গল্প:-বাবা (পর্ব ১)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। "বাবা" গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরো একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি নাম হল বাবা। চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্পটি।দুজন স্বামী স্ত্রী খুবই সুন্দর ভাবে তাদের জীবন কাটাচ্ছিল। তাদের টাকা পয়সার কোনো অভাব ছিল না। তবে কথায় আছে না কেউ জীবনে সব দিক দিয়ে পুরোপুরি সুখী হতে পারে না। তাদের এক দিক দিয়ে খুবই দুঃখ ছিল যে তাদের কোনো সন্তান ছিল না। তারপর ও তারা তাদের জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে তিনি তার বন্ধু সহ একটা বৃদ্ধাশ্রম খুলে।বাবা ডাক শোনার ইচ্ছা বুকে চেপে বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে এগিয়ে যায়। একদিন বৃদ্ধাশ্রম এর বাইরে তারা একটি বাচ্চা পায়। তারা তারা এ বাচ্চাকে পেট খুবই খুশি হয় এবং ঠিক করে এই বাচ্চাকে তাদের নিজের সন্তানের মত মানুষ করবে।
থেকে তারা দুজনে এই বাচ্চাকে মানুষ করে বড় করে তোলে। তার মধ্যে তার স্ত্রী মারা যায়। মারা যাওয়ার পর সে একাই সেই বাচ্চা ছেলেটাকে মানুষ করে বড় করে তোলে । লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করে তোলে এবং বড় অফিসে চাকরিও করে। এভাবে দেখতে দেখতে সে বৃদ্ধ হয়ে যায়। এদিকে সে তার ছেলেকে বিয়ে করা এবং ছেলের সংসার খুবই সুন্দরভাবে চলতে থাকে কিন্তু সে কখনোই তার ছেলেকে এই বিষয়টি পড়ে নিজের তাকে তারা কুড়িয়ে পেয়েছে নিজের সন্তান নয়। পরবর্তীতে তার একটা নাতি হয় নাতিকে নিয়ে সারাদিন সে খেলাধুলা করে। একদিন সন্ধ্যাবেলা, দাদা নাতি দুজনে মিলে পড়ছিল এবং দুষ্টামি করছিল।
পরে ছেলের বউকে ডাক দিয়ে বলে বৌমা আমাকে এক কাপ চা দিয়ে যাও। বৌমা তখন আয়নার সামনে সাজুগুজু করছিল শ্বশুর মশাইয়ের চা দেওয়ার কথা শুনে সে অনেকটাই বিরক্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে চা বানিয়ে শ্বশুর মশাইকে দিতে গিয়ে বলে বাবা আপনি বারবার এত চা চাইবেন না। কাজকর্ম করে নিজেকে দেওয়ার মতো সময়ও হয় না সারাদিন শুধু চা চা করেন। এই বলে সে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরেই দরজার কলিং বেলটা বেজে ওঠে। ছেলের বউ তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজা খুলে দেখে তার স্বামী এসেছে অফিস থেকে। তার হাতে বড় একটা বাজারের ব্যাগ। অফিস শেষে ফেরার পথে বাজার থেকে বাজার করে নিয়ে এসেছে। ইলিশ মাছ আরও বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে এসেছে। ছেলে বলছিল তার বউকে রাতে ইলিশ মাছ রান্না করার জন্য এবং তার বাবা অনেক অসুস্থ তার বাবার জন্য হালকা কোন খাবার তৈরি করার জন্য।
এই শুনে তো ছেলের খুব বাড়ি মাথায় তুলে ফেলল। ছেলের সাথে অনেক বেশি ঝগড়া করছিল ছেলে আর ছেলের বউ ঝগড়া শুনে শ্বশুর মশাই বেরিয়ে এলো রুম থেকে। তাদের ঝগড়া থামিয়ে বলল বৌমা তুমি আমাকে রাতের খাবারের মুড়ি আর পানি দিও আমার জন্য আলাদা করে কিছু তৈরি করতে হবে না। আমার শরীর খারাপ লাগছে আমি ভারি কোন খাবার খাব না মুড়ি দিলেই হবে। পরে ছেলে এসব শুনে রাগ করে চলে যায়। পরদিন সকালবেলা ছেলের বউ রান্না ঘরে সকালের নাস্তা তৈরি করছিল ছেলে বসে নাস্তা করছিল। তখন হঠাৎ করে তার বউকে ডেকে বলল বাবা অসুস্থ রাতেও খেতে পারেনি তুমি বাবার জন্য হালকা কিছু রান্না করে দাও না। আর বাবা আজকে তার নাতিকে স্কুলে দিতে যাবে না আমি অফিসে যাওয়ার পথে দিয়ে যাব। এরপরও তার বউ সব শুনে সকাল বেলা অভিন্ন ধরনের ঝামেলা করে। এসব ঝামেলায় গিয়ে ছেলে তার সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। এদিকে ছেলের বউয়ের মা-বাবা আসে মেয়েকে দেখতে(চলবে.....)
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
আপনার লেখা বাবা গল্পটার প্রথম পর্ব পড়তে খুব ভালো লেগেছে। তুমি বৌমার এরকম আচরণ দেখে অনেক খারাপ লাগলো। ওই বৃদ্ধ মানুষটা রাতেও কোন কিছু না খেয়ে ছিল। আজ সকালবেলায় হালকা খাবার তৈরি করার কথা বলার কারনেও বৌমা রাগ করেছিল। তাকে তার বাবা মা দেখতে আসার পর কি হয়েছিল তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনার গল্প গুলো অনেক সুন্দর হয় সবসময়। আমার কাছে খুব ভালো লাগে আপনার লেখা গল্পগুলো পড়তে। আজকে বাবা গল্পটার প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন আপনি। ওই বাবার কোন সন্তান না থাকার কারণে, রাস্তার ধারে পাওয়া ছেলেটাকে নিয়ে এসেছিল এবং কিছুদিন পরে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নিজেই মানুষ করেছিল ওই ছেলেকে। কিন্তু ছেলের বউ তো দেখছি বাবার সাথে খুব একটা ভালো ব্যবহার করেনা।
আজ বাবা নামের গল্পটি শেয়ার করলেন আপু।এর প্রথম পর্ব পড়লাম।আসলে এই বাবার কোন সন্তান ছিল না।পথে একটি ছেলেকে পেয়ে তাকে নিজের ছেলের মতো বড় করে যাচ্ছিল।কিন্তু এর মধ্যে মা মারা গেলে এই বাবা ই ছেলেটিকে মানুষ করে।কিন্তু ছেলের বউ এর ব্যবহার তো ভালো নয়।পরের পর্বে জানবো কি হয় শেষে??