ইশামের জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি (১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
গতকালের পোস্টে বলেছিলাম যে,পরেরদিন ইশামের স্কুলের ফ্রেন্ড এবং টিচারদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।তো আজ সেটুকু নিয়েই কথা বলতে যাচ্ছি।
স্বাভাবিকভাবেই জন্মদিন নিয়ে আমাদের মাঝে একটা এক্সাইটমেন্ট কাজ করেই।আর আমরা এখন যে যুগে আছি তাতে আরো বেশি কাজ করবে,এটাই স্বাভাবিক।
আমি যখন ক্লাস ৩ তে পড়ি,সেই বছর আমার জন্মদিন বেশ বড় করে সেলিব্রিট করেছিলাম।অবশ্যই সেটা আমার জেদের কারণেই,বাবা মায়ের ইচ্ছায় নয়।
তো ইশামের বার্থডেটা এবার একটু ভালো করে করার পিছনেও ওরই জেদ কাজ করেছে।
ওর বায়না মেটাতেই হঠাৎ করেই কোনো ছুটিছাটা না পেলেও আমায় বাসায় যেতে হয়েছিল।গিয়ে অবশ্য কোনো অবসান জোটেনি।ওর ওসব আয়োজনেই একটা দিন কেটে গেছে।
সকালে আম্মু ঘুম থেকে ডেকে তুলেই বাজারে পাঠিয়েছিল কিছু জিনিস আনার জন্য।ওর স্কুলে টিফিন দুপুর ১২ঃ৩০ এ।তাই হাতে বেশি সময় ছিলনা।
প্রায় সবই কেনাই ছিল।আমি শুধু বিরিয়ানি মশলা,ডিম,রাবার,শসা আর কিছু অনটাইম বক্স নেওয়ার জন্য বাজারে গিয়েছিলাম।
বাজার থেকে এসে আম্মুর হাতে ওগুলো দিয়ে আমি আবার ঘুমিয়েছিলাম।ঘন্টা দুয়েক পর ঘুম থেকে উঠে দেখি প্রায় সব রান্নাই শেষ।আর শুধু তাই না,আপু এবং আম্মু দুজন মিলে প্যাকেটও করেও ফেলেছিল।আর মাঝে তো ফুডুল বসেই ছিল বিরক্ত করার জন্য।আমি পরে শুধু বক্সগুলতে রাবার লাগিয়েছিলাম।
স্কুলে আম্মুর সাথে গিয়েছিলাম খাবার দেয়ার জন্য।তবে ওখানে গিয়ে খাবার দেয়ার মোমেন্টসের ছবি তোলাটা আমার কাছে কেনজানি খারাপ মনে হয়েছিল।তাই আর ছবি তুলেছিলাম না সেখানে।
এতোকিছুর পরেও ইশামের ইচ্ছেটা পূরণ হয়েছে এটাই অনেক।আমি আমার কথা রেখেছি,ও ওর কথা রেখেছে,আলহামদুলিল্লাহ।সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য।
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.14/08/22
ইশামের জন্মদিনে আপনি অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন ভাইয়া আপনার কথা শুনে বোঝা যাচ্ছে ।এমনিতেই আনন্দের সময় অনেক ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে ।আপনার কথাগুলো পড়ে অনেক মজা পেলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য 🖤🤎
স্কুল ফ্রেন্ড হচ্ছে আজীবন পাশে থাকে আর সেই বন্ধুর জন্মদিনে একটু মজা না করলে হয়। মজাদার সব খাবারের পাশাপাশি অনেক আনন্দ করেছেন আর সেই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম,ওই বিষয়টা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাই।
ভালোবাসা নিয়েন ভাই ❤️
ইশামের জন্মদিনে আপনি খুব ব্যস্ত থাকার পরেও অনেক আনন্দের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন। সত্যি আনন্দের মুহূর্তগুলো খাবারের মাধ্যমে প্রকাশ করিয়ে তুলেছেন। যেমন বিরানি খেয়ে অনেক আনন্দ প্রকাশ করেছেন। কথাগুলো বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অশেষ ভালোবাসা 🥰
আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে এইরকম একসাথে বন্ধুরা মিলে জন্মদিনের পার্টি করতে। আপনাদের দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভালো মুহূর্ত কেটেছে। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার কাটানো এত সুন্দর মুহূর্ত পড়ে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।পাশে থাকিয়েন ভাই এভাবেই।
ভালোবাসা নিবেন 💖
স্কুলে গিয়ে খাবারের ছবি না তুলে ভালো করেছেন। ওটা করলে শিক্ষক রা একটু ইতস্তত বোধ করতেন। আপনার ভাইয়ের জন্মদিনটা বেশ ভালোভাবে কেটেছে। ছোটদের আবদার এভাবে একটু রাখতেই হয়।
জি ভাই,ওই চিন্তাভাবনা থেকেই আমি স্কুলে গিয়ে ছবি তুলিনি।
অসীম ভালোবাসা রইলো 🤎🤍
ইশামের জন্মদিনের অনেক ব্যস্ততার মাধ্যমেও আনন্দ ভাগাভাগি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে থাকার মানে হচ্ছে আনন্দের একটি বিষয়। জন্মদিন মানুষের জীবনে বছর ঘুরে একবার আসে। এই দিনটি মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ।
আপনার সাথে সহমত।হয়তো প্রতিটা মানুষই এই দিনটার জন্য অধীর আগ্রহে থাকে।আর সেই দিনটা যেদিন আসে সেদিন অবশ্যই তার খুশির বাধ থাকেনা।
ভালোবাসা রইলো ভাই🖤
খাবারের প্যাকেট গুলো দেখে বুঝতে পেরেছি কতটা বড় ভাবে ইশামের জন্মদিন পালন করেছেন আপনারা।
জন্মদিনের মধ্যে দিয়ে আপনারা খুবই ব্যস্ত সময় পার করেছেন তা আপনার পোষ্টের লেখাগুলো দেখেই আমি বুঝতে পারছি। আসলে এই সময়গুলোতে যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন মনের মধ্যে একটা আনন্দ বিরাজ করে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই,দিনশেষে ও খুশি হয়েছে সেটাই বড় বিষয়।
ভালোবাসা নিয়েন 💖