ঈদে আজম অনুষ্ঠানে প্রথম বার যাওয়ার অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। ঈদে আজম অনুষ্ঠানে প্রথম বার যাওয়ার অভিজ্ঞতা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

InShot_20231006_203904963.jpg

একটা নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আমার আজকের পোস্টটি হল ঈদে আজমে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম প্রথমবার গিয়েছিলাম। এর আগে কখনো আমি এ ধরনের অনুষ্ঠানে যাইনি। এই প্রথমবার গেলাম গিয়ে খুবই ভালো লেগেছিল। সেই দিনটা আমি কিভাবে কাটিয়েছি সে মুহূর্তগুলো আমি কিভাবে কাটিয়েছে সেই সবই আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। সকাল বেলা বেরিয়ে আমরা সেখানে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পথে আশেপাশের কিছু জিনিস দেখে এত ভাল লাগল যেটার আগে কখনোই আমার দেখা হয়নি। এরপর গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখি অনেক মানুষ একসাথে যেটা দেখে মনের মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতি জেগে উঠলো।

IMG-20231006-WA0008.jpg

সে অনুষ্ঠানে গিয়ে বসলাম মহিলাদের এবং পুরুষদের আলাদা আলাদা বসার জায়গা ছিল। মহিলাদের জায়গায় গিয়ে বসলাম। গিয়েই সেখানে জানতে পারলাম আমার শাশুড়ি মা এসেছিল। আমার শাশুড়ি মা সাথে গিয়ে দেখা করলাম। তারপর একটা সিটে বসে পড়লাম অনেক গরম ছিল কিন্তু সেই গরম যেন এই ভালো লাগার অনুভূতির কাছে কিছুই না। খুবই ভালো লেগেছিল সেখানে একজন মহান ব্যক্তি এসেছিল। প্রথমবার তাকে দেখলাম তাকে দেখার অনুভূতিটা অন্যরকম ছিল। তারপর কিছুটা সময় তাদের মূল্যবান কথাগুলো শুনলাম যেগুলো সত্যিই অনেক মূল্যবান লেগেছিল। আশেপাশে অনেক মানুষ ছিল যারা হয় সেখানে অনুষ্ঠানে যাওয়া মানুষদের খেয়াল রাখছিল ।তাদের ব্যবহারও খুবই ভালো ছিল। অনুষ্ঠানকে ঘিরে আশেপাশে অনেক খাবারের দোকানও ছিল সেখান থেকে আমড়া মাখা খেয়েছিলাম সেটা খেতে ভালো লেগেছিল।

IMG-20231006-WA0007.jpg

LMC_20230928_131403_🌈Color boost by Riyan  (1).jpg

অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা আশেপাশে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম তারপর। একটা ভাইয়া ভাইয়া ছিল। তিনি আসলে খুবই ভালো মনের একজন মানুষ। বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভালো মনের মানুষ আসলে পাওয়া যায়না বললেই চলে। অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে দুপুর হয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি বলছিল খাওয়া দাওয়া করেছি। তাছাড়া ভাবী বলছিল আমি বাড়িতে রান্না করে আসেনি। বাজার থেকে না খেয়ে যাব । বাড়িতে গিয়ে যদি রান্না করতে হয় তাহলে তোমার খবর আছে। এসব শুনে আরো হাসাহাসি করছিলাম। এরপর আমরা ভাবলাম আমরা চলে যাব বাড়িতে। বাড়িতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করব কিন্তু ভাই আর ভাবি আর বাড়িতে আসতে দেয় নাই। বলল তাদের সাথে খেতে যেতে তারা অনেক জোর করে রীতিমতো সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। পাশে একটা খুব ভালো রেস্টুরেন্ট ছিল নাম বাঙালিয়ানা। সেখানে নাকি অনেক ভালো খাবার পাওয়া যায় সেজন্য আমরা সেখানে চলে গেলাম দুপুরের খাবার খেতে।

LMC_20230928_131546_🌈Color boost by Riyan  (1).jpg

LMC_20230928_131754_🌈Color boost by Riyan  (1).jpg

সেখানে গিয়েই আমরা জানতে পারলাম এখানে অনেক ধরনের ভর্তা পাওয়া যায়। একটা প্যাকেজ রয়েছে সেখানে দশ রকমের ভর্তা পাওয়া যায়। ভর্তা প্রেমি মানুষ আমরা ভাত দিয়ে ভর্তা দিয়ে খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। তাছাড়া সে যেখানে যারা ছিল সবাই অনেক বেশি ভর্তা পছন্দ করে সেজন্য আমরা ভাবলাম ভর্তার প্যাকেজটাই নিব। সেজন্য আমরা দশ রকমের ভর্তার প্যাকেজ টা নিয়ে নিলাম। সেখানে ভাত ছিল ভর্তা ছিল দশ রকমের,ডাল ছিল সাথে আমরা চিংড়ি মাছ নিয়ে নিলাম খাওয়ার জন্য। ভর্তাগুলো একসাথে এক প্লেটে যাওয়া দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল। খুবই সুন্দর পরিবেশন ছিল তাছাড়া তাদের রেস্টুরেন্টটা অনেক সুন্দর আর পরিষ্কার ছিল দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর ভর্তা গুলো খেতেও এত বেশি সুস্বাদু ছিল। ভাত দিয়ে এত রকমের ভর্তা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে একটা জিনিসের অনেক ধরনের উনিক রেসিপি দেখলে সেটা খাওয়ার ইচ্ছা আরো দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাছাড়া রেস্টুরেন্টে ভাতের পাশাপাশি খুব ভালো মানের কাচ্চি পাওয়া যায়। তো চিন্তা করলাম এবার যেহেতু ভর্তা খেলাম আর পরবর্তীতে কখনো যাওয়া হলে কাচ্চি টেস্ট করবো। তাদের রেস্টুরেন্টের কাচ্চি অনেক ফেমাস শুনেছিলাম।

LMC_20230928_141505_🌈Color boost by Riyan  (1).jpg

LMC_20230928_140946_🌈Color boost by Riyan  (1).jpg

এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে এসে একটা মিষ্টির দোকানে গেলাম। খাওয়া-দাওয়া করার পর মিষ্টি কিছু না খেলেই যেন হয় না। সেজন্য একটা মিষ্টি দোকানে গেলাম একটা মিষ্টি খেলাম। তাছাড়া লাচ্ছি খেতে খুবই ভালো লাগে সেজন্য সবাই মিলে লাচ্ছি খেলাম। খাওয়া-দাওয়া করে আমরা গাড়িতে করে বাড়ি চলে এলাম। সবকিছু মিলিয়ে দিনটা খুবই ভালো কেটেছে। তাছাড়া প্রথম একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছি প্রথমবার যেটা অনুভূতিটা সত্যি অন্যরকম ছিল। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভাল লাগবে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফস্টাইল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Sort:  
 10 months ago 

বেশ দারুণ একটি মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার শাশুড়ি আম্মার সাথে ওখানে দেখা হল পাশাপাশি নতুন একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া দারুন মুহূর্ত অতিবাহিত করলেন পাশাপাশি আরো মিষ্টির দোকানে এসে মিষ্টি খাওয়া। বিস্তারিত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আর এই থেকে অনেক কিছু ধারণা অর্জন করলাম।

 10 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া নতুন একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করা এবং মিষ্টি খাওয়া সবকিছু বেশ ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59508.12
ETH 2603.38
USDT 1.00
SBD 2.39