অতি দর্পে হত লংকা ।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। অতি দর্পে হত লংকা এই বিষয়টা নিয়ে কিছু আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

IMG-20231120-WA0033.jpg

আজকে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকে আমি কিছু কথা নিয়ে আলোচনা করব। আমার আজকের বিষয়টি হলো কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত অহংকার করা ভালো নয়।এতে মানুষের অনেক খতি হয় অতি দর্পে হত লংকা এই কথা দ্বারা এই কথাটা বুঝাতে চেয়েছি আমি। আসলে আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা সামান্য কোনো কিছু নিয়ে অনেক বেশি অহংকার করে। অহংকার করার যদি কারন থাকে তাহলে সেটা নিয়ে অহংকার করা যায় কিন্তু কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত অহংকার কখনো ভালো ফল দেয় না।সব সময় খারাপ কিছু জীবনে ডেকে আনে।আর কোনো বিষয় নিয়ে মানুষের সামনে বেশি অহংকার করলে তখন আশে পাশের মানুষ ও বিরক্ত হয় এবং মন্দ কথা বলে।

সেজন্য আমার মনে হয় কোনো কিছু করার হলে লিমিট এর মধ্যে করা ভালো। অতিরিক্ত কোনো কিছু কিছু আমদের জন্য ভালো নয়।যেমন কেউ লেখাপড়া ভালো ।সে যদি তার লেখাপড়া নিয়ে অনেক অহংকার করে। আপনার সামনে সমাজের আর পাঁচটা মানুষের সামনে তার লেখাপড়া নিয়ে অহংকার দেখায়। সব সময় তার লেখাপড়া নিয়ে সমাজের মানুষকে ভালো কথা বলে। কিছুদিন পর সেই মানুষ গুলো বিরক্ত হয়ে যাবে এবং বলবে যে একটু লেখাপড়া পারে সেজন্য সব সময় নিজের প্রশংসা নিজেই করে ‌তখন তারা আপনাকে খারাপ বলবে।যেইখানে আপনি আপনার ভালো লেখাপড়া জন্য সমাজের প্রশংসার পাএ হতে পারতেন‌ আজকে অতিরিক্ত অহংকার এর কারনে আপনি সামাজের মানুষ আশেপাশের মানুষের কাছে খারাপ হয়ে গিয়েছেন।

সেই রকম আমাদের মাঝে বিদ্যমান কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত অহংকার করা উচিত নয়। কোনো জিনিস নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে ভালো তো কিছু হয় না উল্টো খারাপ হয়। বিষয়টি যে শুধু লেখাপড়ার তা নয় টাকা পয়সা, সোনা গয়না, বাড়ি গাড়ি, রং রুপ সব বিষয়ে একই কথা বলবো অতিরিক্ত কোনো কিছু ঠিক নয়। যেমন আমাদের এলাকার একটি ঘটনা তাদের জীবন কাহিনী আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। কিভাবে তারা অতিরিক্ত অহংকার করার কারণে তারা কিভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তাদের পরিবারের শুরু থেকে তারা অনেক বেশি কষ্টে জীবন কাটিয়েছে তাদের টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ি কিছু ছিল না।

অনেক কষ্টে জীবন কাটাতে কাটাতে একটা সময় নিজেদের চেষ্টায় কাজ করে আস্তে আস্তে তাদের অভাব অনাটন দূর হয়। সুন্দর করে জীবন কাটাতে থাকে।ছেলে মেয়ে বউ বাচ্চা নিয়ে খুবই সুন্দর করে জীবন কাটাতে থাকে।এই ভাবে টাকা ইনকাম করে সুন্দর ভাবে তাদের জীবন কাটাতে থাকে। কয়েক বছর পর টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ি সব হয় তাদের। তাদের জীবনে অভাব শব্দটি জেন কখনো ছিলনা। একটা সময় আশেপাশের মানুষের থেকে ও অনেক টাকা পয়সার মালিক তারা হয়ে যায়। আশেপাশের গরীব মানুষ তারা সাহায্য করতো। অসহায় মানুষকে বাড়িতে ঢেকে এনে খাওয়াতে।সেই অসহায় মানুষ তাদের থেকে সাহায্য ফেলে ও কখনো মন থেকে সন্তষ্ট হতো না।কারন তাদের সাথে তারা অনেক অহংকার দেখাতো।

তারা টাকা পয়সা লোভে পড়ে এতটাই অহংকারী হয়ে উঠেছে যে আশে পাশে মানুষ পাড়া প্রতিবেশীকে তারা মানুষ মনে করত না।গরীব অসহায় মানুষের অনেক অবহেলা করতো।টাকা পয়সার অহংকার এতটাই অন্ধ হয়ে গিয়েছিল যে নিজের আপনজনেদর সাথে ও অনেক অহংকার দেখাতো।এই অহংকার তাদের বেশি দিন স্থায়ী ছিল না।এই অহংকার যখন তার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে তখনই তাদের জীবনে এলো বিপদ।যেই টাকা পয়সা নিয়ে এত অহংকার ছিল সেই টাকা পয়সা আর তাদের কাছে রইল না। আস্তে আস্তে টাকা পয়সা সব হারাতে থাকে।জমি সব বেচে দেয় টাকার জন্য।এই ভাবে সব কিছু তারা হারিয়ে পথে বসে। টাকা পয়সা কারনে যে দাপট তারা দেখাতো তা আর নাই। সেই জন্যই কোনো বিষয়ে অতিরিক্ত অহংকার করা ভালো নয়। অহংকার সব সময় বিপদ ডেকে আনে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Sort:  
 10 months ago 

ছেলেবেলায় তো পড়েছিলাম যে অহংকার পতনের মূল। আমিও এমন অনেক পরিবার দেখেছি যারা শুধমাত্র অহংকার করার কারনে পরে ধ্বংস হয়ে গেছে। আসলে কিসের এত অহংকার। যার জীবনে অহংকার বেশী তার পতন তত তাড়াতাড়ি। আপনি কিন্তু বেশ দারুন একটি পোস্ট আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। ‍শুভ কামনা রইল।

 10 months ago 

আসলেই আমাদের কখনোই কোনো বিষয় নিয়ে অহংকার করা উচিত নয়। আর আমিও অনেককে দেখেছি যারা গরীবকে খাবার দেয় ঠিক আছে কিন্তু তাদেরকে খুশি করতে পারে না। আর হ্যাঁ আমার মনে হয় কেউ যদি তার যোগ্যতা অভিজ্ঞতা থেকেও বেশি কিছু পেয়ে যায় তাহলে সেগুলো সঠিকভাবে দায়িত্ব নিতে পারেনা। যার কারণে মূলত অনেকে এরকম অহংকার করতে থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে যে এরকমটা হয় তা কিন্তু নয়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

সত্যি আমাদের আশেপাশে থাকা অনেক মানুষ রয়েছে, যারা অল্প কিছু নিয়েও অনেক বেশি অহংকার করে। আর এ বিষয়টা আমার কাছে একটুও ভালো লাগে না। যেকোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত অহংকার করা ভালো না। কারণ আজকের করা অহংকার হয়তো কালকে নাও থাকতে পারে। কথায় রয়েছে অহংকার পতনের মূল। আপনি কিন্তু আজকে অনেক সুন্দর একটা টপিক তুলে ধরে পোস্টটা লিখেছেন, যেটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। বাস্তবিক কথা তুলে ধরার কারনে ভালো লাগলো।

 10 months ago 

খুব সুন্দর কথা অতি দর্পে হত লঙ্কা।আসলে বেশি অহংকার করলে তা সৃষ্টিকর্তা কোন ভাবেই মেনে নেন না।আপনার গল্প থেকে বুঝতে পেলাম যতই মানুষকে সাহায্য সহোযোগিতাও খাওয়াক না কেন কেউ তাদের সেসব কর্মকাণ্ডে খুশি ছিলো না আর এই অহংকারে ফলে তাদের টাকা পয়সা ও জমিজমা সব ধ্বংস হয়ে গেলো।অহংকারী ব্যাক্তিরা এভাবেই কষ্ট পেয়ে থাকেন। তাই অহংকার করা উচিত নয়।ধন্যবাদ

 10 months ago 

টাকা পয়সা ক্ষমতা মেধা এগুলো সবগুলোই মোহ। যেটা আজ আছে কিন্তু কাল নাও থাকতে পারে। এগুলো নিয়ে বেশি অহংকার করা ঠিক না। কারণ এগুলো যদি অতি অহংকার এর জন্য চলে যায় তখন বেশ আফসোস করতে হয়। এইজন্যই হয়তো বলে অহংকার পতনের মূল। দারুণ লিখেছেন আপু।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 54610.81
ETH 2293.78
USDT 1.00
SBD 2.35