হীড বাংলা কতৃক সংবর্ধনা ও এককালীন বৃত্তি প্রদান কর্মসূচি (১০% লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
গত পর্শু রাত প্রায় ১১ টার ওদিক আম্মু ফোন করেছিল হঠাৎ করে।একটু ইতস্তত হয়েই ফোনটা ধরেছিলাম।আমার খোজখবর নেয়ার পর আম্মু বলেছিল,বাবা একটু বাসায় আসিস আগামীকাল।এস,এস,সি রেজাল্টের পর হীড বাংলাদেশে যে বৃত্তির আবেদন করেছিলি সেজন্য কাল সকাল ১০ টায় তোকে ডেকেছে।
গতকাল সকাল ৭ টায় ফিজিক্স প্রাইভেট পড়ে ওখান থেকেই বাসায় চলে গিয়েছিলাম।বাসায় পৌছে বেজেছিল সকাল ৯ টার মতো।সকালের খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিয়ে ১০ টার আগে সংগঠন কতৃক বলে দেওয়া স্থানে চলে গিয়েছিলাম।
ও আচ্ছা,হীড বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলি আগে।অনেকেই হয়তো চিনেন না।এটা মূলত একটি ঋণ প্রদানকারী সংস্থা।আপনার জমিজমা বা এমন কিছু স্থায়ী জিনিস যার মালিকানা আপনার আওতাধীন অথবা আপনার কিছু হলে দায়ভার নেবে এমন কাউকে স্বাক্ষী রেখে তার মালিকানাধীন কিছুর ভিত্তিতে আপনাকে তারা ঋণ প্রদান করবে।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ফ্যাসিলিটি দিয়েও তারা ঋণ প্রদান করে।যেমন, ধরুন কৃষি ঋণ নিলে আপনাকে হয়তো একরকম সুবিধা দেয়া হবে আবার কেউ গৃহনির্মাণ ঋণ নিলে তাকে একরকম।যতদূর শুনেছি তাতে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪৭ টি শাখা আছে এদের।আমার বড় ফুফু আর বাবা এর সাথে জড়িত থাকায় আমি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পেরেছিলাম।
এবার কথায় আসি।অনু্ষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে ছিলেন আমাদের স্থানীয় ইউএনও,প্রধান অতিথি উপজেলে পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওই সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে।১০ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সভাপতির আসা বিলম্ব হওয়ার জন্য শুরু হইতে হইতে প্রায় ১১ টা বেজেছিল।জাতীয় সংগীত,কোরান তেলাওয়াত আর গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়েছিল।এরপর সভাপতি আর প্রধান অতিথি হীড বাংলাদেশ এবং আমাদের জন্য কিছু কথা বলে মূল অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন।
তাদের সংস্থার সাথে জড়িত সদস্যদের ছেলে মেয়েরা যেন পড়াশুনার উৎসুক হয়,আরো আগ্রহী হয় সেজ্যই তাদের এ আয়োজন।কর্মকর্তার বলা কথা অনুযায়ী, এ বছর তাদের সব শাখা মিলে প্রায় ২৯ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০০ টাকা দেয়া হচ্ছে।জিপিএ ৪ প্রাপ্ত থেকে তারা এই বৃত্তি প্রদান শুরু করেছে।সেদিন প্রায় ৯৮ জনকে বৃত্তি ও ক্রেস্ট প্রদান করেছিলেন তারা।জিপিএ ৪ প্রাপ্তদের ৩ হাজার,৪.৫ প্রাপ্তদের ৪০০০ আর জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের ৫০০০ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করেছিলেন।৫৬ অথবা ৫৭ নাম্বার সিরিয়ালে আমার নাম এসেছিল।
নাম ডাকার পর স্টেজে গিয়ে ইউএনও-র হাত থেকে যখন ক্রেস্টটা নিচ্ছিলাম বেশ একটা ভালো লাগা কাজ করছিলো।ছবি তুলে দেয়ার মতো কেউ ছিলনা বলে মুহুর্তটুকু আমি ফ্রেমে বন্ধী করতে পারিনি।অনুষ্ঠানের শেষ অব্দিই আমি ছিলাম ওখানে।১ টার ওদিক বাসায় ফিরেছিলাম।
ব্যক্তিগতভাবে, সংস্থাগুলোর এ ধরনের কাজগুলোকে আমি সাধুবাদ জানাই।কিছু মুহুর্তে এই সহযোগিতাগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পরে তা বুঝানোর মতো না।অন্তত একটা মাসের পড়াশুনার খরচ পুরোপুরি না হোক,বেশ অনেকটাই হবে তাদের সহযোগিতায়।
Cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date. 23/05/22
ছোট ভাই এই অনূভুতি আমারও আছে। আমিও এসএসসিতে জিপিএ পাঁচ পেয়েছিলাম। এবং আমি এইরকম বেশ কয়েক জায়গা থেকে এককালীন বৃওি পেয়েছিলাম। এইরকম সংবর্ধনা পেলে বেশ ভালো লাগে।
আসলেই,অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে ভাই।
ভালোবাসা নিয়েন🌸