প্রিয় বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা রাখি ভালো আছেন ।আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি ।সব সময় ভালো থাকেন। সুস্থ থাকেন এই আশা রাখি।
আমি ফরিদ উজ জামান। আমি বাংলাদেশী। আমার জেলা বগুড়া।
বন্ধুরা আজকে " আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে আপনাদের সাথে শেয়ার করব মহাস্থানগড়ের কিছু ছবি ও তার বর্ণনা। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মহাস্থানগড় বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত । কয়েক হাজার বছর আগের এই নগরীকে বলা হতো পুণ্ড্রনগরী ।এই জায়গাকে বলা হতো পুন্ড্রনগর ।এটি ছিল পুন্ড্রনগরীর রাজধানী। মহাস্থানগড় সম্পর্কে অনেক ঐতিহাসিক কাহিনী আছে। বর্তমানে এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নগরী বলা হয়।
মহাস্থানগড়ের লোকেশন বোর্ড এটাই ঠিক মহাস্থানগড়ের সামনে অবস্থিত।
মহাস্থানগড়ের প্রবেশের প্রধান দরজা এইটি । মহাস্থানগড়ে প্রবেশ করতে হলে এই দরজাটি প্রথমে পড়বে ।
এখানে টিকিট কাউন্টার আছে ।টিকিট কাটার মাধ্যমে এর ভিতর প্রবেশ করতে দেওয়া হয় ।টিকিটের মূল্য =২০/-(বিশ টাকা) মাত্র।
এই জায়গাটিকে জাহাজঘাটা প্রত্নস্থল বলা হয় । কথিত অনেক আগে এখানে জাহাজ বন্দর ছিল। দেশ-বিদেশের নানা জাহাজ এখানে নোঙ্গর ফেলে থাকতো।
এটি মহাস্থানগড়ের উপর ওঠার সিঁড়ির ছবি
মহাস্থানগড়ের উপরে আমি এখান থেকে নিচের দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে। সবুজ ঘেরা এই প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর লাগে।
মহাস্থান জাদুঘর এর লোকেশন বোর্ড।
এইটি মহাস্থান জাদুঘর এর প্রধান দরজা। এই জাদুঘরের প্রত্নতাত্ত্বিক অনেক নিদর্শন আছে ।এখানে প্রাচীনকালের ব্যবহারের জিনিসপত্র ।পাথরের মূর্তি ,দরজা, জানালা, প্রাচীন কালের মুদ্রা ও অনেক কিছু আছে ।এই জাদুঘরে প্রাচীনকালের অনেক নিদর্শন পাওয়া যায় ।এখানে জাদুঘর এর ভিতরে ছবি তোলা নিষেধ।
মহাস্থানগড়ের সম্পন্ন মানচিত্র । মানচিত্রে মহাস্থানগড়ের এলাকার কোথায় কি অবস্থিত তা সুন্দর করে দেখানো হয়েছে ।যাতে কোন পর্যটক এর কোথায় কি আছে তা দেখার ভুল না হয়।
বন্ধুগণ আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তীতে দেখা হবে । মহাস্থান গড়ের আরেকটি পোস্ট নিয়ে ।আমার এই পোস্ট যদি আপনাদের ভাল লাগে বা কোন কিছু জানার আগ্রহ হয়,তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ।আপনার কমেন্ট আমার আগামী পোস্ট লেখার আগ্রহ বাড়াবে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ভ্রমণ সম্পর্কে ভালো উপস্থাপন করেছেন আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মহাস্থানগড় সম্পর্কে আমি অনেকবার বইয়ে পড়ছে। আজকে আরও বিস্তারিত জানতে পারলাম আপনার মাধ্যমে।
আমি আরও বিস্তারিত নিয়ে আসবো পরবর্তী সময়ে, ধন্যবাদ।
মহা স্থানগড় ঐতিহাসিক একটি জায়গা। যদিও এখনও যাওয়া হয়নি আমার।তবে আমার যাওয়ার খুব ইচ্ছে আছে। কুষ্টিয়া থেকে বগুড়া বেশিদূর না। একদিনের সময় নির্ধারণ করলে ঘুরে আসা যায়। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
বগুড়ায় আপনাকে স্বাগতম। একদিন সময় করে আসুন। ধন্যবাদ।
🙂🙂