গল্প - দুই খাদকের গল্প (পর্ব ১)

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। দুই খাদকের গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

B612_20230818_130018_325.jpg

আজকে আরো একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটির নাম হল দুই খাদকের। চলুন তাহলে শুরু করা যাক গল্পটি। একটা পরিবারে দুটো জমজ ভাই আর তাদের মা থাকে। তারা দুই ভাই অনেক বেশি খেতে পছন্দ করে। তারা চায় সারাদিন নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করে তাদের মা তাদেরকে রান্না করে খাওয়া। কিন্তু তাদের মা সারাদিন রান্না করতে করতে হাঁপিয়ে যায় সেজন্য না পেরে রান্নার জন্য লোক রাখে। আর রান্নার লোক রাখার পর তাদের দুই ভাইয়ের এত এত রান্না করতে করতে কাজের লোকগুলো একটা সময় কাজ ছেড়ে চলে যায়। এভাবে একের পর এক কাজের লোক বদলাতে থাকে কাজের লোক আসে আর চলে যায় আসে আর চলে যায়।

এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকে। একদিন সকালবেলা তাদের দুই ভাই ঘুম থেকে উঠেই সকালের নাস্তা করে। তারপর আবার তাদের মাকে বলে আবার খেতে দিতে তাদের মা তাদেরকে দুই ভাইকে দুই বাটি মুড়ি খেতে দেয়, মুড়ি খেতে খেতে আবার আজকের সকালের নাস্তায় পর খাওয়ার মেনু তাদের মাকে দিয়ে দেয়। তাদের মেনু শুনে তার মা খুবই রেগে যায়। বলে তোদের জন্য কত রান্না লোক রেখেছে তোদের খাওয়ার জালায় সব রান্নার লোক পালিয়ে যায়। আর সারাদিন তোদের ইচ্ছেমতো খাবার রান্না করতে করতে আমি নিজেও হাঁপিয়ে গেছি। আমার শরীরটা খুবই খারাপ আজকে আমি পারবো না রান্না করতে। দুপুরে যায় রান্না করব তাই খাবি আর এখন মুড়ি খা।

এই বলে তাদের মা ঘরে চলে গেল আর মুড়ি খেয়ে তারা দুই ভাই ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। মায়ের উপর রাগ করে ঘর থেকে বেরিয়ে অনেকটা দূরে একটা গাছের নিচে বসে বসে খুবই মন খারাপ করছিল। আর বলছিল আমাদের মা আমাদের সাথে এরকমটা করতে পারল। আমরা দুই ভাই একটু খেতেই তো ভালবাসি আর আমাদের মা আমাদেরকে খাওয়াতে খাওয়াতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে আর বলছে আমাদেরকে রান্না করে খাওয়াতে পারবে না। আমরা খেতে কত ভালোবাসি না খেয়ে কি আমরা থাকতে পারি। আজকে আর বাড়িতে যাব না মা যখন আমাদেরকে এরকম করবে বলতে পারলো আর বাড়িতে যাব না। দুই ভাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় বসে আছে।

সেই গ্রামেরই একটা বড়লোক বাড়িতে একটা রান্নার লোক এসেছেন। নতুন লোক সে সারাদিন রান্না করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। সে সারাটা দিন শুধু বিভিন্ন রকমের রান্না করে কিন্তু সে বড়লোক বাড়িতে এত রান্না কেউ খেতে পারে না। দিনের পর দিন রান্নার লোক শুধু রান্না করে কিন্তু সে বড়লোক বাড়িতে এত রান্না খেয়েও শেষ হয় না এত লোক খায় তারপরও সেই রান্না শেষ হয় না। প্রতিদিনই অনেক খাবার নষ্ট হয়। এই নিয়ে সে বাড়ির কর্তা খুবই চিন্তিত। বাড়ির কর্তার কর্মচারী সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করছিল। যে সৃষ্টিকর্তার রহমতে আমার কোন দিক দিয়ে অভাব নেই কিন্তু এভাবে রান্না করে করে প্রতিদিন রান্না নষ্ট করে ফেলে দিলে তো আমার খুবই ক্ষতি হয়ে যাবে। সৃষ্টিকর্তা আমার উপর খুবই রাগান্বিত হবেন।

রান্না খুবই সুস্বাদু করে তবে এত এত রান্না করলে তো আমরা খেতে পারি না। রান্নার লোক এসে তখন সে তার মালিক কে জিজ্ঞেস করে তাহলে আজকে দুপুরে কি রান্না করবো। তখন তার কর্মচারী বলে সকালের এত খাবার বেঁচে গিয়েছে আবার দুপুরে কি রান্না করবে? এত খেয়েই তো আমরা থাকতে পারছি না। তখন রান্না লোকটি বলে আমি সারাদিন রান্না করতে অনেক ভালোবাসি কিন্তু আপনারা কেন খেতে পারেন না। আমার তো রান্না না করলে শরীর খারাপ করে, মাথা করে এসব শোনেন বাড়ির ঘরটা খুবই হাসতে লাগলো। এরপর সে দুপুরের রান্না করতে লাগলো(চলবে...)

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Sort:  
 last year 

গল্পটি পড়ে দারুন মজা পেয়েছি দুই জমজ ভাই অনেক বড় খাদক কিন্তু তাদের রান্না করতে করতে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে । তাদের মনে হয় সামনের পর্বতে ভালো একটা সুখবর আছে । যে বাড়িতে শুধু রান্না হয় খাওয়ার লোক নেই সেখানেই তাদের আহার মিলবে পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম।

 last year 

খুবই ভালো লেগেছে দেখে যে আপনি আমার এই গল্পটি পড়েছেন। একদম ঠিক বলেছেন পরবর্তী পর্বে তাদের জন্য সুখবর আছে আশা করছি পরবর্তী পর্বটি আপনাদের মাঝে খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করতে পারবো।

 last year 

আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি দুই ভাই এতো পরিমাণ খাদ্য খায় যে রান্না করা মুশকিল তবে বড়লোক বাড়িতে যে লোক আসলো তার রান্না না করে ভালো লাগে না। তবে সে এমন কি রান্না করে যে খাবার শেষ হয় না দুপুরে রান্না না করার ক্ষেতে সে রান্না করতে গেল ।দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

 last year 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পুরো গল্প পড়ার জন্য। আপনার কাছে গল্পটি পড়ে ভালো লেগেছে শুনে খুবই ভালো লাগলো।

 last year 

দুই খাদকের গল্পটা পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এরকম গল্প গুলো পড়তে খুব পছন্দ করি। আর আজকে আপনি এই গল্পটির প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। এখানে তো দেখছি ছেলে দুইটা খেতে ভালোবাসে আর ওই লোকটা সারাদিন রান্না করতে ভালোবাসে। লোকটা যদি ছেলে 2টার এখানে কাজে আসে তাহলে মন্দ হবে না। তাহলে লোকটাও সারাদিন রান্না করতে পারবে এবং ছেলে দুইটাও সারাদিন খেতে পারবে। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়।

 last year 

হ্যাঁ আপু এই গল্পে দুইটা ভাই খেতে খুবই ভালোবাসে সে জন্য খুবই মুশকিলে পড়ে যায় মা। যাই হোক গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো।

 last year 

আপনি সব সময় অনেক সুন্দর করে গল্প লিখে থাকেন যেগুলো পড়তেও ভালো লাগে আমার কাছে। দুই খাদকের গল্পের প্রথম পর্ব টা আজকে পড়তে পেরে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। ছেলে দুটি মায়ের সাথে রাগ করে বেরিয়েছে রাস্তায়, আমি তো ভাবছি তারা কি খাবে রাস্তায় বের হয়েছে তাই। তুমি ওই লোকটার কথা শুনি অনেক মজা পেলাম। একটা মানুষ সারাদিন খেতে পারে এটা ভাবা যায় তবে সারাদিন কিভাবে রান্না করতে পারে। নিশ্চয়ই গল্পটার পরবর্তী পর্ব আরো অনেক মজার হবে।

 last year 

শেষ পর্ব আপনাদের মাঝে খুবই তাড়াতাড়ি শেয়ার করব। মজাদার একটি গল্প অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার দুই খাদকের গল্পটি পড়ে। দুটি জমজ ভাই খেতে খুবই ভালোবাসে। তবে তার মা এত রান্না করতে না পারাই লোক রাখে কিন্তু কোন কাজের লোক কি অত রান্না করতে পারে না। এতে সবাই চলে যায় এবং তার মা ও বিরক্ত হয়ে যায়। পরে তারা রাগ করে বাড়ি থেকে এক দিন চলে যায় এবং একটি গাছের নিচে বসে থাকে। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তারা একটি রাঁধুনী ও পেয়ে যায়। আপনার পরবর্তী গল্পের পার্ট এর জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।

 last year 

দুই খাদকের গল্পটি খুবই মজাদার একটি গল্প আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

দুই খাদকের গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তাদের মা তাদের জন্য রান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আর ওই দিকে বড়লোক বাড়িতে যে লোক এসেছে উনি নতুন নতুন রান্না করতেই পছন্দ করে। আবার রান্না না করলে নাকি শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে। গল্পের পরবর্তীতে কি হল তা জানার অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইল।

 last year 

শুনে খুবই খুশি হলাম আপু আমার আজকের গল্প আপনার কাছে ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বটি খুবই তাড়াতাড়ি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।

 last year 

আপনার দুই খাদকের গল্প পড়ে খুব ভালোই লাগলো। জমজ দুই ভাই এত খেতে পারে তা কল্পনার বাইরে। যদিও তার মা রান্না করতে করতে কালান্ত হয়ে পড়ে তারপরও তাদের খাওয়া বন্ধ হয় না। তবে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল কাজের লোকগুলো এসে তাদের খাওয়ার তালিকা দেখে বা কাজ দেখে চলে যায়। তবে দুই ছেলে রাগ করে বাইরে গেল মনে হয় তাদের জন্য ভালোই হলো। কারন সারাক্ষণ খাই খাই করে তারা। যাইহোক একটি রাধুনী মনে হয় ভালো পেয়ে গেল। আপনার পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মধ্যে শেয়ার করবেন পর্বটি।

 last year 

দুই খাদকের গল্পটি আপনার কাছে পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58482.75
ETH 2615.94
USDT 1.00
SBD 2.42