তাঁত,শিল্প ও বস্ত্র মেলা-২০২২(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
![IMG_20220614_151705.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPxKuHArmUYq37LUaNxi97Kika11mGzv7VBe9L3ptkMwb/IMG_20220614_151705.jpg)
গতদিন বরফগোলা নিয়ে কথা বলার সময় আমি বলেছিলাম যে,আমার বাসা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল মাঠে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তাঁত বস্ত্র এবং শিল্প মেলা হচ্ছে।যেটাকে আমরা সাধারণত বাণিজ্য মেলা বলেই জানি।বগুড়ায় না থেকে যদি আমি গোবিন্দগঞ্জ মানে আমার নিজের বাসায় থাকতাম আর সেখানে যদি এই মেলা হতো তাহলে হয়তো দিনের মধ্যে ৪/৫ বার যেতামই।কিন্তু এখানে এসে তা না হলেও দুইদিন যাওয়া পরেছিল।প্রথমদিন গিয়েছিলাম সন্ধ্যার পর আর আরেকদিন গিয়েছিলাম বিকাল ৪ টার ওদিকে।দ্বিতীয়দিন যাওয়া পরবে এটা অবশ্য আমারো জানা ছিলনা।গোবিন্দগঞ্জ থেকে এক ভাই এসেছিল ওই হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য।তো তাকে নিয়েই যখন হাসপাতালে গিয়েছিলাম তিনিই আমায় নিয়ে গিয়েছিলেন মেলায়।
যাইহোক,কথায় আসি।মানুষ হিসেবে আমি যেমন রসিক তেমন ভ্রমনপ্রিয়।মানে,সবসময় নতুন নতুন অভিজ্ঞতা পেতে আমার ভালো লাগে।মেলা শুরু হয়েছে প্রায় ১৫/১৬ দিন আগে।জেনিন,সৌমিক রাকিবকে অনেক আগে থেকেই বলছিলাম যে চলো মেলায় যাই।কিন্তু কলেজে এক্সাম চলছিল জন্য ওরা বলেছিল এক্সাম শেষ করে বাসা থেকে ঘুরে আসার পর মেলায় যাবোনি।তো তারপর এক্সামও শেষ হলো এবং আমরা সবাই বাসা থেকে ঘুরেও এসেছি এক সপ্তাহ হলো।কথা অনুযায়ী,বাসা থেকে আসার পরেরদিনই আমরা চারজন মিলে মেলায় গিয়েছিলাম।
বাসা থেকে একটা রিক্সা ভাড়া নিয়ে উপর নিচে বসে চারজন মিলে মেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।হাসপাতালের বেশ অনেকটা আগে থেকেই মেলা মেলা একটা ভাব আসছিল।আর আসারই তবে কথা,বাণিজ্য মেলা বলে কথা।
প্রায় ১০/১২ মিনিট পর আমরা মেলার মাঠে পৌছেছিলাম।তারপর ঢোকার মুখে চারজনের চারটা টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকেছিলাম।প্রতিটা টিকিটের মূল্য ছিল ২০ টাকা।আমাদের ওদিক বাণিজ্য মেলা হলে,২০ টাকা দিয়ে কেবোল টিকিটই পাওয়া যায় কিন্তু এখানে আবার দেখি যেটা টিকিট আবার সেটাই লটারি।মানে,টিকিট কেটে আপনার লস হবে তা ঠিক না ভাগ্য ভালো হলে হয়তো বাইক,সাইকেলসহ আরো অনেককিছু পেতে পারেন।
পুরো মাঠ লাল,সবুজ,হলুদ,নীল সহ নানা রঙে সজ্জিত ছিল।ভেতরে বাচ্চাদের খেলনার দোকান থেকে শুরু করে রাইস কুকার,ইনডাকশনের দোকানও ছিল।প্রবেশমুখে বাম পাশে ছিল আচারের দোকান এবং ডান পাশে ছিল শুকনো খাবারের দোকান।আকৃতির কথা বলতে গেলে বলতে হবে আয়ত আকৃতির। চতুর্দিক দিয়ে দোকান ছিল এবং এক পাশে বড় জায়গা জুড়ে ছিল নাগরদোলা,স্লিপার সহ বাচ্চাদের যাবতীয় বিনোদন ব্যবস্থা।আর এগুলোর পাশে ছিল লটারির ড্র -ঘোষনার জন্য একটি মঞ্চ আর মোটর সাইকেল খেলা দেখানোর একটি প্যান্ডেল।মোটামুটি এই ছিল মেলায়।
লোকজনের সমাগম বেশি ছিল মঞ্চের সামনেই।কারণ,ড্র হওয়ার আগে ওই মঞ্চে স্থানীয় শিল্পিরা নৃত্য সংগীত পরিবেশন করছিল।আর একটা কারণ হলো,বেশিরভাগ পিচ্চি পোলাপানরাই ছিল নাগরদোলায় আর স্লিপারে।
মেলায় খুব বেশি সময় ছিলাম না।দেখার মতো নতুন কিছুই ছিলনা।তবে নতুন না হলেও একটু আকর্ষণীয় বলতে যেটা ছিল তা হচ্ছে পানির ফোয়ারা।ওখানেও বেশ অনেক লোকই ভিড় করেছিল ছবি তোলার জন্য।
বরফগোলা খেতে খেতে ওই ১০/১২ মিনিটের মতো ছিলাম মেলায়।আর ওখান থেকে চুন্নুর চাপ খেতে গিয়েছিলাম চারজন মিলে।ইনশাল্লাহ আগামী পোস্টে সে গল্পও করবো।
ছোট একটি ভিডিও করেছি চাইলে দেখতে পারেন।
https://youtube.com/shorts/P-nMecL31JM?feature=share
ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Video background music. Bhul bhulaia-2
Date.14/06/22
এসব মেলায় গেলে আসলে খুবই ভালো লাগে। আপনি এই তাঁতশিল্প মেলায় খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আর এরকম জায়গায় বন্ধু-বান্ধবের সাথে থাকে তাহলে খুবই মজা হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভালোবাসা নিয়েন ভাই ❤️
তাঁত শিল্প ও বস্ত্র মেলায় আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনার মুহূর্তগুলো জানতে পেরে বেশ ভালই লাগতেছে। এসব মেলায় গেলে সত্যি অনেক আনন্দ হয় আরও যদি বন্ধুবান্ধব থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই।
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন 🥰
ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য 💙
তাঁত শিল্প ও বস্ত্র মেলায় অনেক চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। আসলে এই ধরনের মেলায় কখনো যাওয়া হয়নি। তবে মাঝে মাঝে বৈশাখী মেলায় যেতাম এই মেলাটির নাম শুনে একটু বেশি ইন্টারেস্টিং লাগছে। ভালোই লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো।
বাড়ির পাশে কোথাও হইলে অবশ্যই যাবেন কিন্তু।সবকিছুর অভিজ্ঞতা থাকা ভালো।
তাঁত শিল্পের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে এখনও পর্যন্ত। সেই তাঁতশিল্পের মেলায় আপনি ঘুরে ঘুরে অনেক মজা করেছেন দেখলাম, এবং খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই,তাতের দিক থেকে আমরা বেশ এগিয়ে আছি।আপনাকেও ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য 🌺🥰
মেলা শুরু হলে আমি প্রায় প্রতিদিনই মেলায় যাই। বন্ধুদের সাথে মেলায় ঘুরতে বেশ লাগে।
তাঁত ও বস্ত্র শিল্প মেলা আপনি বন্ধুদের সাথে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। সব মেলাতে প্রায় একই রকম জিনিস দেখা যায় তবুও ঘুরতে গেলে কোন বিরক্তি লাগে না।
আপনার মেলায় ঘোড়ার গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
এট কিন্তু একদম ঠিক।সব মেলায় একই জিনিস দেখা গেলেও বারবার ঘুরতে কোনো বিরক্তি আসেনা।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে,আমি অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি।ভালোবাসা নিয়েন আপু🤎💜
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে তাঁতশিল্প বস্ত্র মেলায় ঘোরাঘুরি এর কিছু মুহূর্ত এবং সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। এর আগে একজনের পোস্টে এরকম সুন্দর কিছু মুহূর্ত দেখতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তাই নাকি,হয়তো তিনিও কোনো মেলায় গিয়েছিলেন।
যাইহোক,ভালোবাসা নিয়েন💜
আপনার এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে আমি নতুন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি। যে বিষয় সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম ছিল।
জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া🥰অনুপ্রেরণা পেলাম অনেক
মেলার জন্য তো খুব সুন্দর একটি গেট দিয়েছে। মেলা প্রবেশপথ খুব চমৎকার। অনেকদিন হয়ে গেল মেলায় যাওয়া হয়না। খুব ভালো লেগেছে।
এবার আশেপাশে কোথাও মেলা হলেই চলে যাবেন কিন্তু😊
তাঁত,শিল্প ও বস্ত্র মেলার খুব চমৎকার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপনি। সত্যি মেলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো । এত অসাধারণ অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য 🥰ভালোবাসা নিয়েন🤎