রহস্যময়ী হাড়ির গল্প (শেষ পর্ব )
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। রহস্যময়ী হাড়ির গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
এরপর ঘরের কাজ কাজকর্ম শেষ হলো। তারা বাসা ভাড়া থেকে এসে নিজের বাড়িতে উঠলো। প্রথম দিন ওঠার পর সকালবেলা তারা খুবই খুশি ঘর করল নিজের এত বছর পর নিজেদের ঘর হয়েছে গৃহ প্রবেশ হয়েছে সবকিছুই হলো তারা অনেক বেশি খুশি। এরপর সারাদিন নতুন ঘরের মধ্যে খুবই আনন্দে কাটিয়েছেন। সারাদিন আনন্দে কাটানোর পর রাতে তারা খুবই খুশি মনে ঘুমোতে গেল। তারা তাদের ঘর নিয়ে কথা বলতে বলতে একটা সময় ঘুমিয়ে গেল। ঘুমানোর কিছুক্ষণ পরে ই লোকটির বউ এর হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। তখন সে বসে উঠে বসে পড়ল। তার ঘুম ভেঙে গেছে দেখে লোকটিকে উঠে পড়ল।
এরপর দুই জনে আবার ঘুমানোর প্রস্তুতি নিবে এ সময় তাদের রান্নাঘর থেকে কিসের যেন আওয়াজ হলো। লোকটির বউ খুবই ভয় পাচ্ছিল বলছিল আমার কেমন যেন লাগছে নতুন ঘরে থাকতে। আবার মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেল আবার কিসের আওয়াজ হচ্ছে এই ধরনের কথাবার্তা বলতে লাগলো। ওই লোকটি সান্ত্বনা দিয়ে বললো গিয়ে দেখো বিড়াল হয়তো রান্না ঘরে খাওয়ার পেয়ে এরকম করছে। লোকটি বউকে বলল তুমি গিয়ে দেখো রান্না ঘরে হয়তো বিড়াল আছে তখন লোকটির বউ ভয়ে রান্না করে গেল। লোকটি শুয়ে ছিল কিন্তু সে ঘুম হয়নি সে তার বউয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। রান্না ঘরে বিড়াল নাকি আওয়াজ করেছে সেটা দেখতে গিয়েছে এখনো আসছে না কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর লোকটি উঠে বসে পড়ল।
তখন তার বউ রান্না ঘরে দেখতে যাওয়ার কথা ঠিক করল। এরপর সে আস্তে আস্তে ভয়ে ভয়ে রান্না ঘরের দিকে গেল। লোকটির কাছেও কেমন লাগছিল রান্না ঘরে গিয়ে দেখে তার বউ মাটিতে বসে আছে খুবই এলোমেলো চুল নিয়ে। তখন লোকটি তার বন্ধুর সাথে কথা বলতে লাগলো কেন সে রান্না ঘরে বসে আছে এতক্ষন হয়ে গেছে কেন ঘুমোতে যাইনি। তখন লোকটির অদ্ভুত গলায় কথা বলতে লাগলো চোখদুটো লাল লাল হয়ে এসেছে আর বলছে লোকটিকে মেরে ফেলবে। তখন লোকটি বুঝতে পারল তার বউকে ভূতে ধরেছে। বউকে ভুতে ধরার কারণে লোকটিকে মারার জন্য এগিয়ে আসছে সেজন্য মাঝরাতে লোকটি দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
লোকটি সকালে একটা সাধুর কাছে যায় সেখানে গিয়ে সব কথাবার্তা খুলে বলে। সকাল বেলা লোকটি সাধুকে নিয়ে তার নতুন বাড়িতে আসে আর এসে দেখে তার বউ মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। লোকটি তার বউকে ধরতে খুব ভয় পাচ্ছিল তখন সাধু গিয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে লোকের বউকে ঠিক করল। তখন সেই লোকের বউয়ের শরীরে ভূত ছিল না সাধু বাবা বুঝতে পারে। সে বুঝতে পারে শুধু রাতের বেলায় এসে সেই লোকটির বুকে ভূতে ধরে সেজন্য সাধু বাবা ঠিক করল রাতে তাদের এখানে থাকবে। আর এসব কিছু শুনে ভূত বুঝতে পেরে যায় যে আজকে রাতে তাকে এই সাধুবাবা তারা কিছু করা হবে। সেজন্য সাথে সাথেই ভূত ওই লোকটির বউয়ের শরীরে আবার ঢুকে পড়ে ওই সাধুর সাথে কথা বলতে থাকে। এরপর সাধুবাবা বলে আমরা তোমাদের কোন ক্ষতি করবো না তুমি কি চাও সেটা বল। তখন লোকটি বলে আমাকে মেরে হাড়িতে রেখে দেওয়া হয়েছিল আমার মৃত্যুর শেষ কাজটুকু করা হয়নি। আমার দলের লোকজন আমাকে মেরে ফেলেছে।
এরপর সাধু বাবা বলে তোমার মৃত্যু শেষ কাজ করলে তুমি কি এই বউটাকে ছেড়ে দিবে। তখন ভূত বলে ঠিক আছে আমি ছেড়ে দেব।তখন সাধু ঐ লোকটাকে বলে তুমি যদি তোমার বউয়ের শরীর থেকে আত্মা বের করতে চাও তাহলে তোমাকে কিছু কাজ করতে হবে। এবার বিভিন্ন ধরনের কাজ দেওয়া হয় লোকটি সেই ভাবে কাজকর্ম গুলো করে। এরপর ভূত লোকের বউকে ছেড়ে দেয়। ভূত ও তার পথে চলেছে কখনো এই লোকটি আর তার বউকে আর কোনরকম বিরক্ত না করে। এখানে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Farjana47240232/status/1679492345333702656?t=D18L2Uk6pU_FdsQ6ymMZTg&s=19