অভিশপ্ত গ্রামের গল্প( পর্ব ১)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। অভিশপ্ত গ্রামের গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরও একটা গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে এক অভিশপ্ত গ্রামের গল্প শেয়ার করব। একটা গ্রাম খুবই হাসিখুশি খুবই সুন্দর একটি গ্রাম ছিল। আশেপাশের প্রতিবেশীরা খুবই সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতো। একটা একটা সুষ্ঠ সমাজে মানুষ যেভাবে বসবাস করে সেই গ্রামের মানুষ যেন ঠিক সেভাবেই বসবাস করছিল। আর গ্রামের মধ্যে কখনো কারো বিপদ আপদ হলে সে গ্রামে একটা মেয়ে আছে অনাথ ওই মেয়েটার কোন মা বাবা নেই সেই মেয়েটা সবার উপকার করে। গ্রামের মানুষের সব সময় সুখে-দুখে, বিপদে-আপদে মেয়েটা পাশে থাকে এবং সবটুকু দিয়েই উপকার করার চেষ্টা করে এবং মেয়েটাকে সবাই খুবই ভালোবাসে।
আর মেয়েটার মধ্যে খুবই অন্যরকম কিছু শক্তি ছিল। যার কারণে মেয়েটা মাঝে মাঝে কিছু অসম্ভব কাজ সম্ভব করে ফেলতো। এ কারণে গ্রামের প্রত্যেকটা মানুষ মেয়েটার সম্বন্ধে খুবই ভালো ধারণা রাখে এবং মেয়েটাকে খুবই আদর স্নেহ করে এবং মেয়েটার প্রত্যেকটা কথাই শুনে। একদিন একটা মেয়ে পুকুরে বান্ধবীদের সাথে খেলছে সে সাঁতার কাটতে কাটতে পুকুরের মাঝখানে চলে যায় সেখানে ডুবে যায় পুকুরের পানির মধ্যে। এরপর মেয়েটার মা-বাবা তাকে পুকুরের পানি থেকে তুলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কোন কিছুই সফল না হওয়ায় ডুবে যাওয়া মেয়েটির মা বাবা ওই ভালো মেয়েটির কাছে নিয়ে যায়। ওই ভালো মেয়েটি যখন মাথায় হাত রাখে তখন ওই পানিতে ডুবে যাওয়া মেয়েটি আবার জেগে ওঠে।
এরপর থেকে ওই ভালো মেয়েটির প্রতি গ্রামের মানুষের আরো বেশি শ্রদ্ধা ভালোবাসা বেড়ে যায়। সবাই মেয়েটি বলতে অজ্ঞান এক কথায়। যখনই কোন বাইরের মানুষ আসে বা কেউ স্বজনের কাছে এই মেয়েটির খুবই প্রশংসা করে এবং গ্রামবাসী অনাথ মেয়েটিকে আগলে রাখে। এভাবেই খুবই সুখে শান্তিতে গ্রামের মানুষের জীবন যাপন চলতে থাকে। এরপর ওই গ্রামে একটা একটা সাধু আসে। ওই সাধু বাবা যখন একটা গাছ তলায় বসে তখন গ্রামবাসী ও সাধু বাবার কাছে যায়। তখন ওই সাধু বাবা বলে গ্রামের মানুষদের কে তোমাদের কার কি সমস্যা আছে সেটা আমাকে বলতে পারো আমি তোমাদের সমস্যার সমাধান দিব।
এরপর গ্রামবাসীরা সাধুবাবা কে বলে আমাদের কোন ধরনের সমস্যা নেই। তাছাড়া আমাদের কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদের গ্রামের ওই অনাথ ভালো মেয়েটি আমাদেরকে সাহায্য করে। সেজন্য আমাদের সাহায্যের জন্য কারো কাছে যেতে হয় না ওই অনাথ বাচ্চা মেয়েটি আমাদেরকে অনেক বেশি সাহায্য করে যেটা সাধারণ মানুষও পারে না। এই সাধু বাবা গ্রামের মানুষদের মুখ থেকে ওই অনাথ বাচ্চাটির এত প্রশংসা শুনে তার মধ্যে হিংসা কাজ করতে লাগলো। জানেনই তো আমাদের বর্তমান সমাজে মানুষদের একই অবস্থা কেউ কারো প্রশংসা শুনলে সেটা ভালোভাবে নিতে পারেনা হিংসা মনের মধ্যে নিয়ে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এই গল্পের মধ্যেও ঠিক এমনটাই হয়েছে।
যাইহোক এই সাধু মনে হিংসা চলে আসে ওই মেয়েটিকে সাধু হিংসা করতে থাকে এবং মনে মনে ভাবতে থাকে যে এই মেয়েটা যেহেতু গ্রামবাসীর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করছে। তাহলে আর কেউ গ্রামবাসী আমার কাছে আসবে না আমার কাছে। না আসলে আমি গ্রামবাসীর কাছে মহান ব্যক্তি কিভাবে হব তার সমস্যা সমাধান ওই মেয়েটাই করে দিচ্ছে।আর সমস্যা সমাধান যদি ওই মেয়েটা করে দেয় সমস্যা সমাধানের জন্য যদি গ্রামবাসীকে ওই সাধুর কাছে না আসতে হয় তাহলে তো ওই সাধু সাধারণ মানুষগুলো চোখে মহান শ্রদ্ধাবান ব্যক্তি হতে পারবে না। এগুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ওই সাধু মেয়েটিকে গ্রাম থেকে সরিয়ে দেওয়ার এবং মেয়েটিকে গ্রামের মধ্যে বদনাম করার ষড়যন্ত্র করে।
ওই সাধু ব্যক্তি মেয়েটিকে গ্রামের মানুষদের চোখে খারাপ করার জন্য এবং সাধু ব্যক্তি মহান হওয়ার জন্য কিছু ষড়যন্ত্র করে। আর সেই ষড়যন্ত্র গুলো অনুসারে কাজ করতেই একদিন গভীর রাতে সে গ্রামের মধ্যে আসে এবং মেয়েটি সব খোঁজ খবর নেয়। গভীর রাতে ওই সাধুবাবা মেয়েটির ঘরের পাশে জানলা থেকে লুকিয়ে দেখে মেয়েটি কি করছিল আর মেয়েটি ছিল অনাথ তার ঘরে পরিবারে কেউ ছিলনা মেয়েটি একা থাকতো। সাধু গিয়ে দেখতে পায় মেয়েটি আসলে কোন সাধারণ মেয়ে নয়, মেয়েটি ছিল একটা পরী। সে পরী রূপে মানুষের মধ্যে বসবাস করে মানুষের উপকার করছিল। আর এই বিষয়টা সাধুবাবা জেনে যায় এই বিষয়টা সাধুবাবা জেনেও ওই মেয়েটার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে গ্রামের মানুষের কাছে খারাপ করার জন্য। এর পরের দিন রাতের বেলা আবার সাধুবাবা একই সময় মেয়েটির ঘরের পাশে লুকিয়ে লুকিয়ে আসে এবং মেয়েটির পানির মধ্যে ঘুমের ওষুধ রেখে দেয়। সে ঘুমের ওষুধ খেয়ে মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়ে এই সুযোগে সাধু বাবা......(চলবে)
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Farjana47240232/status/1671910502820384768?t=QUa_K3yiMgYFmf3hiuS2WQ&s=19
আপু আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আসলে এমন অনেক অসাধু ভন্ড থাকে যা লোকজনকে শুধু ক্ষতি করে।তবে মেয়েটা এই সাধুর পাশে দাঁড়িয়ে লোকজনকে সতর্ক করে দেবে বলে সাধু মেয়েটার পিঁছনে লেগে গেল। আর মেয়েটা যে সাধারণ মেয়ে নয় সেটাই সাধু জেনে গেল। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনি আমার গল্পটি পড়েছেন খুবই ভালো লাগলো। আর গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হয়েছি। আপু ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।