আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা- ২২| আমার জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি
- ১৪ ই ভাদ্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- ২৯শে আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
- ১লা সফর, ১৪৪৪ হিজরি
- সোমবার
- শরৎকাল
আমার বাংলা ব্লগের সকল কলা-কুশলী ও ব্লগারদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে আমার জীবনের প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ হাতে হাতে যেভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে একটা সময় এমনটা ছিল না। দুই যুগ আগেও মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য চিঠির ব্যবহার করত যা ছিল অনেকটা জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। মোবাইল ফোনের ব্যবহার সহজলভ্য হওয়ার পর যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে অর্থাৎ মুহূর্তের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ততে থাকা মানুষ অন্য প্রান্তের মানুষের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারে। আমরা ছোট বেলায় প্রযুক্তি বলতে শুধুমাত্র টেলিভিশন, রেডিও এবং ফ্যাক্স ইত্যাদি দেখেছি। তখনকার দিনের কথা মনে পড়তে চিন্তা করি মানুষ কত কষ্ট করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করেছে। যা এখনকার জেনারেশন এর কল্পনায় আসবে না। যাই হোক আমার জীবনে প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার অনুভূতি ছিল অন্যরকম, কারণ আমরা যারা ছোট বেলায় চিঠি দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখেছি এবং এখন মোবাইল তাদের অনুভূতি একটু আলাদা হওয়ারই কথা।
যাই হোক ২০০০ সালের আগে মোবাইল ফোন এতটা সহজলভ্য ছিল না এখনকার মতো। আমাদের গ্রামের স্থানীয় বাজারে সর্বপ্রথম একজন ব্যবসায়ী মোবাইল ফোন কলের ব্যবসা ব্যবসা শুরু করে সম্ভবত ফোনটির মডেল নাম্বার ছিল নকিয়া-৫১৬৫। তখন ইনকামিং এবং আউটগোয়িং কোলের উপর কাস্টমার এর কাছ থেকে টাকা নেয়া হতো। ফোনের নেটওয়ার্ক খুব সহজে পাওয়া যেত না। আমি দেখেছি ব্যবসায়ীরা দোকানের পাশে অনেক উঁচু বাঁশের মাথায় এন্টিনা লাগিয়ে ক্যাবলের সাহায্যে নেটওয়ার্ক পাওয়ার চেষ্টা করত। অনেক সময় নেটওয়ার্ক থাকতো আবার অনেক সময় নেটওয়ার্ক থাকত না। গ্রামের মানুষেরা দেশের অন্যান্য প্রান্তে এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওই ফোনের নাম্বারটি পত্র-যোগে দিত।
গ্রামের বাইরে থাকা আত্মীয়রা নাম্বার পেয়ে দোকানিকে ফোন দিত এবং নির্দিষ্ট একটা সময় বলতো যে সময় সে তার গ্রামে থাকা আত্মীয়র সাথে কথা বলবে। আর দোকানের মালিক তার কর্মচারীকে নির্দেশ দিতেন সংবাদটা পৌঁছে দেয়ার জন্য। সংবাদ পাওয়ার পর ফোনে কথা বলার জন্য লোকজন সময়মত দোকানে উপস্থিত হয়ে কথা বলত। অনেক লোকজন দোকানের সামনে ভিড় করত কিভাবে কথা বলে এটা দেখার জন্য। তার মধ্যে আমিও ছিলাম আর মনে মনে ভাবতাম আমিও যদি এভাবে ফোনে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু কখনো ভাবি নি এই ফোন একসময় প্রত্যেকের হাতে হাতে থাকবে।
যাইহোক এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর আমার পরিচিত এক চাচা সৌদি থেকে চাচির জন্য প্রথম একটি বাটন ফোন পাঠিয়েছিল যেটা ছিল নোকিয়া ৩৩১০ মডেল। যা দেখার জন্য তখন মহল্লার সব মানুষ এক জায়গায় হয়েছিল। তখনকার দিনে কেউ ফোনে কথা বললে পাশ থেকে অনেকে দাঁড়িয়ে দেখত। আস্তে আস্তে পরিচিত-জন বিশেষ করে যাদের আত্মীয় বিদেশে অবস্থান করেছিল তারা প্রায় সবাই বাটন ফোন ব্যবহার করতে শুরু করল। আমার বেশ মনে পড়ে আমার চাচাত ভাইয়েরা যাদের বাবা বিদেশ ছিল তারা সবাই ফোন ব্যবহার করত সাপের গেম খেলার জন্য, আমি পাশ থেকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম সেগুলো। আর মনে মনে ভাবতাম আমার যদি একটি ফোন থাকতো আমি সারাদিন গেম খেলতাম।
আমার ফ্যামিলির মধ্যে আমি সর্বপ্রথম আমাদের গ্রামের বাইরে অর্থাৎ পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ঢাকা শহরে আসি । তখনও আমার কাছে মোবাইল ফোন ছিলনা এবং আমাদের বাড়িতেও না। আমি যখন বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হতাম তখন আমার মা আসার সময় বলতো ঢাকায় পৌঁছে বাবা একটা ফোন দিও আমি চিন্তায় থাকব । আমার পাশের বাড়ির হীরার আম্মুর ফোন নাম্বার দিয়ে দিত খবর জানানোর জন্য। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা পৌঁছে আমি ফোন দিতাম হীরার আম্মুর নাম্বারে বলতাম মাকে বলে দিতে আমি ঠিকমত পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু মায়ের সাথে কথা বলতে পারতাম না কারণ তখন কল রেট একটু বেশি ছিল। একটি ঘটনার কথা মনে পড়লে আজও খুব কষ্ট লাগে, আমি তখন ঢাকায় পড়াশোনা করি কোন একদিন বাড়ি থেকে ঢাকা পৌঁছাতে একটু বেশি রাত হয়ে যায়। ঢাকা আসার পথে মায়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনা কারণ আমার নিজের কাছে মোবাইল ছিল না আর বাড়িতেও না। আমার ফোন না পেয়ে মা খুব টেনশন করছিল এবং পাশের বাড়িতে কয়েকবার খবর নেয়ার চেষ্টা করেছিল, আমি ফোন করেছিলাম কিনা কিন্তু কয়েকবার যাওয়ার পরে ওনারা খুব বিরক্ত বোধ করে বলে এতবার আসার কি আছে একটা ফোন কিনে নিলেই তো হয়। কথা শুনে মা খুব কষ্ট পেয়েছিল, আমাকে অবশ্য তখন বলেনি পরে বলেছিল। বাবা জানতে পেরে পরেরদিনই থানা শহরে গিয়ে নোকিয়া-১১১০ মডেলের একটি ফোন কিনে নিয়ে আসে। যেটা পেয়ে মা খুব খুশি হয়েছিল। আমি যে কোন সময় মার সাথে সরাসরি কথা বলতে পারব বলে আমিও খুব খুশি হয়েছিলাম। ফোনটা দেখার জন্য অনেক আগ্রহ ছিল কিন্তু তখন তো আর ভিডিও কলে কথা বলা যেত না সরাসরি গিয়ে দেখতে হতো।
২০০৮ সালের দিকে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আমি ঢাকায় আমার সেজ আন্টির বাসায় ছিলাম। আন্টি আমাকে খুব আদর করতেন এবং পড়াশোনার ব্যাপারে খুব উৎসাহ দিতেন । হঠাৎ আন্টি আমাকে একদিন বললেন তোমার একটা ফোন দরকার এবং উনি আমাকে দুই হাজার টাকা দিয়ে বললেন এর মধ্যে একটা ফোন কিনে নিও। আরো বললেন মোবাইল ফোন তোমার খুব দরকার, বাড়ির সাথে যোগাযোগ করার জন্য এবং কলেজে যাওয়া আসার মাঝে আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য। আন্টির কাছ থেকে মোবাইল ফোনের জন্য টাকা পাওয়ার পর আমার তো আর আনন্দের সীমা নাই। এখানে একটু বলে রাখা ভালো আমার আন্টি আমাকে খুব আদর করতেন এবং তার হাত ধরে ঢাকা শহরে এসে পড়াশোনা করা। প্রথম দিকে উনি আমার পড়াশোনার খরচ পর্যন্ত চালিয়ে নিতেন। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের এবং কষ্টের বিষয় হল যে, ২০২০ সালে উনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে আমাদের সবাইকে ছেড়ে পরকালে চলে গিয়েছেন। যে ব্যথা আমি কখনো ভুলতে পারবো না। আন্টির কাছ থেকে টাকা পাওয়ার পর আমি ফোন কেনার জন্য খুঁজতে থাকি কোনটা আমার জন্য ভালো হবে কিন্তু তখন ভালো ব্রান্ডের নতুন ফোনের দাম একটু বেশি ছিল। আমার বাজেটের মধ্যে হচ্ছিল না যার কারণে মনটা বেশ খারাপ হয়েছিল এবং ভাবছিলাম তাহলে কি আমার ফোন ব্যবহার করা আর হবে না। আসলে ফোন সম্পর্কে তখনো ওইভাবে কিছু বুঝি না কোনটা ভালো হবে আর কোনটা মন্দ হবে।
আমার আন্টির বাসার কিছু দূরে আমাদের কলেজের এক বড় ভাই থাকতেন উনি আমার কিছুটা পরিচিত ছিল। যাইহোক উনাকে একদিন বললাম ভাইয়া আমার জন্য কোন ফোনটা ভালো হবে ২০০০ টাকার মধ্যে । আমাকে বললেন উনি যে ফোনটা ব্যবহার করছেন সেটা উনি বিক্রি করে দেবেন ২০০০ টাকা পেলে। আমি একথা শুনে খুব খুশি হয়েছিলাম কারণ উনি যে ফোনটা ব্যবহার করত সেটি ছিল নোকিয়া কালার ডিসপ্লে ফোন মডেল নাম্বার ছিল নোকিয়া ৩৩৩০। ফোনটি উনার বড় ভাই গ্রিস থেকে পাঠিয়েছে উনার ব্যবহারের জন্য। আমার মাথায় তখন একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল আমি কালার ডিসপ্লে ফোনে গেম খেলতে পারব অন্য কিছু না । আমি বললাম ভাইয়া কিছু কম রাখেন, উনি আমার পরিচিত হওয়ার কারণে আমার কাছ থেকে ২০০ টাকা কম রেখেছিল।
তারপর আন্টিকে গিয়ে দেখলাম আন্টি বলল খুব ভালো হয়েছে । ফোন নিয়ে আসার পর আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম জীবনে প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহার করব তাও আবার কালার ডিসপ্লে। আমি শুধু ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতাম এবং একবার বিছানায় আবার পড়ার টেবিলে রেখে ফোনকে বিভিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করতাম। মনের ভিতর অন্যরকম একটা ফুরফুরে ভাব কাজ করছিল। এক্সাইটমেন্ট এতটাই ছিল যে ওইদিন সারারাত ঘুমাতে পারিনি। সারারাত শুধু চিন্তা করেছিলাম ফোন নিয়ে কলেজে যাব, বন্ধুদের দেখাবো, ওদের সামনে গেম খেলব এবং বাড়িতে মায়ের সাথে কথা বলবো। পরের দিন আন্টি আমাকে একটা বাংলালিংক সিম দেয় যেটি অব্যবহৃত ছিল। সিমে 50 টাকা রি-চার্জ করে সর্বপ্রথম আমি মার সাথে কথা বলি মা ফোন কিনেছি জানতে পেরে অনেক খুশি হয়েছিল। মাঝে মাঝে ফোনের রিংটোন বাজিয়ে নিজে নিজেই শুনতাম এবং সারাদিন এফএম রেডিও শুনতাম আরো কত কি। ওই ফোনটাকে খুব যত্ন সহকারে রাখতাম কলেজে যাওয়ার সময় বাসে যখন উঠতাম তখন পকেট মারের ভয়ে ফোনের উপরে হাত রেখে বাসের সিটে বসে থাকতাম।
ফোনটি কেনার পর প্রায় দুই বছর ব্যবহার করেছিলাম তারপর একদিন হাত থেকে পড়ে গিয়ে ২ খণ্ড হয়ে গিয়েছিল যেটি মেরামতের যোগ্য ছিল না। ফোনটা যখন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তখন আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল এবং আমার চোখ দিয়ে পানি পর্যন্ত পড়েছিল। কারণ জীবনের প্রথম পাওয়া এই ফোনটির সাথে জড়িয়ে ছিল জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি যা ভুলার মত নয় এবং আজও ভুলতে পারিনা। ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগ কে এবারের প্রতিযোগিতায় আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্বাচন করার জন্য।
চেষ্টা করেছি বাস্তবতাকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য, জানিনা কতটুকু ভালো হয়েছে। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি পরবর্তী সময়ে আবার আমার নতুন কোন লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো, সে পর্যন্ত সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
প্রথম মোবাইল পাওয়ার অনূভুতি সত্যি ঘুমও দূর করে দেয় হি হি। এটা কী প্রথম মোবাইল পাওয়ার অনূভুতি না প্রথম নোকিয়া ফোন পাওয়ার অনূভুতি এর প্রতিযোগিতা বুঝতেই পারছি না। সবারই প্রায় প্রথম নোকিয়া দেখছি। আপনার প্রথম ফোন হাতে পাবার ঘটনাটা বেশ দারুণ লাগল। সত্যি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের বিপ্লব ঘটেছে।
ভাই কথা কিন্তু খারাপ বলেননি, নোকিয়া ফোন পাওয়ার অনুভূতি দিলেও খারাপ হত না কারণ আগে সবাই নোকিয়া ফোন ব্যবহার করত।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ,আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমার পোস্টে করার জন্য।
অনেক লেজেন্ডারি একটি ফোন।এটা তে সাপের পাশাপাশি স্পেস এলিয়েন একটি গেম ছিল।কত যে খেলেছি ছোট বেলায়। আর পিকচার মেসেজ নামেও একটি আপশন ছিল।আহা সেই পুরানো দিন এর কথা মনে পড়ে গেল।আপনি আপনার অনুভূতি সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
জ্বি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন এই ফোনটাতে ইনফ্রারেড নামেও একটা অপশন ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
অনেকেই প্রথম ফোন হিসেবে নোকিয়া ১১১০ মডেলের ফোনটি ব্যবহার করেছে। অনেকের মুখে শোনা যায় এই মোবাইল দিয়ে নাকি আম পেড়ে খাওয়া যায়। তার মানে এই মোবাইল খুবই মজবুদ ছিলো। আমিও প্রথম মোবাইল হিসেবে নোকিয়া ফোন ব্যবহার করেছি।
ভাইয়া কথা কিন্তু মিথ্যা না,নোকিয়া ১১১০ মডেলের ফোনটি আসলেই অনেক শক্ত ছিল।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
জীবনের প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার অনুভূতি সত্যি অনেক আনন্দের ভাইয়া। আপনার আন্টি আপনাকে ২০০০ টাকা দিয়েছিল ফোন কেনার জন্য এই কথা শুনে আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনি আন্টির বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন আপনার লেখাপড়ার বিষয়ে অনেক খোঁজখবর নিত এসব বিষয়গুলো সত্যি অনেক চমৎকার।
ভাইয়া আমার আন্টির জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন উনাকে বেহেস্ত নসিব করে। উনি আমাকে অনেক আদর করতেন।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।
যখন প্রথম আসে তখন আসলে সেটার প্রতি যেমন মায়া থাকে বেশি তেমনি ভাবে সেটা পাওয়ার অনুভূতি থাকে অন্যরকম। আপনার প্রথম মোবাইল হাতে অনুভূতি পড়লাম খুবই ভালো লাগলো। আর মোবাইলটা যখন ভেঙেছিল আর আপনি কান্না করেছিলেন এটা আসলে শুনে খুব খারাপ লাগলো। আসলে ওই যে বললাম যে প্রথম কিছুর জন্য খুব মায়া থাকে যেটা আসলে সহজে শেষ হয়না ধন্যবাদ।
আসলেই প্রথম সবকিছু পাওয়ার অনুভূতি অন্য রকমের হয়ে থাকে, যা মানুষ চিরদিন মনে রাখে ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে আপনার জীবনের প্রথম মোবাইল পাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ২০০৮ সালে প্রথম আপনার আংটি আপনাকে ২০০০ টাকা দিলে।ও দিয়ে আপনি নকিয়া সেট নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্যে।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।