছুই বাদ দিতে হবে। নিজে যতটুক সাধ্যের মধ্যে রয়েছে সেই ভাবেই জীবন যাপন করা উচিত। স্বার্থের বাইরে কিছু আশা করলে সেই আশা কখনোই পূরণের নয়। তখন জীবনে আফসোস থেকে অন্য কিছু আর থাকবে না। যাইহোক আমার আজকের এই কথাগুলো আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1765058509752938971?t=2SaxTN5wW9iU5bII7DOkuw&s=19
চমৎকার একটি বিষয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু।বিষয়টি খুব সুন্দর ভাবে আপনি তুলে ধরেছেন। সত্যি কথা বলতে আমাদের সকলেরই উচ্চাকাঙ্খা বা উচ্চাশা বাদ দিতে হবে।শান্তিতে থাকতে চাইলে যা আছে, যতটুকু আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
আপনি আমার আজকের এই আলোচনার বিষয়টি পড়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে প্রত্যেকটা মানুষ শুধু চায় আর চায়, কখনো সন্তুষ্ট থাকে না। একটা মানুষের যত থাকে এই মানুষটা তাতে সন্তুষ্ট থাকেনা, সে চায় যেন তার আরো বেশি হোক। কিন্তু একটা মানুষ যদি অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকে তবে একসময় দেখা যাবে সেই মানুষটা সুখী হতে পারবে। কারণ উচ্চশাই যেখানে শেষ হতে পারবে না, সেখানে মানুষ শান্তি ও পাবে না। একটা মানুষের যত বেশি টাকা রয়েছে, তার চিন্তা এবং টেনশন তত বেশি হয়ে থাকে। আর এসব কারণে সেই মানুষটা ভালোভাবে এবং শান্তিতে বাঁচতেও পারে না। সকল উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং উচ্চাশা বাদ দিলেই আমরা শান্তিতে বাঁচতে পারব। এটা একেবারে সত্য কথা এবং এই কথার সাথে আমি একমত। আপনার লেখাটা সত্যি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
আপনার এই কথাটার সাথে আমি পুরোপুরিভাবে একমত আপু। উচ্চাশা শেষ হলেই সেখান থেকে শান্তি শুরু হয়। উচ্চাশা শেষ না হলে কখনো কোনো মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না, এবং কি সুখে থাকতে পারবে না। প্রত্যেকটা মানুষ এর যত বেশি থাকুক না কেন, সে মানুষগুলো শুধু চাইতেই থাকে। কিন্তু তখন সেই মানুষগুলো শান্তিতে থাকতে পারে না একেবারেই। যাদের টাকা বেশি তাদের চিন্তাটাও বেশি থাকে। রাতে ভালোভাবে ঘুমাতেও পারেনা। আর যখনই দেখা যাবে উচ্চাশা শেষ হয়ে গিয়েছে, তখন থেকেই তাদের শান্তি শুরু হবে।
আশা আকাঙ্ক্ষা বাদ দেওয়া যাবে না জীবন থেকে, তবে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাদ দেওয়া অবশ্যই উচিত। কারণ সেখান থেকেই আমাদের জীবনে দুঃখের সূত্রপাত ঘটে। সত্যি কথা বলতে আমাদের জীবনের চাহিদা গুলোকে সীমিত করে ফেলা উচিত, যাতে আমাদের জীবন টেনশন মুক্ত থাকে। বেশি টাকা হলে যে লোকের টেনশন বেশি হয়, এ কথা পুরোপুরি সত্যি। আমাদের জীবনকে সুন্দর এবং টেনশন মুক্ত রাখতে হলে নিজেদের চাহিদার উপর কন্ট্রোল রাখতে হবে। যাইহোক, ভালো লাগলো আপু আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।
আপনার পোষ্টের টাইটেলটি খুবই সুন্দর এবং একদম বাস্তবিক সম্পূর্ণ।আসলেই মানুষের জীবনে স্বপ্ন ও বড় আশার শেষ নেই।কিন্তু তা পূরণ নিয়েই বাঁধে বিপত্তি।তাই উচ্চাশা না করে পরিশ্রম ও ধৈর্য্য ধরে কর্ম করা উচিত।সুন্দর লিখেছেন আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।