ছুটির দিনে ঘোরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
শুক্রবার দিন একটু ফ্রি ছিলাম ছুটির দিন ছিল পুরো সকাল থেকেই খুবই ভালো কাটিয়েছিলাম। বিকেলের দিকে ভাবলাম একটু বেরোনো যাক। আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল যদিও ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল না হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। তারপরও বৃষ্টি না মেনে বিকেলের দিকে বেরিয়ে গেলাম দুজনে। আর আজকে বেরোনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বোনের বাসায় যাওয়া। আপু কয়েকদিন হল বাসায় গিয়েছে আমাদের যাওয়া হয়নি। আমার হাজব্যান্ড বলছিল গিয়ে দেখে আসি কিরকম বাসা নিয়েছে তারা বা কোন জায়গায় আছে সেগুলো দেখার জন্যই বেরোলাম। আমরা ফেনীতে গিয়ে প্রথমে বোনের বাসায় গেলাম ।সেখানে কিছুক্ষণ বসলাম সবার সাথে কথাবার্তা বললাম। তারপর সন্ধ্যার আগেই আবার সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম।
এরপর আসার সময় বিভিন্ন মোবাইলের কাভারের দোকান চোখে পড়ছিল। আর আমার মোবাইলের কাভার পুরনো হয়ে গেছে প্রায় অনেক মাস আগেই পুরনো কভার আবার নিজের মোবাইলে লাগিয়েছিলাম। সেভাবে বেরোনোর সুযোগ হয়ে ওঠেনি বা মোবাইলের কাভারও কেনা হয়ে ওঠেনি। গেলাম অনেকগুলো মোবাইলের দোকানে কিন্তু কোন দোকানে আমি আমার মোবাইলের কাভার খুজে পাইনি।
এরপর গাড়িতে উঠে আবার রওনা দিলাম। গাড়িতে করে যাওয়ার সময় যে আমরা জ্যামে পড়েছিলাম পাশেই হঠাৎ চোখে পড়লে একটা মোবাইলের কাভারের দোকান। মোবাইলের কাভারের গুলো দেখতে হবে সুন্দর লাগছিল। খুবই আশা নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম কভার কেনার জন্য মাঝপথেই। সেখানে যাওয়ার পর দোকানদারকে যখন মোবাইল দেখালাম এবং কভার কথা বললাম দোকানদারও খুবই উৎসাহের সাথে বলল লেডিস কভার নাকি আমি তো অনেক খুশি হয়ে গিয়েছে। এরপরে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি পর আমার মোবাইলের কোন সুন্দর কভার পাওয়া যায়নি। দুই তিনটে কভার পাওয়া গেছে যেগুলো ময়লা জমে অনেক পুরনো লাগছে। খুবই খারাপ লাগলো আমার কাছে আর আমি আর আসতে আসতে বলছিলাম আবার যখন কখনো মোবাইল কিনব তখন এমন মোবাইল কিনব যে মোবাইলে সব সময় তা আবার সব দোকানেই কভার পাওয়া যায় এরকম মোবাইল দেখেই কিনব। কারণ সবাই মোবাইলের পেছনে খুব সুন্দর সুন্দর কাভার ইউজ করে কিন্তু আমার মোবাইলের কাভার কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না।
এরপর কি করবো আবার গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম আবার মাঝপথে নেমে গেলাম। কারণ আমাদের ফেনীতে খুবই সুন্দর একটি জায়গা আছে পার্ক সাথে একটা শিশু পার্ক রয়েছে। সেখানে গেলাম বড় একটা দিঘী রয়েছে সেখানে ভাবলাম কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে আসি তাহলে মনটাও ভালো লাগবে। সেখানে গিয়ে নামতেই মাগরিবের আজান দিয়ে দিল। এরপর দিঘী আশেপাশে অনেক মানুষই দেখছি বসে রয়েছে। সেখানে মানুষ বসে থাকে গল্প করে ফুচকা রয়েছে পাশে আবার পার্ক রয়েছে শিশু পার্কে গিয়ে কাছে সব সময় আনন্দ করে। আমাদের সাথে যেহেতু বাচ্চা কাচ্চা নেই সেজন্য আর আমরা পার্কের দিকে ঢুকিনি। আমরা এই দিঘিটির পাড়েই কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছি।
সেখানে আমরা অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম আশেপাশের দিকে ঠান্ডা বাতাস অনুভব করলাম। এবং অনেক ছবি তুলেছি নিজেদের ফটোগ্রাফি করছি। আশেপাশের ফটোগ্রাফি করেছি দিকের পাড়ে অনেকখানি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বললাম। পাশে আবার একটা লোক খেলনা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সেখানে খেলনা বিক্রি করেছে যারা আজকে এখানে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে এসেছে তারা তো এখান থেকে কিছু না নিয়ে যেতেই পারেনি যা দেখে বুঝলাম আর কি।
এরপর কিছুক্ষণ হাটাহাটি করার পর পাশেই অনেকগুলো ফুচকা দোকান ছিল। যখন দিঘীর পাড়ে পাড়ে হাঁটছিলাম তখন ফুচকা ওয়ালা ডাকছিল ফুচকা খেতে বসার জন্য তখন আমরা ভেতরের দিকে গিয়ে একটা ফুচকা দোকানে বসলাম এবং সেখান থেকে ফুচকা আর চটপটি দুটোই অর্ডার করেছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে তারা পানি এবং ফুচকা দিয়ে গেল ফুচকা খেতে বেশ ভালোই ছিল। চটপটি অতটা ভালো ছিল না। সেখানে বসে বসে কিছু ছবি তুললাম এবং ফুচকা খেলাম। অনেক মশা ছিল আমি বলছিলাম এখানে কয়লের ব্যবস্থা করলে ভালো হতো। খাওয়া দাওয়া করে তারপর বাড়ি ফিরে এলাম। এ ছিল ছুটির দিনের কিছু ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/Farjana47240232/status/1668271602771869700?t=sJ8IfRq2BNlld5fuv9AhMg&s=19
ছুটির দিনে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে। আপনি তো ছুটির দিনে বোনের বাসায় গেলেন এবং সেখান থেকে পার্কে ঘুরতে গেলেন অসাধারণ একটি সময় কাটালেন। সাথে তো লোভনীয় খাবার দাবার খেলেন। মুহূর্তটি বেশ সুন্দর কাটিয়েছেন দেখে বুঝা যাচ্ছে। আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি তো দেখতেছি ছুটির দিনে ভালোই ঘুরাঘুরি করলেন। যাক ভালই করলেন আপনি আর আপনার হাসবেন্ড আপনার বোনের বাসা দেখলেন এবং তাদের সাথে দেখা করে আসলেন। আর কিন্তু আপু ফেনী পার্ক খুব সুন্দর। সামনে অনেক বড় ডিগি এবং পরিবেশ খুব চমৎকার। আমি নিজেও কয়েকবার গেলাম ওই পার্কের মধ্যে। তবে মনে হয় আপু খুব মজা করে ফুচকা খেলেন। যাক সুন্দর সময় পার করে সুন্দরভাবে বাড়িতে ফিরে আসলেন।
আপনি তো দেখতেছি ভাইয়াকে নিয়ে শুক্রবার ভালই ঘুরাঘুরি করলেন বিকেল বেলা । বোনের নতুন বাসা দেখলেন এবং তাদেরকেও দেখে আসলেন। তবে পার্কে অনেক সুন্দর। বিশেষ করে সামনের দিঘী এবং শিশু পার্কে এবং বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ ফলের গাছ ও বসার খুব সুন্দর জায়গা ওখানে আছে। আমি বিদেশ থেকে আসার পর প্রথমবার গিয়ে দেখি হতবাক হয়ে গেলাম। কারণ পার্কের পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। তবে আপু মনে হয় খুব মজা করে ভাইয়াকে নিয়ে ফুচকা খেলেন।
আসলে যে কোন মোবাইল ফোনের কভার যে কোন সময় পাওয়া যায় না। যাহোক ফেনী শিশু পার্কের পরিবেশটা দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে আপনার সুস্বাদু খাবার খাওয়ার মুহূর্তটা নিঃসন্দেহে আনন্দের ছিল। ছুটির দিনে ঘোরাঘুরির মাধ্যমে কাটানো মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কিছু কিছু মোবাইলের কাভার রয়েছে যেগুলো সঠিক সময়ে পাওয়া যায় না। আপনার মোবাইলের কভার টা অনেক মাস হয়েছে খারাপ হয়ে গিয়েছে কিন্তু চেঞ্জ করতে পারেননি। ভাইয়ার সাথে ঘুরাঘুরি করে বেশ ভালোই মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন দেখছি। ফুচকা এবং চটপটিও খাওয়া হয়েছিল তাহলে। একা একা এভাবে ঘুরাঘুরি করা কিন্তু ভালো না। সব মিলিয়ে আপনার ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্তটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। খুব সুন্দর ছিল মুহূর্তটা বলতেই হয়।
শুক্রবার মানে যেন ঘোরাঘুরি করার এক অন্যতম একটি সময় এই জিনিস প্রায় সকলেই কম বেশি ঘুরাঘুরি করে থাকে আপনারাও দেখছি শুক্রবার ঘোরাঘুরি করেছেন দুজনে। যদিও বোনের বাসায় যাওয়ার জন্য আপনারা বের হয়েছিলেন বৃষ্টির কারণে হয়তোবা থেমে গিয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই বের হয়ে গিয়েছেন। যাই হোক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি দুজনে মিলে ফুচকা খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ফুচকা খেতে সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে বলে আমার মনে হয়। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ছুটির দিনে ভাইয়ার সাথে খুব সুন্দর ঘোরাঘুরি করেছেন এবং দোকান থেকে কিছু কেনাকাটা আবার রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার অপরূপ সুন্দর দৃশ্য,খুবই ভালো লাগলো সুন্দর একটি আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে। আশা করি প্রত্যেকটা দিন যেন এমন সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত দিয়ে আপনাদের অতিক্রম হয় সেই দোয়া রইল।
হালকা বৃষ্টিতে ভিজে আপনারা আপনার বোনের বাসায় গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো আপু ।ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা।তাছাড়া আপনাদের ফুচকাগুলিতে ডিমের অংশ দেওয়াতে কেমন অদ্ভুত লাগে আমার কাছে।আশা করি বেশ সময় কাটিয়েছেন, ধন্যবাদ আপু।