আলু ও নুডুলস দিয়ে তৈরি পাকোড়া।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি পোস্ট । আমি তৈরি করেছি আজকে আমি আলু ও নুডুলস এর পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। রান্না করাটা আমার একটা শখ । আজকেও আপনাদের সাথে নতুন একটি রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে। আজকে আমি তৈরি করেছি আলু ও নুডুলস দিয়ে পাকোড়া। বিকেল বেলা নাস্তা সময় চিন্তা করছিলাম কি নাস্তা করব। তখন চিন্তা করলাম এখন চায়ের সাথে গরম গরম পাকোড়া হলে জমে যাবে। পাকোড়া তো বানাবো ঠিক করলাম কিন্তু কিসের পাকোড়া বানবো এটাই ভাবছিলাম।ঘরের মধ্যে আলু আর নুডুলস ছিল । আলু ও নুডুলস দিয়ে পাকোড়া তৈরি করে ফেলেছি। তিনটি আলু দিয়েছিলাম সিদ্ধ করার জন্য। তিনটি আলু দিয়ে ১৬টা পাকোড়া হয়েছিল। এগুলো কিভাবে তৈরি করেছে তা আপনাদের সাথে নিচে শেয়ার করেছি। তাছাড়া পাকোড়া গুলো খেতে অনেক মজা হয়েছিল। উপরে মুচমুচে নুডুলস আর ভিতরে নরমাল আলু ছিল। সস দিয়ে পরিবেশন করেছিলাম দিয়ে খেতে অনেক মজা হয়েছিল। আশা করি আপনাদের কাছে আমার তৈরি আলু ও নুডুলস এর পাকোড়া ভালো লাগবে।
উপকরণ
আলু
নুডুলস
পেঁয়াজ
কাঁচামরিচ
ধনেপাতা
লবন
মরিচ
হলুদ
মসলা
আটা
ডিম
তেল
তৈরি করার পদ্ধতি:-
প্রথমে আমি কয়েকটি আলু সিদ্ধ করে নিয়েছি। সিদ্ধ করে চামড়া ছাড়িয়ে ম্যাশ করে নিয়েছি। এরপর আমি ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিলাম আলুর মধ্যে।
এরপর আমি আলুর মধ্যে কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম। তারপর সবকিছু একসাথে ভালো করে মেখে নিলাম।
এখন আমি আলুর মিশ্রণটির মধ্যে সামান্য পরিমাণ আটা, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর নুডুলসের মধ্যে যে মসলার প্যাকেটটা থাকে সেই মসলার প্যাকেট একটিও দিয়ে দিলাম। সবকিছু দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।
এরপর আলুগুলোকে আবারো ভালো করে মেখে নিলাম। মেখে নিয়ে সামান্য পরিমাণ আলু নিয়ে নিলাম পাকোড়া বানানোর জন্য।
একটু আলু হাতের মধ্যে নিয়ে লম্বা একটি শেপ দিয়ে দিলাম পাকোড়ার। আলুর পুরো মিশ্রণ দিয়ে এভাবেই আমি পাকোড়া তৈরি করে নিলাম ।
একটি বাটির মধ্যে আমি আটা নিয়ে নিলাম। এরপর আলু দিয়ে তৈরি একটি পাকোড়া আটার মধ্যে রেখে ভালো করে আটা লাগিয়ে নিয়েছি।
এখন আমি বাটির মধ্যে দুটো ডিম নিয়ে ডিমগুলোকে ভালো করে ফাটিয়ে নিয়েছি। এরপর আটা মাখানো পকোড়াটি আমি ডিমের মধ্যে রেখে ভালো করে ডিম লাগিয়ে নিয়েছি।
দুই প্যাকেট নুডুলস নিয়েছি। নুডুলস গুলোকে ভালো করে ভেঙে গুড়ো গুড়ো করে নিলাম। ডিম মাখানো পাকোড়া নুডুলস এর মধ্যে রেখে ভালো করে পাকোড়ার গায়ে নুডুলস লাগিয়ে নিলাম। এরকম করেই সবগুলো পাকোড়া মধ্যে আটা, ডিম ও নুডুলস লাগিয়ে বানিয়ে নিয়েছি।
এরপর একটি কড়াই এর মধ্যে তেল দিয়ে দিলাম পোগড়া গুলো ভাজার জন্য। তেল গরম হওয়ার পর পাকোড়া একটি একটি করে তেলের এর মধ্যে দিয়ে দিলাম।
পাকোড়া গুলো যখন লাল লাল হয়ে গেল তারপর কড়াই থেকে নামিয়ে নিলাম।
কড়াই এর মধ্যে ভাজার পর আমি একটি প্লেটের মধ্যে রেখে পরিবেশন করে নিয়েছি। প্লেটের মধ্যে রেখে দুই পাশে সস লাগিয়ে নিলাম এবং ধনেপাতা কিছু রেখে পরিবেশন করে নিলাম । পাকোড়া খেতে বেশ মজাই হয়েছিল ।আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই আলু ও নুডুলস পাকোড়া রেসিপিটি ভালো লাগবে।
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
আপু,খুবই মুখরোচোক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখছি। মচমচে ও মজাদার এই রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে বিকেল বেলায় চায়ের সাথে এই পাকোড়ার জুড়ি মেলা ভার। আপনি কিভাবে এই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন তার প্রতিটি ধাপ চমৎকারভাবে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
নুডুলসের তৈরি এই পাকোড়া গুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। বিকেল বেলার রাস্তায় পাকোড়ার জুড়ি নেই। ছোট থেকে বড় সবাই কিন্তু এই পাকড়াগুলো খেতে বেশ ভালোবাসে। আপনি খুব চমৎকারভাবে পাকোড়া তৈরি করেছেন এবং অনেক সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন বিকেলবেলা নাস্তায় অনেক ধরনের পাকোড়াই খাওয়া হয় ।ধন্যবাদ সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
আলু ও নুডুলস দিয়ে মজাদার পোকোরা রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো। এভাবে নুডুলস এর পকোড়া তৈরি করা যায় তা আগে জানা ছিল না। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিলাম এবং সুন্দর রেসিপি শিখে নিলাম। বিকেলে নাস্তা হিসেবে পারফেক্ট একটি খাবার আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য
বিকেল বেলা চায়ের সাথে যেকোনো ধরনের পাকোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। নুডুলস ও আলু দিয়ে সুস্বাদু পাকোড়া তৈরি করেছেন। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ও সহজ ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে যে কেউ খুব সহজেই তৈরি করতে পারবে। সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
চায়ের সাথে বিকেলের নাস্তায় যেকোনো ভাজা ভুজি খুব ভাল ই লাগে।আর তা যদি নিজে করে খাওয়া হয় তবে অনেক ভাল হয়।আপনি আলু আর নুডুলস দিয়ে দারুন পাকোড়া করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খুব ভাল লাগলো আপু। খেতে খুব মজা হয়েছে আশাকরি। অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার মত রান্না আমারও বেশ পছন্দ। আমি রান্না বান্না করতে খুব ভালোবাসি ।নতুন নতুন রান্না করতে খুব ভাল লাগে। এভাবে কখনো নুডুলস পাকোড়া আলু দিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে নুডুলস পাকোড়া কয়েকবার খেয়েছিলাম। আপনার রেসিপিটি দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে ।আমি অবশ্যই একবার ট্রাই করবো আপু।আপনাকে ধন্যবাদ আপুমনি।
এই রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
আলু ও নুডুলস দিয়ে খুব সুন্দর পাকোড়া তৈরি করেছেন। রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা। এত লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি রান্না করতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। আলু ও নুডুলস দিয়ে তৈরি পাকোড়া দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ মজা হয়েছে। এধরনের খাবার গুলো আমার ভীষণ প্রিয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপু। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মাশাল্লাহ দারুন খাবারতো।এতো সুন্দ একটি খাবার বাসাই তৈরি করা যাই আগে কখনও ভাবি নাই।দেখেইতো খেতে ইচ্ছা করছে আপু।পার্সেল করে দেয়া যাবে একটু 🙈🙈🙈 দুষ্টামি করলাম আপু।এখন কার মেয়েরাতো রান্নার কাছেই যেতে চাই না। আর আপনি রান্না করতে অনেক পছন্দ করেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। অবশ্যই নেক্সট কোনো রেসিপি তৈরি করলে আপনার জন্য পার্সেল পাঠিয়ে দিব।
কিছুদিন আগে আমিও এভাবে আলু এবং নুডলস দিয়ে পাকোড়া তৈরি করেছিলাম। খেতে ভালো লেগেছিল। আজকে আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। আসলে মাঝে মাঝে বিকেলের রাস্তায় চিন্তা করতে হয় কি করা যায়। আর এসব মুখরোচক খাবারগুলো তৈরি করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি খেতেও ভালো লাগে। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আপু।
বিকেলের নাস্তা আসলে মুখোরচক কিছু না হলে ঠিক জমে না। ধন্যবাদ সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য