গল্প: লোভী ব্যবসায়ী
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। লোভী ব্যবসায়ীর গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাদের মাঝে প্রায়ই চেষ্টা করি গল্প শেয়ার করার আপনারা খুবই ভালোভাবে পড়েন এবং খুবই সুন্দরভাবে কমেন্ট করে থাকেন যেটা দেখে খুবই ভালো লাগে। সময় আপনাদের কাছে ভুতের গল্প শেয়ার করে থাকে ভূতের গল্প পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে সেজন্য আপনাদের মাঝেও শেয়ার করি। তবে আজকে আর ভূতের গল্প শেয়ার করবো না আজকের লোভী ব্যবসায়ীর গল্প শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে চলে এসেছি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্প।
একটা মধ্যবর্তী পরিবার তাদের জীবন যাপন করনের একমাত্র উপায় হচ্ছে সেই বাড়ির কর্তা ফুলের ব্যবসা করে। তিনি একজন ব্যবসায়ী খুবই পরিশ্রম করে তিনি এই ব্যবসাটা করেন মন প্রাণ দিয়েই এই ব্যবসাটা করে থাকেন। ব্যবসাটা তিনি খুবই মন থেকে শ্রদ্ধার সাথে করে থাকেন কারণ এই ব্যবসার মাধ্যমে তার সংসার চলে তার পেট চলে। তার ব্যবসাটা হচ্ছে তিনি বাগানে ফুল চাষ করেন তার একটা বড় ফুলবাগান রয়েছেন। সেই ফুল গাছগুলোকে তিনি অনেক যত্ন করে। অনেক যত্ন ও পরিশ্রমের ফলে তার ফুল গাছ গুলোর মধ্যে খুবই সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে থাকে। সেই ফুলগুলোকে বাজারে বিক্রি করে তিনি ব্যবসা করেন।
ফুল গাছগুলোকে অনেক বেশি ভালবাসার মন থেকে সেই ফুল কাজগুলোকে যত্ন করে এবং সেগুলোর দেখাশোনা করেন। ফুল গাছের যথা সময় পানি দেওয়া ফুল গাছের মধ্যে সার দেওয়া বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া সব কাজে তিনি সময় সময় করেন। দিনের অর্ধেকটা সময় তার ফুল বাগানেই কেটে যায়। আর বাকিটা সময় তিনি ফুলগুলোকে তুলে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন এবং বিভিন্ন বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়ে বাড়ি সাজিয়ে থাকেন। তার এত সুন্দর টাটকা ফুল যে জায়গায় বিক্রি করে সেখানেই তার খুবই নাম ডাক হয়ে যায়। কারণ সবাই বলে অন্যান্য ফুল বাগানের মালিকরা এত টাটকা সুন্দর সুগন্ধা ওয়ালা ফুল দেয় না যতটা তিনি দেয়।
কারো বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠান বাড়ি সাজাতে গেলেও তিনি খুব সুন্দরভাবে নিজের হাতে চাষ করা ফুলগুলো দিয়ে মন প্রাণ লাগিয়ে সাজিয়ে থাকেন। যা দেখতে খুবই সুন্দর হয় আর বাড়ির মালিকরাও তার ওপর খুবই খুশি হয়ে থাকে বাড়তি টাকা দেন এবং প্রশংসা করেন। আর এভাবেই দিন দিন তার নাম ডাক সুনাম ছড়াতে থাকে এবং আশেপাশের এলাকা থেকে শুরু করে সবাই তার কাছে ফুলের জন্য আসে। তার ব্যবসা মোটামুটি খুবই ভালোই চলছে। তার ব্যবসা দিন দিন ভালো দিকে যাচ্ছে তার জন্য একা এতগুলো কাজ সামলানো সম্ভব হচ্ছে না। তখন তিনি ভাবলেন যে তার কাজে সাহায্য করার জন্য একটা লোক রাখা দরকার।
দিন দিন তার ব্যবসা উন্নত হওয়ার কারণে সেই কথা অনুসারে তিনি একজন লোক রাখলেন কাজ করার জন্য। এরপর আরো দুই একজন লোক রাখার পর তিনি তার ব্যবসার আর কোন কাজই করে না লোকজন সবাই সেই কাজগুলো সামলায়। এমনকি তার ফুল বাগানে গিয়েও ফুল গাছদের যত্ন নেয় না। নিজের জিনিসের নিজে যতটা ভালো করে যত্ন নেওয়া যায় তা অন্য কেউ সেভাবে নিতে পারেনা। কাজের লোকগুলো দিয়ে তার ফুল গাছের যত্ন দেখাশোনা করানোর ফলে এখন তার ফুলগুলো আর আগের মত টাটকা সুন্দর হয় না। যার কারণে আশেপাশে তিনি যত ব্যবসাহী রয়েছে এবং বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানেও যখন তারা তাদের ফুল বিক্রি করে তারা এখন আর সেই ফুল ব্যবসায়ী প্রশংসা করো না। উল্টো আরো বিভিন্ন জানা ফুল দেখতে সুন্দর না ফুলের কোন সুবাস নেই এসব বলে।
এভাবে চলতে চলতে একদিন তার এই ব্যবসা খুবই খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। তখন তার বউ তাকে বলে টাকা পয়সা হওয়ার পর তুমি কোনদিন আর ফুল বাগানে গিয়ে ফুল গাছগুলোর যত্ন নাওনি। অন্যকে দিয়ে কাজ করালে সেই কাজ কি আর নিজের মত করতে পারে। নিজের ক্ষতি নিজেই করেছে টাকা পয়সা সব কিছু পেয়ে গিয়েছো ব্যবসা থেকে মন তুলে নিয়ে যা যার কারণে আজ তোমার এই অবস্থা। এরপরে সেই ব্যবসায়ী তার ভুল বুঝতে পারে এবং পরবর্তীতে আবার নিজের কাজগুলো নিজে করতে থাকে। কাজের লোকগুলো সব সময় কাজ কিভাবে করতে হতো সেগুলো নিজে হাতে দেখিয়ে দিত।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1735669357986849132?t=1t5BWHSV4iksBfpdLSaKUQ&s=19
নিজের কাজ নিজের মতো করে অন্য কেউ কখনোই করতে পারে না। লোকটা অনেক বেশি পরিশ্রম করে নিজের ব্যবসাকে এত দূর এনেছিল। কিন্তু লোকটা যখন অনেক বেশি টাকা হয়ে যাচ্ছিল সেই আর ফুলবাগানে যেত না। যাদেরকে রেখেছিল ফুলবাগানটা তারা এই কোনরকম দেখাশোনা করত। কিন্তু উনার মত করে তো আর হতো না। যার কারনে পরবর্তীতে ওনার ব্যবসায় লস হচ্ছিল। আর খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। লোকটা শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এটা দেখে ভালো লেগেছে।
আপনি গল্পটি পড়ে খুবই সুন্দর করে গুছিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার গল্পটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এই গল্পটির মূল শিক্ষা হচ্ছে নিজের কাজ নিজের হাতে করতে পারাটাই সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ এবং অন্যের উপর ভরসা করলে সেখানে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যাই হোক লোকটি তার ভুল বুঝতে পেরেছে এবং আগের মত তার গাছগুলোর যত্ন নেওয়া শুরু করেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ শিক্ষণীয় একটি গল্প আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া নিজের কাজ নিজে করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান এর কাজ এবং ভালো কাজ। ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে নিজের কাজগুলো নিজে যেভাবে ভালোবাসা ও যত্ন দিয়ে করা সম্ভব ।লোক দিয়ে সে কাজগুলো সেভাবে কখনোই করা সম্ভব নয় ।যেমনটি ঘটেছিল এই লোকটির বেলায়ও। বেশ ভালো লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছে গল্প ফোনে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আগে ব্যাবসায়ি নিজে সব করতেন নিজে যত্ন করে ব্যাবসা দার করিয়ে নিজের সুনাম বাড়িয়েছেন।এখন ব্যাসার পুঁজি বেড়ে গেছে তাই লোক রেখে করেছেন সবটা।আর ব্যাবসার হয়েছে লোকসান ও সুনাম নষ্ট হয়ে গেছে। আপনার পোস্ট থেকে আমরা এই শিক্ষা পেলাম যে নিজের কাজ নিজে করতে হয় নইলে এমন পরিনতি হবে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শোয়ার করার জন্য।
নিজের কাজ নিজে করাই ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।