গল্প:-গরীব দুঃখীদের দান(শেষ পর্ব)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।গরীব দুঃখীদের দান গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গল্প পড়তেই অনেক ভালো লাগে। সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকে যেগুলো আমি পড়ে থাকি এবং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে গল্পের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লাগে ভূতের গল্প। আপনাদের মাঝে আমি অনেক ভূতের গল্প শেয়ার করেছি আগে তা ছাড়া অন্য গল্প গুলো শেয়ার করেছি। আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গরীব দুঃখীদের দান এই গল্পটি শেয়ার করব। এই গল্পের প্রথম পর্ব ইতিমধ্যে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাকি অংশটি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্পটি।
মেহমান এসেছিল বলতে সেদিন তাদের বাড়ির মেয়ে আর মেয়ের জামাই এসেছিল। মেয়ের বাড়ির লোকজন এসেছিল সে যেহেতু ওই বাড়িতে কাজ করে সেজন্য তাদের আপ্যায়ন খুবই ভালো করে করেছিল তার কাজকর্মে মেহমানরা অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। মেহমানরা খুশি হয়ে তার নামে অনেক বেশি প্রশংসা করছিল। আর বলছিল এত কাজকর্ম রান্নাবান্না কে করেছে আজকে রান্নাবান্না অনেক বেশি ভালো হয়েছে খুবই গোছানো ছিল সবকিছু। সবার এরকম অর্থাৎ শ্বশুরবাড়ির এরকম প্রশংসা শুনে তাদের বাড়ির মেয়ে তো অনেক বেশি খুশি। সে যে তুই বাড়িতে কাজ করে সে হিসেবে তাদের মেয়ে বলছিল কাজের লোক এত বেশি মেহমানদেরকে আত্মীয়তা করে সেটা আসলে কোথাও দেখিনি।
আমার মা ঠিকভাবে কাজকর্ম করতে পারে না বৃদ্ধ হয়েছে বয়স হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কাজের লোক হিসেবে বাড়ির মত করে আপনি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকদেরকে যেভাবে আদর আপ্যায়ন করেছেন সেটা দেখি আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছি। সবার এরকম প্রশংসা শুনে সে নিজেই অনেক বেশি খুশি হলো। সে বাড়ির মেহমানদের খাওয়া দাওয়া শেষে সেই থালা- বাসন সবকিছু পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখছিল যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যেতে পারে। বাড়িতে আবার তার মেয়ে আর অসুস্থ স্বামী রয়েছে। কাজ তাড়াতাড়ি গোছানোর পর যখন সে বাড়ি চলে যাবে তখন সে বাড়ির মালকিন বলছিল যে যাওয়ার সময় আমার সাথে দেখা করে যাস তোর সাথে কিছু কথা রয়েছে।
তখন সে কাজকর্ম শেষে বাড়িতে যাওয়ার সময় বাড়ির লোকের সাথে কথা বলে যাচ্ছিল। তখন বাড়ির মালকিন তাকে অনেকগুলো খাবার হাতে দিয়ে বলল এগুলো তোর বাড়িতে নিয়ে যা বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করিস। আজকে যেহেতু বাড়িতে অনেক ভালো-মন্দ খাওয়া দাওয়া রান্না করা হয়েছে অনেকগুলোই তো বেঁচে গিয়েছে তুই বাড়িতে গিয়ে তোর মেয়েকে খেতে দিস। মাছ মাংস এত কিছু দিয়েছে দেখেছে অনেক বেশি খুশি আজকে মনে মনে ভাবছিল অনেকদিন পর আমার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে মেয়েটাকে আজ ভালো কিছু খাবার দিতে পারবো। এই নিয়ে তো সে খুশি আজকে।
এরপর ওই বাড়ির মেয়ে যার শ্বশুর বাড়ি থেকে আজকে লোক এসেছিল। সেই এসেছে তার কাছে আর বলছিল তুমি আজকে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অনেক বেশি আদর যত্ন করেছো। তারা অনেক বেশি প্রশংসা করছে তোমার। তুমি কি চাও তাদের থেকে তুমি যা চাইবে আজকে তারা তোমাকে তা দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করবে জামা কাপড় টাকা পয়সা দিয়ে। তখন সে তো লজ্জায় বলচে কিছু লাগবে না পাশ থেকে মেয়েটির মা বলে উঠলো যে ওর স্বামী তো অনেক বেশি অসুস্থ টাকা-পয়সার জন্য চিকিৎসা করাতে পারে না। তোরা যদি ওকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করিস তাহলে অনেক বেশি উপকার হবে। তখন মেয়েটি বলে তোমার স্বামীর কি অসুখ তখন মেয়েটিকে সে সবকিছুই খুলে বলে।
সবকিছু খুলে বলার পর মেয়েটি তাকে অনেকগুলো টাকা দিয়েছে এবং বলেছে তোমার স্বামীকে শহরে গিয়ে ভালো ডাক্তার দেখাও। এই টাকাগুলা আপাতত রাখো পরবর্তীতে যত টাকা প্রয়োজন তুমি আমার মাকে বলো আমি তোমার জন্য টাকা পাঠিয়ে দিব। তোমার স্বামী সুস্থ হয়ে ওঠার সব খরচ আমি দিব তোমায়। এটা শুনে সে তো অনেক বেশি খুশি। এরপর তাদের শুকরিয়া আদায় করে অনেক বেশি। তাদের সাথে বিদায় নিয়ে সে দিনশেষে বাড়িতে চলে গেল। বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ওই বাড়ি থেকে দেওয়া খাবার দিয়ে খেতে দিল স্বামী কেউ খেতে দিল। অনেক দিন পর ভালো কিছু খেতে পেয়ে স্বামী এবং মেয়ে দুজনেই অনেক বেশি খুশী। এরপর স্বামীকে বলছিল আমি যে বাড়িতে কাজ করি তারা তোমার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে কালকে সকালেই তোমাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে চলে যাব। অনেকগুলো টাকা দিয়েছে এবং বলেছে আরো যদি খরচ লাগে তাহলে তারা দিবে।
এটা শুনে তার স্বামী তো চোখ দিয়ে ফ্যালফ্যাল করে পানি ফেলতে শুরু করে এবং সেও অনেক বেশি খুশিতে কেঁদে ফেলে। বলে এবার তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে এবং আগের মত কাজকর্ম করে আমাদেরকে খাওয়াতে পারবে। আল্লাহ তাদের অনেক ভালো করুক। তাদের অনেক টাকা পয়সা রয়েছে তারা আমাদেরকে সাহায্য করেছে তারা যদি এভাবে আমাদেরকে সাহায্য না করতে তাহলে হয়তো তুমি কোনদিন এভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারতে না। আমিও এত টাকা দিয়ে তোমার ঠিকভাবে কখনো চিকিৎসা করাতে পারতাম না। আজ তারা এতগুলো টাকা দান করেছি বিদায় আমি তোমার চিকিৎসা করাতে পারছি। এই গল্প দ্বারা আমি বুঝাতে চেয়েছি সমাজে যারা পয়সাওয়ালা রয়েছে তারা যদি আশেপাশে গরীব দুঃখীদেরকে সামান্য সাহায্য করে তাদের জীবনটা অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের গল্প আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1788202407111069715?t=EJR5uWih7h0SnnX3ZIsULw&s=19
আপনি ঠিক বলেছেন আপু গল্প পড়তে আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগে। এটা সত্যি বলেছেন আপু আমাদের সমাজে যাদের টাকা পয়সা আছে তারা সবাই যদি গরীব দুঃখীদের একটু সাহায্য করতো। তাহলে হয়তো ভালো থাকতে পারতো।কাজের লোক বলে কেউ ফিরে না তাকালে এরা কোথায় যাবে।দান করলে সম্পদ কমে না আরো বাড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখেছেন।
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি, আপনার লিখাগুলো পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো আসলে সবাইকে নিয়ে ভালো থাকা মজাই আলাদা আমাদের আশেপাশে যারা আছে গরিব দুঃখী মানুষ তারা যদি একটু ভালো থাকে দেখে অনেক ভালো লাগে আমাদের একটু সহযোগিতার যদি তারা ভালো থাকে তাহলে মনের কাছে অনেক শান্তি লাগে, কিন্তু আমরা সেগুলো এড়িয়ে চলি। যাই হোক আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমরা হয়তো অনেক কিছু শিখলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।