জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ হল ভালবাসা।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ হল ভালবাসা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সবার সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করব আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। আমি মনে করি জীবনে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে ভালোবাসা। কারো জীবনে যদি ভালোবাসা না থাকে তাহলে সে বেঁচে থাকতে অনেক বেশি কষ্ট হয়। সেটা যে শুধু হাজব্যান্ড ওয়াইফ আর প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে ভালোবাসা তা নয় আমি সেই ভালোবাসাকে বোঝাচ্ছি না। আমি আমাদের আশেপাশে থাকা প্রত্যেকটা মানুষ পরিবার সমাজ থেকে পাওয়া ভালোবাসার কথা বলেছি। যে ভালোবাসা আসলে জীবনে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
কোন মানুষের জীবনে কারো ভালোবাসা ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না। কারণ কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয় জীবনে একা বেঁচে থাকা। মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই সমাজবদ্ধ হয়ে বেঁচে আছে এবং বসবাস করে যাচ্ছে। মানুষের পক্ষে কখনোই একা থাকা সম্ভব নয়। এজন্যই প্রাচীনকাল থেকে সমাজপদ্ধভাবে জীবন যাপন করতে করতে একটা সময় সেটা এসে পরিণতি পেয়েছে একটা পরিবারে আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে। আত্মীয়-স্বজনের আর পরিবারের মানুষের থেকে নিজের আপনজন মা-বাবা থেকে ভালোবাসার মাধ্যমে মানুষ খুবই সুন্দরভাবে জীবন যাপন করে যাচ্ছে এবং খুবই আনন্দে রয়েছে। এখন কথা হচ্ছে চিন্তা করুন তো এই আদর ভালবাসার ময় যুগে যেখানে আদর ভালোবাসা মানুষের স্নেহ মায়া মমতা ছাড়া বাঁচা সম্ভব না। সেখানে যদি সেই আদর ভালোবাসা স্নেহ মায়া মমতা কিছুই না থাকে তাহলে একজন মানুষ সমাজে কিভাবে বেঁচে থাকবে।
তার জীবনে কি আত্মীয়-স্বজন পরিবার-পরিজন সবাই মায়া মমতা ভালবাসা ছাড়া সে কি আনন্দে রয়েছে তার জীবনে কি আনন্দিত। একদমই না। পৃথিবীতে আমি মনে করি সেই একমাত্র সুখী যে পরিবার আত্মীয়-স্বজন থেকে আদর ভালোবাসা মায়া-মমতা সবকিছু পেয়ে থাকে এবং পাওয়ার মাধ্যমে সে সুস্থ স্বাভাবিক সুন্দর আনন্দময় একটা জীবন যাপন করে। কিন্তু সেই ব্যক্তির কি অবস্থা হবে যে ব্যক্তিটি একটি পরিবারের মা বাবা আত্মীয়-স্বজন সমাজ সবার মাঝখানে বাঁচার পরও তার জীবনে কোনরকম কারো ভালোবাসা নেই কোনোরকম আনন্দ নেই। সে মা-বাবা থেকে শুরু করে পরিবারের আপনজনদের কাছে সেই কোন রকম ভালোবাসা স্নেহই পাচ্ছে না। পাচ্ছে না বললে ভুল হবে যদি তাকে কেউ আদর যত্ন না করে ভালোবাসার না দেয় ইচ্ছে করে।
তখন সেই মানুষগুলোর মধ্যে ভালোবাসা হীন মানুষগুলোর মাঝখানে প্রতিটা দিন কাটাতে তার কাছে কতটা কষ্ট লাগে। সেটা একবার ভেবে দেখেছেন। আমি তো মনে করি জীবনের সবচেয়ে কঠিন জীবন যাপন সেই করে যার জীবনের পরিস্থিতিটা এরকম হয়। আমার মনে হয় একজন সন্তানকে তার মা-বাবা সমান চোখেই দেখা উচিত। প্রত্যেকটা সন্তানই মা-বাবার কাছে সমান হওয়া উচি।ত একটা সন্তানকে অনেক বেশি আদর যত্ন করবে আর একটা সন্তান কি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে। এরকম দুই সন্তানের প্রতি দুই রকম নজর রাখার থেকে আমার মনে হয় তাদের ভেবেচিন্তে সন্তান নেওয়া উচিত ছিল। কারণ একটা সন্তানের বেশি আর বাকি সন্তানদেরকে যখন আদর যত্ন ঠিকভাবে সমানভাবে দিতে পারবে না তাদের এতগুলো সন্তান নেওয়ার প্রয়োজন কি ছিল।
সে সন্তান যখন বড় হয়ে বুঝতে পারে যে তার মা-বাবা তার ভাই বোনদের তুলনায় তাকে কম আদর যত্ন ভালোবাসা দিচ্ছে। তখন তার জীবনটা কিভাবে কাটে তখন সে জীবনের কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটা আসলে যারা এরকম পরিস্থিতিতে পড়েছে তারাই বুঝতে পারবে। আর জীবনে একদমই আনন্দে থাকা যায় না যদি এই সমান ভাবে সমভাবে আদর যত্ন ভালোবাসা না দেয়। সেজন্য আমি মনে করি জীবনে আনন্দে থাকার জন্য ভালোবাসাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আসলে আমাদের আত্মীয়-স্বজন মা-বাবা থেকে আমরা পেয়ে থাকি। সেই মা বাবা যদি বেইমানি করে প্রতারণা করে তখন তার থেকে দুঃখী মানুষ আর আনন্দহীন মানুষ মনে হয় আর কেউ হয় না। যাইহোক নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1770457068409135230?t=gezkck0AaxvKGlxO2y8kQA&s=19