চায়ের গ্রামে চা খেতে যাওয়ার কিছু বিশেষ মুহূর্ত।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। চায়ের গ্রামে চা খেতে যাওয়ার কিছু বিশেষ মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরও একটি ট্রাভেল পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আসলে মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি না করলে কেন জানি একঘেয়েমি চলে আসে। এক পরিবেশে অনেক দিন থাকতে থাকতে ভালো লাগে না মাঝেমধ্যে অন্যান্য পরিবেশ থেকে ঘুরে আসলে অন্য জায়গা থেকে ঘুরে আসলে মনটা বেশ ফুর ফুরে থাকে এবং খুবই ভালো লাগে। সেজন্য বরাবরের মতোই একটু বাইরে ঘোরাঘুরি করার জন্য বেরিয়ে গেলাম। আমাদের এলাকাতেই নতুন একটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে। নতুন হয়েছে বলতে প্রায় অনেকদিন হয়ে গেছে আমার এর আগে যায়নি তবে চিন্তা করলাম সেখানে যাওয়া যাক গিয়ে ঘুরে আসা যাক। সেজন্য রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলাম আর রেস্টুরেন্টের নাম ছিল চায়ের গ্রাম। গাড়িতে করে চলে এসেছি রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই বেশ ভালো লাগলো পরিবেশটা খুবই সুন্দর বিভিন্ন বাঁশের জিনিস দিয়ে রেস্টুরেন্ট সাজানো।
এরপর চায়ের গ্রামের ভিতরে বসলাম তারপর তাদের মেনু কার্ড টা দেখলাম। চিন্তা করছিলাম আসতে আসতে চায় গ্রাম নাম কেন দিয়েছেন শুধু কি চাই বিক্রি করে নাকি। গিয়ে দেখি তাদের মেনু তো শুধু চা আর চা যেদিকেই তাকাই সেদিকে শুধু চা। এত রকমের চা রয়েছে চা গুলোর নামগুলো পড়তে খুবই হাসি পাচ্ছিল কিছু কিছু নাম খুবই অদ্ভুত অদ্ভুত। আরে অদ্ভুত চায়ের নাম গুলো মেনুতে দেখে আমার তো কি হাসি পাচ্ছিল। মেনুতে অন্য খাবার গুলো ছিল চা ছাড়া তবে অন্যান্য খাবারগুলো বাইরে তুলনা অনেক বেশি দাম। ফুচকা ছিল ফুচকার অনেক বেশি দাম ছিল সেজন্য সেখানে অন্য কিছু খাওয়া হয়নি শুধু চাই খেয়ে ছিলাম চায় গ্রামে এসেছে শুধু চাই তো খাব। এত রকমের চা দেখে খুবই ভাবনায় পড়ে গেলাম কোন ধরনের চা খাব। তারপর ভাবলাম অদ্ভুত চা খেলে যদি খারাপ হয় সেজন্য আমরা চায়ের গ্রামের স্পেশাল চা অর্ডার দিলাম।
আবার মেনুতে লেখা আছে সেলফ সার্ভিস রেস্টুরেন্টের মালিক কিন্তু অনেক বেশি চালাক যা বুঝতে পারছি। কোন ওয়েটার রাখেনি নিজের সার্ভিস নিজেই দিবে ওইটারে টাকা নিজেই বাঁচিয়ে দিচ্ছে। যদিও আজ পর্যন্ত অনেকগুলো রেস্টুরেন্টে গেলাম কিন্তু এরকম সেলফ সার্ভিস কোথাও ছিল না। যাই হোক চা অর্ডার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। অপেক্ষা করতে করতে একটা জায়গা দেখলাম ছবি তোলার খুবই সুন্দর ব্যবস্থা করেছে সাজানো গোছানো। আসলে রেস্টুরেন্টের প্রত্যেকটা
কোনায় ছবি তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডেকোরেশন করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম ছাতা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে।
ছবি তোলার জন্য সেখানে বসলাম বা বা এত লাইটিং করেছে লাইটিং এর এত গরম লাগছিল কি আর বলব। ফটোগ্রাফি করতে করতে গরমে খুবই খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক তাও গরমের মধ্যে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এখানে ফটোগ্রাফি করতে করতে চা চলে এসেছে। চার কাপগুলো অনেক বেশি কিউট ছিল দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি করার জন্য রেস্টুরেন্টের আরো বিভিন্ন জায়গা রয়েছিল কিন্তু এক জায়গা ফটোগ্রাফি করতে এতটা ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম যে অন্যান্য জায়গা গুলোতে ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গিয়েছিলাম।
এরপর চা খাওয়া শুরু করলাম অনেক বেশি গরম ছিল যা আর চায়ের মধ্যে অনেক ধরনের জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের চকলেট তারপর বাদাম আরও অনেক কিছু দেওয়া হয়েছে সবকিছু একসাথে মুখের মধ্যে দেওয়ার পর যেন সাধের মেলা বসেছে। সবাই মিলে খুব মজা করে চা খেলাম। চা খেতে খুব সত্যি খুবই ভালো লেগেছে এরকম স্পেশাল চা ফার্স্ট টাইম খেলাম। আমরা চা খেতে বসেছি পাশে আবার একটা মেয়ে একটা ছেলে এসে ফটোগ্রাফি করছিল কি যে ঢং করছিল সেগুলো চা খেতে খেতে দেখলাম চা খেতে খেতে বিনোদনের ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল।
দেখতেই পাচ্ছেন ফটোগ্রাফিতে খেতে খেতে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছি। আসলে চায়ের কাপটা ছোট হলেও অনেক বেশি চা ছিল। চা খেতে খেতে যেন শেষে হচ্ছিল না একটা সময় মনে হচ্ছিল তারা তো চায়ের কাপে চায় দেয় নি মনে হচ্ছে পাতিলে ভরে দিয়ে দিয়েছে এতক্ষণ ধরে খাচ্ছি তাও শেষ হচ্ছে না। অবশেষে অনেকক্ষণ যুদ্ধ করে কাপের অর্ধেকটা চা খেতে পারলাম পুরো কাপ আর খেতে পারিনি। পরে আমি আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে দিয়েছিলাম তার কাছে তো খুবই মজা লেগেছে আমার কাছে মজা লেগেছে। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/Farjana47240232/status/1671449602275545090?t=sd6LvM3RCPUVk7u08RfWhA&s=19
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একদম ঠিক বলেছেন আপু এক জায়গায় বেশি দিন থাকতে ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে যেতে হবে তাহলে মন ভালো থাকবে মন মাইন্ড দুটোই ফ্রেশ হয়ে যাবে । যাই হোক চায়ের গ্রামে গিয়ে চায়ের রেস্টুরেন্টে দারুন সময় উপভোগ করেছেন। সত্যিই আমি অবাক হয়েছি এত রকমের চা পাওয়া যায় এমন কোন রেস্টুরেন্ট আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই ।অবাক হওয়ার বিষয় ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্তের গল্প।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার এই পুরো পোস্ট করে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। হ্যাঁ ভাইয়া এত রকমের চা দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
আপনাদের ঘোরাঘুরির মুহূর্ত দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। কিন্তু রেস্টুরেন্টের নাম চায়ের গ্রাম শুনে অবাক হলাম। এই নামটা আগে কখনো শুনেছি বলে মনে হয় না। জায়গাটা কোথায় যদি বলেন তাহলে আমরাও গিয়ে ঘুরে আসবো। তবে এত রকমের চায়ের নাম আমি আগে কখনো শুনেছি বলে মনে হয় না। মেনু কার্ড পড়তে পড়তেই তো আমার অবস্থা খারাপ। তবে আপনারা যে চা টা খেয়েছেন দেখতে খুবই অসাধারণ লেগেছে। চায়ের গ্রামে গিয়ে শুধুমাত্র চা তো খাবেন। আর আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ ভালো লেগেছে।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি অনেক রকমের চা ছিল দেখে খুবই ভালো লাগলো। লোকেশনটা আমাদের ফেনীর মধ্যেই। ফটোগ্রাফিগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুবই খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান সময় দিয়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রেস্টুরেন্টের নামটা শুনেই তো ভালো লাগলো আপু। মেনুতে দেখলাম এখানে অনেক ধরনের চা এর ব্যবস্থা রয়েছে। নামের সাথে সাথে জায়গাটার সৌন্দর্যের অনেক মিল রয়েছে। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টের মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট টা সম্পর্কে জানতে পেরে।
হ্যাঁ ভাইয়া অনেক রকমের চা ছিল। এত রকমের এর চায়ের নাম জীবনে শুনিনি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
চা খেতে গিয়ে তো আপনি সেই লেভেলের খুশি রয়েছেন দেখি। আপনার প্রত্যেকটা দাঁত দেখা যাচ্ছে। ভীষণ ভালো লাগলো আপনাদের অনুভূতিটা পড়ে। আসলে এমন জায়গায় গেলে মন মানসিকতা ঠিক হয়ে যায়। কাজের প্রতি আগ্রহ ও অনেক গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু একা একা গিয়ে খেয়ে এসেছেন এজন্য খারাপ লাগলো। মাঝে মাঝে আমাদেরকেও বলতে পারেন। পুরো বিষয়টা আমার কাছে খুবই অদ্ভুত এবং সুন্দর লেগেছে। আসলে এখানে চায়ের গ্রাম না মনে হচ্ছে চায়ের মেলা রয়েছে। এত চায়ের লিস্ট আমি এর আগে কখনো দেখি নাই। এক মাসের জন্য যাওয়া দরকার সেখানে প্রত্যেকটা চা টেস্ট করার জন্য
চায়ের গ্রাম নামটি রাখার আইডিয়াটা খুবই ভালো লেগেছে আপু। আর এই চায়ের গ্রামে বিভিন্ন ধরনের চা পাওয়া যায় জেনে ভালো লাগলো। আমার আবার চায়ের নেশা প্রচুর। তাই আপনার চায়ের গ্রামে চা খেতে দেখে আমারও ভীষণ ইচ্ছে করছে আপনাদের সাথে বসে চা খাওয়ার জন্য। যাইহোক আপু, চায়ের গ্রামের ডেকোরেশনটা সত্যিই দারুণ লেগেছে। এত সুন্দর মনমুগ্ধকর পরিবেশে বসে চা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, চায়ের গ্রামের চা খেতে যাওয়ার বিশেষ কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দারুন আপু জায়গাটি নামটা যেমন সুন্দর জায়গাটিও তেমন সুন্দর। মনে হচ্ছে যে দুইজনে মিলে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বসে আছেন। কিন্তু চায়ের গ্রামের বসার আসন যে এত সুন্দর আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে বুঝতে পারলাম। চা গুলো খেতে অনেক ভালো লাগবে কালারটা অসাধারণ। খুব সুন্দর সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেন আপনি ভালো লাগে পড়তে।
কিছুদিন আগে আপনি ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর কিছু অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন। যেখানে ভাইয়ার অসাধারণ ফটো ছিল। পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা আজকেও ঘুরতে যাওয়ার এই দারুণ মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। দুজনার একসাথে এমন সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং অসাধারণ বর্ণনা করা আমার ভালো লাগলো। আশা করি আপনাদের এই সুন্দর মুহূর্তগুলো দীর্ঘজীবী হয়।