বুদ্ধিমানরা কখনো অহংকার করে না কারণ তারা জানে অহংকার পতনের মূল।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এক বুদ্ধিমানরা কখনো অহংকার করে না কারণ তারা জানে অহংকার পতনের মূল এই কথাটি নিয়ে কিছু আলোচনা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
অহংকার শব্দটি আমরা কমবেশি সবাই চিনি আর এই অহংকার শব্দটি যে কত মারাত্মক একটা শব্দ সেটাও আমরা সবাই জানি। যারা অহংকার করে তাদের মধ্যে অহংকার আছে তারা ওই বিষয়ে জানে কিন্তু তারা যে অহংকার করে সেটা তারা বুঝতে পারে না। তবে যারা প্রকৃত অর্থে বুদ্ধিমান মানুষ তারা কখনোই অহংকার করে না কারণ তারা জানে অহংকারের কারণেই পতন হয়। আর পতন যাদের হবে পতনের আগেই মানুষ অহংকার দেখানো শুরু করে। অহংকার করা মারাত্মক একটা জিনিস যার মধ্যে একবার অহংকার চলে আসে সে এতটাই অহংকারী হয়ে উঠেছে তার শেষ সীমা হয় ধ্বংস।
অনেকেই তো নিজেকে বুদ্ধিমান বলে দাবি করে কিন্তু সবাই কি আর বুদ্ধিমানের মত কাজ করে। যারা প্রকৃত অর্থে বুদ্ধিমান তারা সত্যি বুদ্ধিমানের মত কাজ করে। তারা জানে অহংকার করলে কি হতে পারে তার পরিণাম সেজন্য তারা কখনোই অহংকারের মধ্যে নিজেকে জড়ায় না। পৃথিবীতে সবার মধ্যেই অহংকার করার মত অনেক কিছুই থাকে কিন্তু কিছু কিছু লোক সে জিনিসগুলো নিয়ে অহংকার করে। কিন্তু একমাত্র বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা তাদের মধ্যে অহংকার করার মত অনেক কিছু থাকার পরও অহংকার করে না। তাছাড়া মানুষ হঠাৎ করে এমন কিছু জিনিস তাদের জীবনে পেয়ে যায় যেটার যোগ্যতা হয়তো তাদের নেই। সে জিনিসগুলো পাওয়ার পর তারা অনেক বেশি অহংকারী হয়ে ওঠে।
পরিশ্রম করা ছাড়া যোগ্যতা ছাড়া যদি কেউ তারা স্বপ্নপূরণ করে ফেলতে পারে। তখন তার মধ্যে অনেক বেশি অহংকার চলে আসে। মাঝেমধ্যে মানুষ এত বেশি অহংকারী হয়ে যায় যে নিজের মানুষদের সাথে অহংকার দেখায়। অহংকারের মাধ্যমে নিজের মানুষদেরকেও কষ্ট দিয়ে থাকে। যে জিনিসগুলো নিয়ে তারা সবসময় অহংকার দেখায় সে জিনিসগুলো একদিন অহংকারের কারণে মাটিতে মুছে যাবে। আর তখন তারা খুবই নিঃস্ব হয়ে যায়। অহংকার যখন তাদের পতনের মূল কারণ হয়ে থাকে তখন তারা একা হয়ে যায়। আপনার আশেপাশের মানুষগুলো আপনি যেটা যোগ্য ছিলেন না সেই জিনিসগুলো আপনাকে দিয়েছে যেমন সম্মান ভালোবাসা কিন্তু আপনি অহংকার দেখে তাদেরকে কষ্ট দিয়েছেন অহংকার জোরে চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছানোর পর আপনি যখন ধ্বংসের মুখে রয়েছেন তখন আপনি এসে মানুষগুলো কেউ পাশে পাবেন না।
মানুষ একটা কথাই বুঝতে পারে না যে এত অহংকার করে হবে টা কি জীবনের সেই শব্দ যখন মৃত্যু। মৃত্যুর সাথে তো সব অহংকারই শেষ হয়ে যাবে শুধু থেকে যাবে একটা কথাই যে এই ব্যক্তিটা অনেক অহংকারী ছিল। প্রিয় মানুষগুলোর মনে যে কষ্টগুলো দেওয়া হয় অহংকারী মৃত্যু হওয়ার পর সেই কষ্টগুলো সারা জীবন মনে থেকে যায়। সেজন্যই আমার মনে হয় অহংকারী হওয়া থেকে মাথা নত হয়ে থাকা অনেক বেশি ভালো কারণ যে অহংকার করে তাকে সৃষ্টিকর্তাও ঘৃণা করে। সে মৃত্যুর আগে অহংকারের কারণে মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করতে পারেনা মৃত্যুর পরেও সেই অহংকারের শাস্তি সে পেয়ে যাবে। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/APatwary88409/status/1734927595144360163?t=QArJlJskk9ARY45GLzMSIg&s=19
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজকের পোস্টে আলোচনা করেছেন পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
আসলে বুদ্ধিমান ব্যক্তি কখনোই অহংকার করে না।
যারা অতি বুদ্ধি এবং মানুষের সাথে চালাকি করে তারা সবসময়ই অহংকারী হয়।
শয়তান অহংকার করেছিল সেই জন্য আসছে বিতাড়িত।
আর অহংকার মানুষের পতন বয়ে আনে।
আজকের পুরো পোস্ট পড়ে গুছিয়ে একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ঠিক বলেছেন বুদ্ধিমানরা কখনো অহংকার করে না কারণ তারা জানে অহংকার পতনের মূল। কিন্তু যারা নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করে তারা সত্যিই কি বুদ্ধিমান। অহংকার এমন একটি বস্তু যখন তা কারো মধ্যে প্রবেশ করে তখন সে তাকে ধ্বংস না করে ছাড়ে না। অতি লোভে যেমন তাঁতি নষ্ট তেমনি অতি অহংকারে জীবন নষ্ট। আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
অহংকার জীবন নষ্ট কথাটি একদম সত্যি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এরকম বাণী গুলা কিন্তু নিতান্তই সত্য কথা।নীতিকথা বলা খুবই সহজ, কিন্তু বিবেকের কাঠগড়ায় দাড়ালে দেখা যায় নিজেই প্রত্যক্ষ দোষী।আমরা নিজেরাও জানিনা কে কখন অহংকারে লিপ্ত হই।আর এটা ঠিক, মানুষকে যোগ্যতার বেশি সম্মান দেয়া হলে তখন সে মনে করে সে প্রাপ্য। কিন্তু আসলেই অহংকার মানুষকে অনেক জায়গা থেকে পিছিয়ে নেয়।তবে আমরা হয়তো দেখি অনেকে কষ্ট না করেও পেয়ে থাকে।কিন্তু অনেকের কষ্ট আমরা চোখে দেখি না।তবে এই অহংকার থেকে আমাদের সবাইকেই দূরে থাকতে হবে।আমরা নিজেরাও অনেক সময় কথার মাঝে অন্যকে বুঝাতে নিজেই অহংকার প্রকাশ করে ফেলি যা আমরা নিজেরাই বুঝি না।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
নীতি নৈতিকতার কথা সবাই বলে ভাইয়া কিন্তু কয়জন পারে সেই লক্ষ্যে জীবন পরিচালনা করে। বর্তমান সময়ে যার মধ্যে নীতি নৈতিকতা নেই সেই এই সব বিষয়ে কথা বলে।যাই হোক আপনি সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু , জ্ঞানী লোক কখনো অহংকার প্রদর্শন করে না। কারণ অহংকার পতনের মূল। যার অহংকার আছে সে এখন সফলতার চূড়ায় উঠতে পারে না। অহংকার করা মানে সফলতার এক ধাপ থেকে পিছিয়ে যাওয়া। অহংকার তারাই করে যারা নিজেকে অনেক কিছুই মনে করে। আসলে যারা নিজেকে অনেক কিছুই মনে করে তারা প্রকৃতপক্ষে জ্ঞানী নয়। এত চমৎকার বিষয় আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অহংকার মানেই পিছিয়ে যাওয়া কথাটা ঠিক বলেছেন। আপনার মন্তব্যটি পেয়ে ভালো লাগলো।
আপু আপনার শেয়ার করা পোস্টে পড়তে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন বুদ্ধিমান মানুষ আসলে কখনো অহংকার করেনা। পরিশ্রম ছাড়া কেউ যদি কখনো সাফল্যে পৌঁছে যায় তখন তার মধ্যে অনেক অহংকার চলে আসে। আর ঠিক সেই সময় সেই মানুষের পতন ঘটে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
এক্ষেত্রে একটা কথা বলতে হয় সেটা হচ্ছে যে কিছু পারিবারিক শিক্ষা আছে। এমন কিছু পরিবার আছে তাদের প্রচুর ধন সম্পদ থাকে না কিন্তু তেমন বিদ্যাও থাকে না। তারপরও তারা কেমন জানি মানুষকে কম সহ্য করতে পারে। মানুষের ভালো-মন্দ খুব কম সহ্য করতে পারে। এসব মানুষ তো কখনোই উঁচু হয়ে বাঁচতে পারে না। বরঞ্চ মানুষের ভাল দেখে হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা গুলো পড়ে।
আপনি একদমই ঠিক কথা বলেছেন আপু ভালো দেখলে হিংসায় জ্বলে। যাইহোক আপনার সুন্দর একটি মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
আসলে সত্যি কথা না চাইতে কিছু পেয়ে গেলে কিংবা পরিশ্রম ছারা সম্পদশালী হয়ে গেলে অহংকার করে মানুষ। অহংকার পতনের মূল।অহংকারী ব্যাক্তি কখনোই এটা ভাবে না যে সবার এক সময় মৃত্যু অনিবার্য তখন টাকা পয়সা সাথে যাবে না।মানুষ বেঁচে থাকবে তার কর্মের মাধ্যমে। ধন্যবাদ পোষ্ট টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যা আপু অহংকার পতনের মূল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।