গল্প:-ঘর জামাই (শেষ পর্ব)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। ঘর জামাই গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আগামী পর্বে আমিষ গল্প শেষ করেছিলাম বইটি তার পাশের বাসার একটা ভাইয়ের বউয়ের সাথেই সমস্যা গুলো নিয়ে কথা বলে। তখন ভাইয়ের বউ একটা পরামর্শ দেয় বৌদিকে বলে সে যেহেতু কোন কাজকর্ম করেনা। তখন বলল আচ্ছা আমি দাদার সাথে আমি গিয়ে কথা বলব। তারপর তারা দুজন ঘর জামাই এর সাথে কথা বলছিল।এরপর তারা এসে ঘর জামাইকে জিঙ্গেস করছিল দাদা আপনার কি খবর কাজ।
তখন বলছিল আমার তো অনেক কাজ কত রকমের কাজ করছি।তারা জিঙ্গেস করছিল কি কাজ করেন আপনি আমরা তো কিছু দেখি না।সব সময় দেখি দিদি কাজ করে দিদি যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে আপনি তো পথে বসবেন।সব জায়গা সম্পতি তো দিদির নামে দিদি মারা গেলে তো আপনি রাস্তায় উঠবেন।তখন ঘর জামাই বলে উঠল কেনো দিদি অসুস্থ হবে।আমি একটা হাসপাতাল দিবো হাসপাতালে সবাই তোমাদের দিদির সেবা করবে আর তোমার স্বামীকে ও সেই হাসপাতালে চাকরি দিব। এই সব বলে তাদের কথা ও কানে নিল না।
তোমাকেই সব কাজকর্ম করতে হয়। তুমি অসুস্থ থাকলে তো সে কাজকর্ম গুলো হবে না তাহলে তুমি অসুস্থ হয়ে যাও। অর্থাৎ তাকে অসুস্থ হওয়ার নাটক করতে বলা হয়। সেও অসুস্থ হওয়ার নাটক করে এবং পরদিন সকালবেলা যখন ঘুম থেকে উঠে তার স্বামী খেতে চায়। তখন বলে আমি অসুস্থ আমি চা তৈরি করতে পারব না। তুমি আমার জন্য চা বানাও সকালের নাস্তা পানি তুমি নিজেও চা খাও এরপর তার স্বামী চা বানায়।
এই ভাবে আজকে সারা দিন তার বউ যে সব কাজকর্ম করতো সেই সব কাজ ঘর জামাই করে। পুকুর থেকে মাছ তোলা নারিকেল গাছে থেকে নারিকেল পাড়া সব কাজকর্ম সে করে।সারা দিন কাজ করার পর সন্ধ্যা বেলায় সে খুবই ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ে। এরপর সে বুঝতে পারে যে তার বউ সারাদিন কত কাজকর্ম করে। আর আজকে সারাদিন সে কাজকর্ম করার পর সে তার বউয়ের এত দিনের কষ্টটা বুঝতে পারে এবং সে নিজেকে শুধরে নেয়। এরপর থেকে আস্তে আস্তে সব কাজকর্ম করতে থাকে বউয়ের সাথে এবং বউকে সাহায্য করতে থাকে এবং একটা সময় গিয়ে তার শ্বশুরবাড়ির সব দায়িত্ব সে নিয়ে নেয়।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঘর জামাই গল্পটির আগের পর্ব পড়া হয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত তাহলে ঘরজামাই তার বউয়ের কষ্টটা বুঝতে পেরেছিল। এবং কি সব দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে এটা জেনে ভালো লেগেছে। আসলে তারা যদি বুদ্ধি করে অসুস্থ তার নাটকটা না করতো তাহলে ঘরজামাইটা কখনোই শোধরাতো না। অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে সম্পূর্ণ টা। পর্বের মাধ্যমে সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার পুরো গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।
ঘর জামাই এর প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম। আসলে মানুষের নিজের থেকে কোন কাজ যদি না করতে চাই তাহলে তাকে কাজ করানো অনেক কষ্টকর। তবে এই সময় ভালো একটি কৌশল বের করতে হবে। যেমন ঘর জামাই এর ওয়াইফ অসুস্থর ভান ধরে সব কাজ একদিন তাকে দিয়ে করিয়েছেন। এই কারণে সে বুঝতে পারল তার ওয়াইফ প্রত্যেকদিন কত কাজ করে। তবে অনেক সময় কারো না কারো পরামর্শ নিলে নিজের জন্য ভালো হয়। যাইহোক ঘরজামাই তার ওয়াইফ কে সম্পূর্ণ কাজে হেল্প করতেছে দেখে ভালই লাগলো। আপনার গল্পটি পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।
এই গল্পের প্রথম পর্বটি আপনি পড়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এরকম ঘরজামাই থাকলে একটু বেশি অলস হয়ে যায় তারা। পায়ের উপর পা তুলে শুধু খেতে চায়। খাওয়া দাওয়া আর ঘুম ছাড়া যেন তাদের কিছুই নেই। এই গল্পটার আগের পর্ব পড়া হওয়ার কারণে আজকের পর্বটা পেয়ে ভালো লেগেছে। স্ত্রী যদি অসুস্থ নাটক না করত তাহলে স্বামী জীবনেও শোধরাতো বলে মনে হচ্ছে না আমার। তবে যাই হোক এখন তাহলে সে প্রত্যেকটা কাজ করে এটা জেনে ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আগের পর্ব এবং এই পর্বটি পড়ার জন্য। খুবই ভালো লেগেছে জেনে পুরো গল্পটি আপনি পড়েছেন।