পিকনিক এ যাওয়ার গল্প।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আজকে আপনাদের সাথে ঘটনা শেয়ার করব। আমার বাংলা ব্লগ এটি আমার প্রথম গল্পের পোস্ট বা লিখিত পোস্ট। একদিন বাইরে ঘুরতে যাওয়া অর্থাৎ পিকনিকে যাওয়ার কিছু ঘটনা আপনি তার সামনে তুলে ধরেছেন । আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে ।
আজকে আমি সবার সাথে একটি ঘুরতে যাওয়ার ঘটনা শেয়ার করব । কিছুদিন আগে আমি আমার সহপাঠীদেরকে নিয়ে আমাদের পাশের উপজেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম । আমাদের পার্শ্ববর্তী উপজেলার নাম হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা । এই উপজেলাটি নোয়াখালী জেলার মধ্যে অন্যতম একটি উপজেলা । এই উপজেলার মধ্যে ঘোরাফেরা করার অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে । তার মধ্য থেকে আমি মুসাপুর নামক ঐতিহাসিক একটি জায়গায় গিয়েছিলাম ঘুরতে।
আমাদের আশেপাশে ঘোরাফেরা করার অনেকগুলি জায়গা রয়েছে তার মধ্যে মুসাপুর অনেক জনপ্রিয় একটি জায়গা । আমরা অনেকেই ওই জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম একসাথে । সবাই মিলে একটি গাড়ি রিজার্ভ নিয়েছিলাম এবং ওই জায়গায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । পরবর্তীতে প্রায় এক ঘন্টা পর ওই জায়গায় গিয়ে পৌঁছলাম । ওই জায়গায় যাওয়ার সময় রাস্তা গুলি অনেক আঁকাবাঁকা এবং অনেক গর্ত ছিল । যার কারনে যেতে আমাদের অনেক দেরি হয়ে গেছে ।
আমরা সবাই এখানে গিয়ে পৌঁছানোর পর দেখলাম ওইখানে শুধু আমরা না আরো অনেক মানুষ এসেছে ঘোরাফেরা করার জন্য । এই জায়গায় রয়েছে সমুদ্র সৈকত এবং অনেক বিশাল একটি বাগান । এই বাগানের মধ্যেই রয়েছে হরেক রকমের গাছপালা । আবার কিছু কিছু জায়গায় অনেকগুলি ফুল গাছ রয়েছে । আর সমুদ্র সৈকতের মাঝে ছোটখাটো অনেকগুলি নৌকা এবং ট্রলার রয়েছে । আমরা এখানে দেখলাম অনেক মানুষ সমুদ্রের মধ্যে জাল দিয়ে মাছ ধরতেছিল । এবং অনেকেই নৌকাতে উঠে ঘোরাফেরা করতে ছিল ।
আমরা সবাই একসাথে সর্বপ্রথম বাগান টির মধ্যে গেলাম এবং সবাই মিলে রান্না বান্না করার আয়োজন শুরু করলাম । সবাই মিলে আমরা ওইখানে খিচুড়ি রান্নাবান্না করেছিলাম । রান্নাবান্না শেষ করে আমরা সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম । খিচুড়ি গুলি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল । সর্বশেষ আমরা সবাই বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করলাম । নৌকায় উঠলাম সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে ঘুরলাম এবং বনের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করলাম । এবং সন্ধ্যা যখন ঘনিয়ে এলো তখন সবাই মিলে আবার রওনা দিলাম। এই ছিল আমার ঘোরাফেরার কিছু মুহূর্ত যেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আমি।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
খুব সুন্দর একটা জায়গায় ভ্রমন করে এসেছেন, এবং চমৎকার ছিল সেখানকার ঘটনা গুলো, তবে সেই জায়গার ছবিগুলো দিলে আমরাও আপনার পিকনিকে যাওয়ার সেই ভ্রমণ জায়গাটি অনুভব করতে পারতাম।
অনেক জন মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন পিকনিকের উদ্দেশ্যে অনেক মজা করেছেন বোঝা যাচ্ছে।আপনার কথাই বোঝা যাচ্ছে মুসাপুর অনেক সুন্দর একটি জায়গা যেখানে সমুদ্র আছে এবং একটি গাছপালার বাগান আছে দেখতে সুন্দর হবে।অনেক ঘোরাফেরা করেছেন সবাই মিলে অনেক আনন্দ করছেন শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
আপু ফটোগ্রাফারের নাম দেয়া আছে কিন্তু ফটো নেই। জায়গাটা নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর ছিল। ছবিগুলো দেখতে পেলে ভালো লাগতো। ধন্যবাদ ।
আসলে এই জায়গাটি কিন্তু খুবই জনপ্রিয় আমিও অনেকবার গিয়েছি জায়গাটিতে। আপনারা তো দেখছি বেশ ভালোই পিকনিকের আয়োজন করেছেন। আপনারা খিচুড়ি রান্নার আয়োজন করেছেন এবং মনে হচ্ছে খুবই মজা করে খেয়েছেন যেহেতু পিকনিক তাই মজা হওয়ারই কথা। আমাদেরকে একটু নিয়ে যাইতেন তাহলে কিন্তু অনেক ভালো হতো। যাই হোক এরকম একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।
আপনারা সবাই একা একা পিকনিকে গিয়ে ঘুরাঘুরি করে চলে এসেছেন সেই সাথে খাওয়া-দাওয়া করেছেন আমাদেরকে একটু বললেন ও না। আসলে এভাবে যদি সবাই মিলে পিকনিক এ যাওয়া হয় তাহলে বেশ ভালোই মজা হয়। আমার তো অনেক দিনের ইচ্ছা সবাই মিলে একটি জায়গায় যাব পিকনিকের উদ্দেশ্যে। সেখানে আপনারা খিচুড়ি রান্না করেছেন এবং বেশ মজা করে খেয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো।
বোঝা যাচ্ছে পিকনিক করতে গিয়ে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আসলে সকলের সঙ্গে এরকম সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতে সকলের অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সেখানে পৌঁছানোর আগেই আপনারা অনেক মানুষ দেখেছিলেন নৌকাতে উঠে ভ্রমণ করেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো সেইসাথে বাগানের মধ্যে হাটাহাটি করতে খুবই ভালো লাগে। সুন্দর এই মুহূর্তে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে সবাই মিলে একসাথে ঘোরাঘুরি পিকনিক করার মজাই আলাদা ৷ আপনারা অনেকেই মিলে দারুণ একটি জায়গায় ভ্রমণ করতে গিয়েছেন এবং খিচুড়ি রান্না করে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ৷ আসলে খিচুড়ি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার ৷ আপনাদের রান্না অনেক সুস্বাদু হয়েছে জেনে ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পিকনিক যাওয়ার গল্প শেয়ার করার জন্য ৷
বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি পিকনিকে যে সমুদ্র সৈকত সহ সুন্দর বাগান দেখেছেন যেখানে হরেক প্রকার নাম না জানা কাজ রয়েছে। আরো লক্ষ করে দেখেছেন নৌকা আর ট্রলার রয়েছে সেখানে আর আপনাদের খাওয়া দেওয়ার জন্য খিচুড়ি ভাতের ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে এই সমস্ত পড়ার পরে বুঝতে পারলাম খুবই আনন্দঘন একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন তখন।