গল্প:- ছিচকে চোর এর ভালো মানুষ হয়ে ওঠার গল্প।(পর্ব ১)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। একটা ছিচকে চোর এর ভালো মানুষ হয়ে ওঠার গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন গল্প শেয়ার করতে এসেছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ভূতের গল্প গুলো পড়তে বেশ ভালো লাগে কারণ সেই গল্পগুলো অনেক বেশি কৌতুহল কাজ করে। যদিও সময়ের কারণে এখন ঠিকভাবে গল্প পড়া হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাঝে মাঝে চেষ্টা করে গল্প পড়তে। তবে এখন চেষ্টা করছি মাঝে মাঝে আপনাদের মাঝে কিছু কিছু গল্প শেয়ার করতে। গত কয়েক সপ্তাহেও আপনাদের মাঝে অনেক গল্প শেয়ার করলাম। আজকে নতুন একটি গল্প নিয়ে এসেছি। আজকে আমি দেখবটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সেটি হচ্ছে একটা ছিচকে চোর এর ভালো মানুষ হয়ে ওঠার গল্প। তাহলে চলুন আজকের গল্পটি শুরু করা যাক।
গ্রামের একটা ছিচকে চোরের কথায় আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মানুষ মূলত অভাবে এর কারণেই তার স্বভাবটা নষ্ট করে। নিজের চাহিদা গুলো যখন ঠিকভাবে পূরণ করতে পারে না তখন খারাপ পথে গিয়ে হলেও চাহিদা গুলো পূরণ করার চেষ্টা করে। ঠিক একজন গ্রামের লোক ওর সেভাবেই ছোট থেকে নিজের চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারেনি কারণ ছোটবেলায় তার বাবা মারা যায়। আর একটা মানুষের জীবনের বাবা না থাকলে তাদের জীবন অনেক বেশি কষ্টের কাটে। এই ছেলেটাও বাবার অভাবে কখনো নিজের চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারেনি। তখন খারাপ পথে গিয়ে এটা ওটা চুরি করে টুকটাক চাহিদা গুলো পূরণ করতো। আর আস্তে আস্তে বড় হতে হতে সে গ্রামের পরিচিত চোর হিসেবে পরিচিত ছিল।
গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই তাকে চোর হিসেবে জানতো। এভাবে একটা সময় বড় হয়ে যায় এবং বিয়ের বয়সও হয়েছে। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সে আর চুরি করতো না কারণ লোক লজ্জা সে চুরি করতে পারত না। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর যখন আশেপাশের মানুষ তাকে চোর বলে সম্বোধন করতো তখন তার কাছে অনেক বেশি লজ্জা লাগতো। অভাবের কারণে খারাপ পথে চলে গিয়েছে সেটা সে বুঝতে পারত। এরপর আস্তে আস্তে সে চুরি করা ছেড়ে দেয়। কিন্তু এতদিন তো চুরি করেই নিজের চাহিদাগুলো পূরণ করেছে পরিবার চালিয়েছেন। এখন পরের বাড়ির মেয়েও নিজের কাঁধে এসে পড়েছে তার উপর নিজের পরিবার রয়েছে কিভাবে সংসার চালাবে সেটাই ভেবে পাচ্ছে না।
তবে এটা ঠিক করে নিয়েছিল যে সেই আর যাই করুক চুরি আর করবে না। একদিন হতাশাগ্রস্ত চেহারা নিয়ে বউয়ের সামনে বসে বসে চিন্তা করছিল। কিছু না করলে যদি এভাবে না খেতে পেয়ে মারা যায় পরিবার টার কি হবে। পাশে আবার তার মা ও ছিল। ছোটবেলায় তার স্বামী মারা যায় ছেলে ছিল তার একমাত্র ভরসা। হঠাৎ করে আবার তার খালাতো ভাই ও আসে তাদের বাড়িতে। আর খালার বাড়িও একই গ্রামে। খালাতো ভাই ছিল ছোট। মাঝেমধ্যে এখানেই আড্ডা দিতে সময় কাটাতো আবার তার খালাতো ভাইকে চুরির সঙ্গীও হতো। সে যখন চিন্তা করছিল মাকে বউকে কিভাবে খাওয়াবে সংসার কিভাবে চালাবে। তখনই তার মা বলে সবাই তো আর চুরি করে জীবন কাটায় না কাজকর্ম করে পরিশ্রম করে।(চলবে...)
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু ছিচকে চোর যদি তার মায়ের কথা মতো চুরি করা ছেড়ে দেয় তাহলে তো অনেক ভালো হবে। তার মা তো ঠিক বলেছে চুরি ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকে না। দেখা যাক পরবর্তী পর্ব কি হয়।
এই বিষয়টি একদমই ঠিক বলেছেন আপনি তবে চোর ভালো হলো না আরো খারাপ হলো সেটা আগামী পর্বগুলোতেই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
গল্পটা যেখানে জমে উঠেছে সেখানে সমাপ্ত করে ফেলেছেন। পরবর্তী পর্ব পড়ার আশায় থাকলাম। তবে চোর যে সুন্দর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর পিছনে যদি সমাজের মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে অবশ্যই এমন মানুষগুলো খুব সহজে ভালো পথে ফিরে আসতে পারে।
পুরো গল্পটা পড়তে অপেক্ষা করতে হবে আগামী পর্ব গুলোর মধ্যে পুরো গল্পটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
অসাধারণ একটি গল্পের সূচনা।অভাব, সংগ্রাম, এবং বদলানোর আকাঙ্ক্ষার মেলবন্ধন খুব ভালোভাবে ফুটে তুলেছেন। একজন সাধারণ মানুষের চুরির পথ থেকে সঠিক পথে ফিরে আসার প্রচেষ্টা। গল্পটির পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের মাঝে বাকি পর্বগুলো শেয়ার করব। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।