জ্ঞানীকে চেনা যায় নীরবতা থেকে, আর মূর্খকে তার বক্তব্য থেকে।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। জ্ঞানীকে চেনা যায় নীরবতা থেকে, আর মূর্খকে তার বক্তব্য থেকে কথাটি নিয়ে আপনাদের মাঝে কিছু কথা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
বেশিরভাগ সময় আপনাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি আমি। আসলে আলোচনা বলতে নিজের মনের কথাগুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি জানিনা কতটুকু কি আপনাদেরকে বোঝাতে পারি। তবে আপনাদের মাঝে অনেক কিছুই শেয়ার করার চেষ্টা করে থাকি। আবার আজকেও চলে আসলাম নতুন একটা বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে। বিষয়টি হলো জ্ঞানীকে চেনা যায় নীরবতা থেকে, আর মূর্খকে তার বক্তব্য থেকে। জ্ঞানী ব্যক্তিরা কখনোই অহেতুক কথাবার্তা বলে না যেখানে যতটুক কথা বলা দরকার এবং প্রয়োজন সেখানেই ঠিক ততটুকুই বলে।
আর জ্ঞানী ব্যক্তিদের কথাবার্তা খুবই মূল্যবান হয়ে থাকে। তারা কথাবার্তা কম বললেও মুখ দিয়ে যে কথাটা বের করে সেই কথাটা খুবই গভীর অর্থ থাকে। সেই কথার মধ্যে অনেক কিছুই লুকিয়ে থাকে যে আসলে যেটা সাধারণ মানুষ এর বুঝতে খুবই কষ্ট হয়। আর যে বুঝতে পারে সে কেন ব্যক্তির ওই একটা কথার মানে দিয়ে অনেক কিছুই বুঝে ফেলতে পারে আর নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারে বা ভবিষ্যতে কোন কাজে লাগাতেও পারে। জ্ঞানী ব্যক্তিরা কথা খুব কম বললেও তাদের প্রত্যেকটা কথায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আমি আসলে চেষ্টা করি কিছু কিছু মানুষের কথা খুবই গুরুত্বসহকারে শোনার জন্য। আমার জীবনে অনেকেই আছে যারা খুবই কম কথা বলে কিন্তু তাদের কথাগুলো অনেক অর্থপূর্ণ আর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। তাদের সেই কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে সব শুনলে জীবনে অনেক কিছুই করা যায়।
আর যারা জ্ঞানী নয় সাধারণ মানুষ আর খুবই মূর্খ নিজেকে নিজে অনেক কিছুই মনে করে। যে নিজেকে নিজে অনেক বেশি বুদ্ধিমান মনে করে সে অনেক বেশি কথা বলে কথার মাধ্যমে নিজেকে বুদ্ধিমানও জ্ঞানী হিসেবে প্রমাণ করতে। চায়। বেশি বেশি কথা বললে আর অনেক বেশি বক্তৃতা দিলে মানুষের কাছে তো বুদ্ধিমান হওয়াই যায়না উল্টো আর হাসির পাত্র হয়ে যায়। কারণ সবাই জানে খালি কলসি বাজে বেশি। নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করা মানুষগুলো কোথাও দু চারজন মানুষ দেখলে সেখানেই নিজের নিজেকে বুদ্ধিমান প্রমাণ করার জন্য গিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলে বিভিন্ন ধরনের বক্তৃতা দিয়ে থাকে। কিন্তু সেই ব্যক্তি তো আর জানে না তার কথা শেষ হলে সে সেখান থেকে চলে আসলে তাকে নিয়েই মানুষ হাসাহাসি করে।
সে আসলে কখনোই বুঝতে পারে না যে নিজেকে বুদ্ধিমান প্রমাণ করতে গিয়ে সে আরো মানুষের কাছে মূর্খ হয়ে উঠেছে। কারণ বুদ্ধিমান মানুষ কখনোই নিজেকে বুদ্ধিমান বলে না এবং বুদ্ধিমান প্রমান করার জন্য মানুষের কাছে কোন রকম কথাবার্তা বা আচরণই করে না। নিজেকে নিজে বুদ্ধিমান আর ভালো বললে তো আর সেটা হয়ে ওঠা যায় না। সমাজের আশেপাশের মানুষ আপনারা আচার-আচরণ কথাবার্তা এবং সবকিছু মিলিয়ে আপনাকে ভালো মানুষের বা বুদ্ধিমান স্বীকৃতি দিবে। আপনি যদি আসলে বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন তাহলে আপনার নিজেকে ঢোল ঢাক পিটিয়ে সবাইকে বলতে হবে না যে আপনি বুদ্ধিমান আপনি ভালো মানুষ। সমাজের মানুষ এবং আশেপাশের মানুষ যখনই বুঝতে পারবে আপনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ আপনার কথাবার্তা এবং আচরণ তখন নিজে থেকেই এসে সম্মান দিবে আপনাকে। যাইহোক আমার আজকের আলোচনার বিষয়টি আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
আপনি আজকে বেশ চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এটা সত্য কথা যে জ্ঞানী মানুষ কথা কম বলে। আর মূর্খ মানুষ বেশি কথা বলে অর্থাৎ নিজেকে বেশি বড় মনে করে। নিজের বরত্বটাকে মানুষের কাছে ভাঙ্গা হাড়ের মতো বাজাতে চাই। কিন্তু তারা বোঝে না ভাঙ্গা হাড়ি অকেজো। এ ধরনের মানুষ বেশি কথা বলে দোকানপাটে হাটে বাজারে। আপনার লেখাগুলো পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি আসলে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সত্যি কথা বলতে আপু আপনার পোস্ট দেখে এবং পড়ে খুবই ভালো লাগলো। কারণ আপনি আজকে বাস্তবতার সাথে মিলে একটা পোস্ট শেয়ার করলেন। হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন জ্ঞানী কে চেনা যায় নীরবতা থেকে। কোথায় আছে? খালি কলসি বাজে বেশি। অন্যদিকে ভরা কলসি বাজে না। এ কথাটা বিশ্লেষণ করলে দাড়াই জ্ঞানীদের চেনাজায় নিরবতা থেকে আর মূর্খকে চেনা যায় তার বক্তব্য থেকে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে জ্ঞানী মানুষদের অহেতুক কথা বলার প্রয়োজন হয় না। আর যারা জ্ঞানী না কিন্তু নিজেকে জ্ঞানী হিসেবে পরিচয় করতে চাই তাঁরাই মূলত চাই তাদের কথার দ্বারা নিজেকে জ্ঞানী হিসেবে দাবি করতে। কিন্তু মানুষের যেহেতু বিবেক বুদ্ধি আছে তাই বোঝা যায় কে বুদ্ধিমান আর কে জ্ঞানী। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বুদ্ধিমান মানুষ কম কথা বললেও তাদের প্রত্যেকটা কথা অনেক বেশি মূল্যবান, এটা আপনি ঠিকই বলেছেন আপু। আর যারা বোকা, তারা বেশি কথা বলে লোকের কাছে জ্ঞানী হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা আবার অন্যের কাছে হাসির পাত্র হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া এটাও আপনি ঠিক কথা বলেছেন যে, বুদ্ধিমান মানুষ হলে আসলে ঢোল পিটিয়ে লোকদের সেটা বোঝাতে হয় না। লোকে এমনিতেই সবকিছু বুঝে যায় এবং সেই অনুযায়ী সম্মান করে।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1792555947409440788?t=8jkzaX6BQ9cZtdQQ0s-uXg&s=19