যে ব্যক্তি নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা সে নিজের জন্য যেমন বিপদজ্জনক ঠিক তেমনি অন্যের জন্য বিপদজনক।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। যে ব্যক্তি নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা সে নিজের জন্য যেমন বিপদজ্জনক ঠিক তেমনি অন্যের জন্য বিপদজনক কথাটি নিয়ে কিছু আলোচনা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আসলে সমাজে ঠিকভাবে চলতে হলে একজন ভালো মানুষ হয়ে থাকতে হলে আগে নিজেকে ঠিক রাখতে হবে। যে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা সে কিভাবে অন্যের জন্য ঠিক কিছু করতে পারে। সে তো নিজের ক্ষতি নিজেই করে। প্রতি সপ্তাহের মতো আজকে নিয়ে চলে এসেছি আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে কিছু না কিছু বিষয় নিয়ে কিছু কথা আলোচনা করার। আমার আজকের আলোচনার বিষয়টি হচ্ছে যে ব্যক্তি নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা সে অন্যের জন্য বিপদজনক নিজের জন্য বিপদজনক এই কথাটি আসলে আমার যতটুকু মনে হয় একেবারে সত্যি কথা। আমি মনে করি যে সমাজে একজন সঠিক মানুষ হিসেবে থাকার জন্য আগে নিজেকে ঠিক করতে হবে নিজের সবকিছুকে ঠিক রাখতে হবে।
তারপর আপনি অন্য মানুষের একটা ভালো কাজ করতে পারবেন এবং আপনার নিজেরও ভালো হবে। যেখানে আপনি নিজেই ভুল সেখানে আপনি নিজের জন্য ভালো একটা ডিসিশন নিতে পারবেন না আর সেটা আপনার জন্য অনেক মারাত্মক হয়ে দাড়াবে। যে জায়গায় আপনি নিজের ভালই বুঝতে পারছেন না সেখানে অন্য মানুষের ভালো কিভাবে বুঝবেন। সেজন্য আমার মনে হয় আমাদের সবারই আগে নিজেদের ঠিক করা উচিত। এমন অনেক মানুষ রয়েছে আমাদের আশেপাশে এবং আমাদের সমাজে যারা মনে করেছেন তারা যা বলে তারা যা করে সবকিছুই সঠিক আসলে কি সবকিছু ঠিক হয়? আপনি যে ঠিক আপনি যে ঠিক কাজ করছেন সেটা তো নাও হতে পারে। সেজন্য কোন কাজ করার আগে কোন কিছু বলার আপনাকে অনেক বেশি চিন্তা ভাবনা করে বলতে হবে করতে হবে কারণ আপনি যদি ঠিক না হন তাহলে আপনার সামনের মানুষটি কেন আপনার সেই কথাটার মূল্যায়ন করবে না। নিজেকে ঠিক না করে অন্য মানুষকে একটা কথা বললে সেখানে আপনি সবকিছুই হারাবেন যা কিছু আপনি প্রাপ্য ছিলেন।
মানুষ নিজের নিজের সঠিক ও ভুল বিষয় ধরতে সহজে না পারলেও অন্যের অন্যায় অন্যের সঠিক ভুলগুলো খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারে। সেজন্য আপনার সামনের মানুষটি যাতে আপনার কথায় ভুল না ধরতে পারে আপনাকে ভুল প্রমাণিত করতে না পারে সেজন্য কাউকে কিছু বলার আগে করার আগে এবং জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই আগেই আপনাকে ঠিক হতে হবে। আপনি ঠিক হয়ে জীবনের প্রতিটা স্টেপ নিলে তখন আপনি কিছু করলে বা বললে একজন মানুষ তার প্রতিবাদ করবে না। আপনার কথার মূল্যায়ন করবে এবং আপনি আপনার যোগ্য জায়গাটা পাবেন। কিন্তু যেখানে আপনি ঠিক নন সেখানে আপনার একটা উপদেশ তো কেউ মানতে বাধ্য নয় সে উপদেশের কোন মূল্য থাকে না সমাজে বা মানুষের কাছে।
যেমন ধরুন একটা উদাহরণ দিই আপনি একটা অন্যায় কাজ করেন সেটা সামাজিক পর্যায়ে হোক বা পারিবারিক পর্যায়ে হোক বা আপনার ব্যক্তিগত পর্যায়ে হোক। কিন্তু আপনি বুঝতে পারলেন না যেন আপনি এই বিষয়টি অন্যায় করেছেন। এই অন্যায় কাজটা আপনি করে থাকেন কিন্তু সেই অন্যায় কাজ যাতে কেউ না করে বা কেউ করলে আপনি সেটা মেনে নিতে পারেন না আপনি সেটা হজম করতে পারেন না প্রতিবাদ করে ফেলেন এবং অন্যায় করা ব্যক্তিকে উপদেশ দিয়ে থাকেন। তখন সে আপনার উপদেশ কেন মানবে কারণ সে জানে আপনিও সেই অন্যায় কাজটি করেছেন। তখন যে আপনি তাকে উপদেশ টি দিয়েছেন সে উপদেশটি মানবেই না উল্টো আপনার উপর রাগান্বিত হয়ে আপনাকে কথা শুনিয়ে দিতে সে পারবে। আপনি কাজটি করছেন তখন সেটা অন্যায় হিসেবে ধরছেন না আমি করছি সেটা অন্যায় হয়ে গেল।
সেজন্য কোন কিছু করার আগে আপনি আগে নিজেকে ঠিক করুন। নিজে ভুল হয়ে অন্যকে কাউকে উপদেশ দিতে গেলে সেটা আপনার ভালো তো হবেই না উল্টো আপনার জন্য অনেক বেশি বিপদজনক হবে। সেজন্যই আমি মনে করি আগেই নিজেকে ঠিক রাখতে হবে সেটা নিজের জন্য কল্যাণকর অন্যের জন্য কল্যাণকর। যদি আপনি নিজেকে ঠিক করতে না পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য ঠিক ততটাই বিপদজনক যতটা অন্য মানুষের জন্য। যাইহোক আশা করি আপনার আজকের এই আলোচনাগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1762507093184246125?t=vN-5GR40dZjV72LEBJF43A&s=19
আমাদের সমাজে এমন কিছু কিছু মানুষ আছেন যাদের জীবনে ভুলে ভরা। কিন্তু দেখবেন তারা খুব নীতি বাক্যে কথা বলে মানুষের সাথে। তারা চিন্তা করে না তাদের মধ্যে ভুল আছে। আবার কিছু কিছু জেদী স্বভাবের মানুষ আছেন যারা খুব হুটহাট রেগে যায়। তারা তো শুধু রেগে যায় না শুধু সাথে অন্যের ক্ষতি হয়ে যায়। পাশাপাশি নিজেরও ক্ষতি হয়ে যায়। তারা যদি এই বিষয়টা বুঝতেন তাহলে এরকম করতেন না। ভালো লেগেছে আপু আপনার লেখা গুলো পড়ে।
হ্যাঁ আপু আসলে যারা নিজেরা সবসময় ভুল কাজ করে থাকে তারাই নীতি-নৈতিকতার কথা বেশি বলে থাকে এবং অন্য মানুষের ঠিক ভুল নিয়ে কথা বলে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আসলে আশেপাশে এমন কিছু মানুষ আছে যাদের মধ্যে যেটা অনেক বেশি কাজ করে। আর সে
জেদ জন্য তারা হয়তো জানে না যে তারা যে দেখিয়ে হয়তো। মানুষকে দমিয়ে রাখছে কিন্তু সেই জেদ করার কারণে তাদের কতটা ক্ষতি হচ্ছে।
আসলে কিছু কিছু মানুষ রয়েছেন যারা অন্যকে সবসময় জ্ঞান দিয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায় যে, তাদের মধ্যেই তেমন কোনো ভালো দিক নেই। যে ব্যক্তি নিজেই পারে না ঠিক থাকতে, সে কিভাবে পারবো অন্যকে ঠিক করতে। নিজে ভুল হয়ে যদি অন্য কাউকে কোন উপদেশ দেওয়ার জন্য যায়, তাহলে একটা সময় দেখা যাবে সে নিজেই এটার জন্য বিপদে পড়েছে এবং কি ওই মানুষটাও বিপদে পড়েছে। তাই প্রথমে একটা মানুষ নিজেই ঠিক হতে হবে নিজেই সঠিক হতে হবে। তাহলে সে নিজের জন্য ও বিপদজনক হবে না এবং কেউ অন্যের জন্য ও বিপজ্জনক হবে না এবং অন্যের জন্য ও বিপজ্জনক হবে না।
হ্যাঁ আপু প্রথমেই নিজেকেই ঠিক হওয়া উচিত তারপর অন্য মানুষকে উপদেশ দেওয়া বা অন্য মানুষের অন্যায় নিয়ে কথা বলা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমি দেখেছি যাদের মধ্যে কোন ভালো দিক নেই তারাই এই কাজগুলো বেশি করে। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমান যুগের প্রায় প্রতিটি সমাজের বেশিরভাগ মানুষ নিজেদেরকে অনেক জ্ঞানী এবং চালাক মনে করে। তারা চায় যে নিজেদের সিদ্ধান্ত অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে। তারা ভুল প্রমাণিত হওয়ার পরেও, তাদের মধ্যে কোনো ধরনের অনুশোচনা দেখা যায় না। আবার তারা মুখে মুখে বলে যে সমাজের মানুষ গুলোকে ঠিক করতে হব এবং সমাজটাকে ঠিক করতে হবে। কিন্তু তারা নিজেরাই যে ঠিক নেই, তারা সেটা মানতে চায় না। সুতরাং সমাজ বা সমাজের মানুষদের পরিবর্তন করতে হলে,আগে নিজেকে ঠিক হতে হবে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন তারা নিজে একে অন্যায়গুলো করে সমাজ এবং তাদের আশেপাশের মানুষগুলোকে চায় ঠিক রাখতে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রত্যেকটা মানুষ আসলে এখন নিজেকে অনেক বড় জ্ঞানীগুণী মনে করে। সেজন্যই এই কাজগুলো করে থাকে যাই হোক আগে নিজেকে ঠিক করা উচিত। তারপর অন্য মানুষকে জ্ঞান দেওয়া উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের সমাজে এখন এরকম লোকই বেশি দেখা যায় যারা নিজে অন্যায় করে, অন্যকে একই অন্যায়ের ভুল ধরিয়ে দেয়! আসলে এটা আমাদের করা উচিত না। আমাদের আগের নিজেদের ঠিক হওয়া উচিত, পরে অন্যকে উপদেশ দেওয়া উচিত । তা না হলে এই ব্যাপারটাই এক সময় আমাদের জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়াবে। বেশ দারুন লাগলো আপু আপনার এই পোস্টটি পড়ে। এক্ষেত্রে আমি বলব প্রথমে নিজে ভালো হওয়া উচিত, তার পরে অন্যকে ভালো উপদেশ দেওয়া উচিত।
আমাদের সমাজে আসলে এরকম লোকের কোন অভাব নেই। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে আমার আজকের পোস্টটি পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।
আপনি অনেক সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন।আসলেই যে নিজের খেয়াল রাখতে পারে না সে অন্যের খেয়াল কিভাবে রাখবে।নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে হবে আবার সঠিক ও ভুলের পার্থক্য নির্ধারন করাটাও জরুরী।আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
একদমই ঠিক বলেছেন আপনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেটা আসলে ভুল না ঠিক সেটা দেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্টের টাইটেল এর সাথে আমি একমত আপু।যে ব্যক্তি নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা সে আসলেই নিজের এবং অন্যের জন্য ও বিপজ্জনক।আমাদের সমাজে এধরনের ঘটনা অহরহ আপু নিজের দোষ না দেখে অন্যের দোষ দেখে বেড়ায়।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার আজকের পোষ্টের আলোচনার বিষয়টির সাথে আপনি একমত দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।