কেনাকাটা করার কিছু মুহূর্ত।

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। কেনাকাটা করার মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে কেনাকাটা করার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। কিছুদিন আগেই একটা শপিংমলে গিয়েছিলাম সামান্য কিছু কেনাকাটা করার জন্য। বেশি কিছু কেনাকাটা করা হয়নি যেগুলো খুবই প্রয়োজন ছিল সেগুলি কেনাকাটা করার জন্য গিয়েছিলাম। আসলে মাঝে মধ্যে এমন কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয় যেগুলো আসলে না কিনলেই নয়। না কেনার ইচ্ছে থাকলেও সেগুলো প্রয়োজনের ক্ষেত্রে কিনতেই হয়। এরকম কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করলাম আজকে। সন্ধ্যাবেলা বেরিয়েছি এরপর একটা মার্কেটে চলে গিয়েছিলাম।

বাজার থেকে কিছুটা দূরেই মার্কেটটা ছিল সেখান থেকে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি দোকানদার বসে আছে একা একা আমাদের পরিচিত ছিল। আমরা সেখানে বসলাম সে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের জামা কাপড় বের করে করে দেখাচ্ছিল। আমরা যাওয়ার পর সেখানে আরো অনেক কাস্টমার আসলো তাদেরকেও বাইর করে করে জামা কাপড় দেখা ছিল ।সেগুলো দেখছিলাম তবে সেগুলো কিছুই কেনাকাটা করিনি। যতটা প্রয়োজন ছিল সেটুকুই কিনে চলে এসেছিলাম। তবে আমি অনেকদিন পর সেই দোকানে গিয়েছিলাম। এবার গিয়ে দেখি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু গজ কাপড় ছিল। আবার কখনো গজ কাপড় কেনা হলে সেই দোকান থেকেই কিনব।

দোকানটা অনেক সুন্দর সুন্দর জামা ছিল দেখেই মনে হচ্ছিল এখান থেকে একটা দুইটা যদি কিনতে পারতাম কত ভালো হতো। কিন্তু সেটা বাজেটের মধ্যে ছিল না বাজেট খুবই কম ছিল। কিন্তু ঠিক করলাম আবার কখনো জামা কাপড় কেনার হলে এখান থেকে কিনবে। এখানে জামাগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আসলে কি বলবো যখনই মার্কেটে যায় ভালো লাগে না এরকম কোন দিন হয় না। প্রত্যেকটা দিনই কিছু না কিছু ভালো লেগে যায়। পরে সেখান থেকে আসার সময় চিন্তা করি পরবর্তীতে ওইখান থেকেই কিনবো কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে না। টাকা যে কত প্রয়োজনীয় একটা জিনিস সেটা মার্কেটে গেলেই বোঝা যায়। যদি অনেক টাকার মালিক হতাম তাহলে হয়তো মার্কেট থেকে নিজের সব পূরণ করে ফিরতে পারতাম। কিন্তু আমরা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মানুষ সেজন্য আর সব সব পূরণ হয়ে ওঠে না। যাইহোক তারপর ও সাধ্যের মধ্যে সব সব পূরণ করতে পারছি এটাই অনেক। সব পূরণ হয়ে ওঠেনা এটা বললে ভুল হবে।

মূলত আমি গিয়েছিলাম কিছু গজ কাপড় কেনার জন্য। সেজন্য দোকানদারকে বললাম কিছু গজ কাপড় দেখানোর জন্য। দোকানদার আমাদের সামনে বিভিন্ন রংয়ের গজ কাপড় বের করল। তার মধ্যে তিনটি রঙের গজ কাপড় আমি নিয়ে নিলাম। সেটা হলো লাল নীল হলুদ কেন যে আমাকে সেদিন পাগলে ধরেছে আমি তিন রঙের তিনটা নিয়েছি। এই তিন রঙের কেন নিয়েছি সেটা আমি নিজেও বুঝতে পারিনি। আসলে আমরা মেয়েরা শপিংমলে বা মার্কেটে কিছু কেনাকাটা করার জন্য গেলে আমাদের মন কি চায় আমরা কি চাই সেটা আমরা নিজেরাও বুঝতে পারিনা।

এরপর গজ কাপড় গুলো থেকে আমার প্রয়োজন মত যতটা প্রয়োজন ছিল ততটা কাপড় কেটে নিলাম। কেটে নিয়ে দোকানদারের সাথে দাম করে কথাবার্তা বলে কাল কাপড় গুলো নিয়ে নিলাম। আচ্ছা কাপড়গুলো দিয়ে কি করব সেটাই তো আপনাদেরকে বলা হয়নি কাপড়গুলো দিয়ে আমি পায়জামা বানাবো। কেনাকাটা করার পর দোকান থেকে বেরিয়ে বাইরে গিয়েছিলাম। সামান্য খাওয়া দাওয়া করলাম বেশি দেরি করিনি তাড়াতাড়ি করে আবার বাড়ি ফিরে এলাম।

এই ছিল কেনাকাটা করার কিছু মুহূর্ত আসলে শপিং করতে ছোটখাটো কেনাকাটা করতে কার না ভালো লাগে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি শপিং করতে, সেজন্য ছোট থেকে ছোট কেনাকাটা করতে অনেক বেশি ভালো লাগে । আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

আমার পরিচয়

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।