রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

_1685022534570.jpg

আবারো চলে এলাম আপনাদের মাঝে কিছু আনন্দের মুহূর্তে শেয়ার করার জন্য। কিছু বাইরে ঘুরতে যাওয়া খাওয়া-দাওয়া করতে শেয়ার করার জন্য। এইতো প্রায় দুইদিন আগে বেরিয়েছিলাম বিকেল বেলা। সেদিন সারাদিন প্রায় বৃষ্টি হয়েছিল বাইরে অনেক বাতাস ঝড় তুফান হয়েছিল। বিকেলবেলা বৃষ্টি থামার পর আমরা বেরিয়েছিলাম। বেরিয়ে বাজারে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। রিকশায় করে যাওয়ার সময় পরিবেশটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কারণ বাইরে অনেক বাতাস আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা সেজন্য রিকশায় করে বাজারে যেতেও বেশ ভালো লাগলো।

IMG-20230522-WA0021.jpg

IMG-20230522-WA0029.jpg

বাজারে গিয়ে প্রথমে কিছু কেনাকাটা করলাম। বেশি তো সময় লাগেনি কেনাকাটা করতে কেন জানি। মেয়েদের অনেক বেশি কেনাকাটা করতে সময় লাগে আমারও মাঝে মাঝে লাগে। কিন্তু আমার মাঝে মাঝে কিছুক্ষণের মধ্যেই সব কেনাকাটা হয়ে যায় এটা আমার কাছে বেশ অবাক লাগে।যেই দিন তাড়াতাড়ি কেনাকাটা হয়ে গেছে সেদিন মনে হয় কিছুই কেনা হয়নি। যাইহোক কেনাকাটা শেষে একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। রেস্টুরেন্টে প্রবেশের যেই দরজাটা রয়েছে এই দরজাটা এত ওজন আমি কখনোই খুলতে পারিনা।এখনো পর্যন্ত রেস্টুরেন্টে যতবারই গিয়েছি এই দরজাটা আমি কখনোই খুলতে পারিনি। আগে চিকন ছিলাম কিন্তু এখন অনেকটাই শরীর বেড়েছে তাও ওই দরজাটা আমি খুলতে পারিনা।

IMG-20230522-WA0030.jpg

IMG-20230522-WA0028.jpg

এরপর রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে বসলাম। বসে জানালার পাশ দিয়ে বাইরের এই পরিবেশটা উপভোগ করছিলাম। বাইরে আশেপাশের গাছগুলো বাতাসে এদিক থেকে ওইদিক ধুলছিল দেখে মনে যেন আলাদাই শান্তি পাচ্ছিলাম। এরপর খাওয়ার জন্য অর্ডার দিলাম। আমরা খাওয়ার জন্য অর্ডার দিয়েছিলাম চিকেন সাবোওয়ে। তারপর অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয় কারন অর্ডার দেওয়ার পর সাথে সাথেই তারা খাবারটা বানিয়ে দেয়। কিন্তু আজকে অপেক্ষা করতে খারাপ লাগছিল না কারণ বাইরে পরিবেশটা বেশ ভালো লাগছিল। অনেকটাই সময় ধরেই বাইরে জানালা দিয়ে বসে বসে বাইরে পরিবেশটা উপভোগ করছিলাম। আর অনেক ধরনের কথা বলছিলাম।

IMG-20230522-WA0036.jpg

IMG-20230522-WA0032.jpg

এর মধ্যে অপেক্ষা করতে করতে ভাবলাম কিছু ছবি তুলে নিই। যেখানেই যাই ফটোগ্রাফি আর নিজের ছবি না তুললে যেন ওই জায়গায় যাওয়ায় সম্পূর্ণ হয় না। খাবার আসার জন্য অপেক্ষা করতে করতে কিছু নিজের ছবি তুলে নিলাম কিছু বাইরের ফটোগ্রাফিও করে নিলাম। তার মধ্যে হাজবেন্ডের সাথে বসে বসে অনেক ধরনের কথা বলছিলাম বকবক করছিলাম। আর রেস্টুরেন্টে এর আগে অনেক বার এসেছিলাম। তারা আবার আমাদের এই এলাকার মধ্যে হোম ডেলিভারি ও দিয়ে থাকে। আমার কাছে সব ধরনের বার্গার এর থেকেই রেস্টুরেন্টের বার্গার একটা বেস্ট মনে হয়।

IMG-20230522-WA0008.jpg

IMG-20230522-WA0013.jpg

কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের খাবার চলে এসেছে। খাবারটা খেতে বেশ ভালোই লেগেছে সবকিছুই ফ্রেশ ছিল। গরম গরম এই খাবারটা বাইরের ঠান্ডা পরিবেশের সাথে খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর আমাদের এই এলাকার সবগুলো রেস্টুরেন্ট খাবার থেকে এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান স্বাস্থ্যকর খাবার সব দিক দিয়ে এই রেস্টুরেন্টটা সবার উপরে রয়েছে। খাবার সুস্বাদু হয় আর রেস্টুরেন্টের পরিবেশ বেশ ভালো তারা সব ধরনের স্বাস্থ্যকর উপায় মেনে পরিবেশন করা যা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।

IMG-20230522-WA0012.jpg

খাওয়া শেষে একটা কোল্ড ড্রিংস খেলাম খেতেও বেশ ভালো লেগেছে। কোল ড্রিংস খাওয়া শেষ আমরা বিল দিয়ে বাইরে চলে এলাম। এরপর একটা রিকশা করে বাড়িতে চলে গেলা।ম বাড়িতে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল আর সন্ধ্যাবেলায় বাইরে বাতাস বাইরে এই সময় রিকশায় করে আসতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আর খাবারের মান অনেক বেশি ভালো ছিল। আসলে মাঝেমধ্যে এরকম বের হয়ে বাইরে থেকে ঘুরে আসলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বাড়িতে থাকতে থাকতে খুবই খারাপ লাগে। যাইহোক আশা করি আমারে বাইরে খাওয়া-দাওয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Sort:  
 last year 

যাক আপনি অল্প সময়ের মধ্যে কেনাকাটা করে ফেলেছেন। আসলে হালকা ঠান্ডা মধ্যে গরম কিছু খেতে পারলে অনেক ভালোই লাগে। আর প্রিয় মানুষের সাথে নাস্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। মাঝেমধ্যে কোথাও ঘুরতে গেলে মনটিও ফ্রেশ হয়। যাক চেনা পরিবেশে গিয়ে নাস্তা খেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।

 last year 

বেশ ভালোই রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন। এটা সত্যি ঠান্ডা আবহাওয়া এমন গরম গরম খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। আর যদি হাজবেন্ড এর সাথে যাওয়া হয় তাহলে তো আরো অনেক ভালো লাগে। আর কোল্ড ড্রিংস আমার অনেক পছন্দের। আপনার সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

অনেকদিন পর রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করলাম । অনেক বেশি ভালো লাগলো যার কারণে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কমেন্টস করার জন্য।

 last year 

ঠিক বলেছেন গরম গরম খাবার ঠান্ডা পরিবেশে খেতে খুব মজাই লাগে। বৃষ্টির দিনে আপনার হাসবেন্ড কে নিয়ে দেখতেছি ভালো কেনাকাটা করলেন এবং রেস্টুরেন্ট ভালো খাবার খেলেন। আসলে মাঝেমধ্যে এরকম গোরতে গেলে মনটাই ভালো লাগে। যাক আপনি পাতলা থেকে এখন একটু মোটা হয়েছেন । আর আপনার অনুভূতি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ঠান্ডা পরিবেশে গরম কিছু খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। অনেকদিন পর বাজারে গিয়েছিলাম এবং হালকা-পাতলা কিছু কিনেছিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য।

 last year 

ঠিক বলছেন আপু বৃষ্টির দিনে যদি একটু ঠান্ডা ঠান্ডা বের হওয়া যায় তাহলে অনেক ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি খুব তাড়াতাড়ি কেনাকাটা করলেন আর কেনাকাটা তাড়াতাড়ি হয়ে গেলে ভালো লাগে। খাওয়া-দাওয়া ও তো দারুণ করেছেন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছে ভালো লাগলো পড়ে।

 last year 

একদম ঠিক বলেছেন আপু ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশে বেরোলে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশে গরম গরম খাবার খেয়েছিলেন রেস্টুরেন্টে গিয়ে। আপনাদের কাটানো এত সুন্দর একটা মুহূর্তের পোস্ট খুবই সুন্দরভাবে উপভোগ করেছি আপু। খাওয়া দাওয়া করার খুবই সুন্দর একটা পোস্ট নিয়ে আপনি আজকে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। আসলেই মাঝে মাঝে এভাবে বাহিরে গিয়ে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আর যদি হয় এরকম একটা পরিবেশে তাহলে তো কোন কথাই নেই। খাবারটা দেখেই বুঝতে পারছি অনেক টেস্টি ছিল। খাবারের মান অনেক ভালো এই রেস্টুরেন্টের।

 last year 

আমাদের কাটানো মুহূর্তগুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন জেনে খুবই ভালো লেগেছে। একদম ঠিক বলেছেন এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান অনেক ভালো। আর ঠান্ডা পরিবেশে গরম গরম খাবার খেতে অনেক ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আমার এই পুরো পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।

 last year 

যে রেস্টুরেন্টে খাবারের মান ভালো সেই রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি রেস্টুরেন্টে খুবই সুস্বাদু খাবার খেয়েছেন। চমৎকার একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে সুস্বাদু খাবার খাওয়ার মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

যে রেস্টুরেন্ট খাবারের মান ভালো সে রেস্টুরেন্ট খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা একদম সত্য কথা বলেছেন আপনি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।

 last year 

আরে আপু আপনি তো দেখছি ভাইয়ার সাথে একা একা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে এসেছেন। আমাদেরকে একটু বললেও পারতেন। আপনাদের সাথে দরকার হলে আমরাও যেতাম। টাকা আপনারা না দিলেও আমরা নিজেরা কিনে খেতাম শুধু খাওয়া দাওয়া টা এক সাথেই হতো আর কি। একা একা অনেক খাবার খেয়েছিলেন মনে হয়। বেশি খাবার খাওয়া ভালো না মোটা হয়ে যাবেন না হলে। হি হি হি। যাইহোক ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশে গরম খাবার বেশ মজা করে খেয়েছিলেন। খাবার দেখে তো লোভ লেগে গেল। সম্পূর্ণ খাওয়া-দাওয়া করার পোস্ট পড়ে বেশ ভালোই উপভোগ করলাম। আশা করছি পরবর্তীতে যাওয়ার সময় আমাকে বলবেন।

 last year 

আপনি কত ব্যস্ত মানুষ আপনার সময় হতো আমাদের সাথে খেতে যাওয়ার। সেতো না খেয়েও দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছি এই নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ও আছি। অবশ্যই পরবর্তীতে যাওয়ার সময় আপনাকে বলব।

 last year 

হ্যাঁ দিদি আপনি ঠিকই বলেছেন বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। মাঝেমধ্যে যদি বাইরে থেকে ঘুরে আসা যায় আর যদি হয় রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া আর তো কোন কথাই হয় না। আমারও বাইরে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। আপনি আরো বলেছেন বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরপরই আপনারা বাইরে কেনাকাটা করতে গিয়েছেন তাও আবার রিকশায় চড়ে। রিকশায় কোরে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে কারণ সুন্দরভাবে বাইরের প্রকৃতিকে উপভোগ করা যায় আরো যদি হয় বৃষ্টির পরে আবহাওয়া। কারণ বৃষ্টির পরে আবহাওয়াটা খুবই সুন্দর প্রকৃতিকে তার সৌন্দর্যে আলোকিত করে তোলে। যাই হোক আপনার সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

বৃষ্টির দিনে বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর প্রাকৃতিক দৃশ্য অনুভব করার মজাটাই অন্যরকম। তখন চারিদিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকে সবকিছু উজ্জ্বল এবং মসৃণ দেখায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপু মার্কেটে বা বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করে আসার সময় কিছু না খেয়ে আসতে মন চাই না। আপনি তো ভাইয়াকে সাথে নিয়ে গেছিলেন। দুইজন মিলে ভালই সময় কাটিয়েছেন। চিকেন সাবোওয়েটা আমার কাছেও ভাল লাগে। ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64186.90
ETH 2759.80
USDT 1.00
SBD 2.66