মজাদার ধনেপাতার পকোড়া রেসিপি।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি পোস্ট । আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি । আমি তৈরি করেছি আজকে ধনেপাতার পকোড়া রেসিপি তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। রান্না করাটা আমার একটা শখ । আজকেও আপনাদের সাথে নতুন একটি রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে। আজকে আমি তৈরি করেছি ধনেপাতার পকোড়া। এখন শীতকাল চলছে আর শীতকালীন ধনেপাতার খুবই ফ্রেশ হয় এবং অনেক গ্রাণ। শীতকালে তরকারি রান্না করার সময় সামান্য পরিমাণে ধনেপাতা দিয়ে তরকারির টেস্ট টাই বদলে যায় । অসাধারণ লাগে তখন খেতে। শীতকালে আমাদের সব সময় ধনেপাতা নিয়ে আসা হয় এবং তরকারিতে ব্যবহার করে আমার আম্মু। অনেকগুলো ধনে পাতা নিয়ে এসেছে আমি ভাবলাম এ ধনেপাতা গুলো দিয়ে কিছু তৈরি করি। হঠাৎ মাথায় হল ধনেপাতার পকোড়া তৈরি করার । আর তৈরি করে ফেলেছি ধনেপাতার পকোড়া খেতে অনেক মজা হয়েছিল।
আপনাদের সাথে ধনেপাতার পকোড়া তৈরি করার পদ্ধতি গুলো শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে আমার তৈরি করা ধনেপাতার পকোড়া রেসিপিটি ভালো লাগবে।
উপকরণ
ধনেপাতা
আলু
কাঁচা মরিচ
পেঁয়াজ
লবন
হলুদ
মশলা
ময়দা
পানি
তেল
তৈরি করার পদ্ধতি:-
ধনেপাতার পকোড়া বানানোর জন্য আমি আলু ব্যবহার করেছি। প্রথমে আমি চিকন করে কাটা একটি আলু নিয়েছি বাটির মধ্যে। তারপরে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিয়েছি।
এখন ধনেপাতা গুলো দিয়ে দিব আমি বেশ অনেক পরিমানে ধনেপাতা নিয়েছি ।ধনেপাতা গুলোকে ছোট ছোট করে কেটে নিলাম এবং বাটির মধ্যে দিয়ে দিলাম।
এখন বাটির মধ্যে সব ধরনের মসলাগুলো দিয়ে দিব। প্রথমে আমি পরিমাণ মতো লবণ দিয়েছি ।তারপর সামান্য পরিমাণে হলুদের গুড়া দিলাম।
এরপর দিলাম সামান্য মরিচের গুঁড়া এবং পরিমাণ মতো মসলা। তারপর দিয়ে দিয়েছি অল্প করে ময়দা।
সবকিছু দেওয়ার পর এখন আমি সবকিছুকে মাখিয়ে নেব ভালো করে । এখানে আমি অল্প পরিমাণে পানিও ব্যবহার করেছি একটু মাখোমাখো হওয়ার জন্য।
এখন কড়াই এর মধ্যে তেল দিয়ে দিয়েছি গরম হওয়ার জন্য। তেল গরম হলে আমি ভেজে নিব ধনেপাতার পকোড়া।
আমি পকোড়া মিশ্রণটি নিয়ে হাতের মধ্যে কড়াইয়ে অনেকগুলো পকোড়া একসাথে ভাজতে দিয়ে দিয়েছি। লাল লাল হয়ে আসার পর আমি পকোড়া গুলো কড়াই থেকে তুলে নিলাম।
দেখতেই পাচ্ছেন পকোড়া গুলো অনেক সুন্দর লাগছে। আমি সস এবং শসা সাথে পকোড়া পরিবেশন করেছি। খেতেও অনেক মজা হয়েছে। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই ধনেপাতা পকোড়া রেসিপি ভালো লাগবে।
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু ধনে পাতায় এমনই একটা জিনিস যা আছে কোন তরকারি স্বাদ বদলে দিতে পারে। ধনেপাতার পকোড়া তৈরি করার দারুন একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। পকোড়া তৈরির সত্যিই একটা ভিন্ন ধরনের এসিপি ছিল এটা।
আসলে ধনেপাতা সব কিছু স্বাদ বাড়িয়ে দেয় এটা একদম ঠিক বলেছেন। আপনি আলু এবং ধনেপাতা দিয়ে খুব মজাদার একটি পাকোড়া তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে পাকড়াগুলো খেতে খুব মচমচে হয়েছে। এরকম মচমচে পাকোড়া খেতে খুব ভালোই লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শীতকালে ধনে পাতার ঘ্রাণ অনেক বেশি থাকে আর ফ্রেশ পাওয়া যায় তাই তরকারিতে দিলেও খেতে অনেক ভাল লাগে। ধনেপাতা সাথে আলু মিক্স করে অনেক গুলো উপকরণ দিয়ে বেশ মজার করে পাকুড়া তৈরি করেছেন অনেক সুস্বাদু হয়েছেনমনে হচ্ছে খেতে।বেশ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লেগেছে আপু।
আপু আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখলাম। আমি ধনে পাতার ভর্তা খেয়েছি খুব ভালো লাগে। কিন্তু এটা দিয়ে পাকোড়া বানানো যায় চিন্তা করিনি। আমার মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমার তো এখনই টেস্ট করে দেখতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ ইউনিক ও মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শীতকালে যে কোন তরকারির মাঝে ধনেপাতা দিলে খেতে খুব মজা লাগে বিশেষ করে গ্যারান্টি। তবে আপনি খুব চমৎকার একটি আইডিয়া করে ধনেপাতা ও আলু দিয়ে পকোড়া বানিয়েছেন। তবে আমার কাছেও রান্না করতে অনেক ভালো লাগে শখের মত। পকোড়া গুলো খেতে মনে হয় অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
ধনেপাতার মজাদার সুস্বাদু পকোড়া রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে রেসিপি তৈরি করলেন। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ওয়াও খুবই চমৎকার আইডিয়া। ধনেপাতা দিয়ে পকোড়া বানিয়েছেন। যেকোনো তরকারির মধ্যে ধনেপাতা দিলে খেতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে ধনেপাতা দিলে গারান খুব ভালো লাগে। আমার তো আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল এসে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে খুব চমৎকার করে আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ধনে পাতা সব সময়ই আমার কাছে রান্নায় অন্যরকম স্বাদ এনে দেওয়ার মতো একটি পাতা। বিশেষ করে শীতকালে যে কোন তরকারির সাথেই ধনে পাতা দিলে তরকারির মজা অনেক বেড়ে যায়। আপনি অন্যরকম একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।