একজন চরিত্রহীন শিক্ষকের গল্প।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। একজন চরিত্রহীন শিক্ষকের গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আরো একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে গল্প শেয়ার করার আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবে চরিত্রহীন শিক্ষকের গল্প। একটা মেয়ে সে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে মা বাবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে। এরপর মেয়েটি সংসার করতে লাগলো এদিকে তার মা বাবা সেই বিয়েটি মেনে নেয়নি। কিছুদিন গেল তারপর তার মা-বাবা সেই বিয়েটি মেনে নিয়েছে তারপর ও মন থেকে মেনে নেয় নি। যাইহোক মেয়েটি এভাবে সংসার করতে লাগলো।
কিছুদিন সংসার করার পর সে আস্তে আস্তে দেখতে পারলো যেই ছেলেটিকে সেই মেয়েটি তাদের মা বাবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেছে পালিয়ে সেই ছেলেটি খুবই খারাপ আচরণ করছে। ঠিকভাবে কথা বলত না তার আচার ব্যবহার ঠিক ছিল না খুবই খারাপ রূপ দেখাতে লাগলো আস্তে আস্তে মেয়েটিকে। ছেলেটির খারাপ আচরণ এমন পর্যায়ে যেতে লাগলো যে মেয়েটি আর সহ্য করার মতো ছিল না। তার পরিবারকে বলতেও পারছিল না যে মেয়েটিকে এখান থেকে নিয়ে যেতে কারণ সে পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েই বিয়েটা করেছিল। তার পরিবার নিষেধ করেছিল বিয়েটা করতে তারপরও বিয়ে করে এখন সে কষ্ট পাচ্ছে।
ছেলেটি এমন আচরণ করতে লাগলো যে এটা মেয়েটি সহ্য করতে পারল না। তারপর বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছে। অনেকদিন থেকেছে তারপরে ছেলেটি বলল না যে মেয়েটিকে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসছে। যার কারণে মেয়েটি ও আর যায়নি ছেলেটির খারাপ আচরণের কথা ভেবে। এরপর মেয়েটি পড়ালেখা শুরু করতে লাগলো। যোগাযোগ করলো ভর্তি হবার জন্য একজন স্যারের সাথে। ভর্তি হওয়ার কাজগুলো করতে একজন স্যারের সাথে যোগাযোগ করল। সে স্যারকে যখন মেয়েটির এই ঘটনাটি জানতে পারে তখন ওই স্যার মেয়েটিকে বাজে ইঙ্গিত করত। খারাপ ধরনের কথাবার্তা এবং বিভিন্ন ধরনের ইশারা করত। এই গুলো মেয়েটির একদমই পছন্দ হতো না তারপরও শিক্ষক মানুষ কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য মেয়েটি সাথে যোগাযোগ করত।
এরপর একদিন কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য মেয়েটি শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে। শিক্ষক বারোটা পর্যন্ত ক্লাস করা তো এরপরে শিক্ষকের কোন ক্লাস ছিল না মেয়েটি বিষয়টি জানতো কিন্তু শিক্ষকটি বলছিল ১২ টার পর ক্লাসে যেতে। মেয়েটি বুঝতে পারে যে শিক্ষক তার সাথে হয়তো খারাপ কিছু করতে পারে। তখন শিক্ষক মেয়েটিকে বলছে মেয়েটি যেন শিক্ষকের সাথে সম্পর্কে যা এবং মেয়েটিকে শিক্ষক খুব ভালো রাখবে কোন আলাদা বাসায় রাখবে। এই সব বলছিল তখন মেয়েটি ভর্তি না হয়েই বাড়ি চলে আসলো এসব শুনে। শিক্ষককে এড়িয়ে চলার জন্য মেয়েটি বলল কলেজে ভর্তি হবে না। এরপর মেয়েটি ওই কলেজে ভর্তি না হয় অন্য কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করল।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
মেয়েটি অন্য কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করেছে যেনো ভালো লাগলো। নয়তো শিক্ষক খারাপ কিছু করতো। আসলে আমাদের সমাজে যে কত ধরনের মানুষ রয়েছেন তা বলা মুশকিল। শিক্ষা মূলক একটি পোস্ট করেছেন। এসব লোকদের থেকে দুরা থাকা উচিৎ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/Farjana47240232/status/1659572288231182337?t=cDK5cP6cyzyxYzT745rgdQ&s=19
মেয়েটি ওই কলেজে ভর্তি না হয়ে একদম ভালো কাজ করেছে। তা না হলে শিক্ষক যেকোনো সময় তার সাথে খুব খারাপ কিছু করতে পারত। আসলে আমার কাছে মনে হয় পৃথিবীতে মানুষ চেনাই বড় কঠিন। এরকম চরিত্রহীন মানুষদের থেকে দূরে থাকাই অনেক ভালো।খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি। পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। সত্যি বলেছেন বর্তমান সমাজের সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে মানুষ চেনা।
শিক্ষকদের থেকে সমাজে আলো চড়ায়। কিন্তু শিক্ষকদের চরিত্রে যদি সমস্যা থাকে তাহলে এটি অনেক বেশি ক্ষতিকর একটি সমাজের জন্য। অনেক শিক্ষামূলক একটি পোস্ট করেছেন আমাদের মাঝে।
সমাজে শিক্ষার আলো ছড়ানোর মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষক। এইজন্য প্রত্যেকটি শিক্ষককে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষকদের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও সচেতন হতে হবে।
শিক্ষক হচ্ছে গুরুজন, আর সেই গুরুজন যদি শিক্ষার্থীর ওপরে কুদৃষ্টি ফেলে তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারে না। মেয়েটি ওই কলেজে ভর্তি না হয়ে, অন্য কলেজে ভর্তি হয়ে খুবই ভালো কাজ করেছে। যাই হোক আপু, একজন চরিত্রহীন শিক্ষকের গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মেয়েটি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। অনেক মেয়ে হলে তো ভয় পেয়ে বা ভর্তি হওয়ার জন্য স্যারের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়াতো কিন্তু মেয়েটি তা করেনি। সে স্যার কে এড়িয়ে অন্য কলেজে গিয়ে ভর্তি হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
আজ সমাজটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে যেখানে একজন শিক্ষক পিতা-মাতার সমতুল্য সে তার সন্তান সমতুল্য ছাত্রীদের নিয়ে কুচিন্তা করে থাকে। হয়তো মেয়েটা আজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারতো তবে তার পূর্বে যে জ্ঞান করে অন্যত্র চলে গেছে এতেই নিজেকে সেভ করতে পেরেছে। আর এমন ঘটনা আজ আমাদের দেশে অনেক স্থানে ঘটছে এবং অনেক মেয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ও স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে এভাবে।