সময়টুকু হয়তো তাদের সাথেই বরাদ্দ ছিল(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)

আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।

ফ্রেন্ডদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম।সময় বোধয় তখন বিকাল ৬টা।আড্ডাকালীন সময়ে অকস্মাৎ আম্মুর ফোন।রিসিভ করার পর শুনলাম আমার ছোট ভাই বাইরে ঘুরতে যাবে তো ওকে আমায় সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।আড্ডায় ভাংচি দিয়ে কিছুক্ষণের ভেতরই বাসায় চলে এসেছিলাম।
গিয়ে দেখি ও(ভাই)মাঠের ভেতর খেলছে,হাত পায়ে ধুলা লেগে আছে।মাঠের এক কোনায় দেখি পাশের বাসার বড় ভাই (বন্ধুর মতোই আরকি) আর এক ছোট ভাই বসে গল্প করছিলো।ইশামকে(আমার ছোট ভাই) ফ্রেশ হতে বলে ওদের দুজনকেও বললাম তোরাও চল,হেটে আসি।ওরাও রাজি হলো।সজল(বড় ভাই) রেডি হওয়ার জন্য বাড়ির ভেতর গেলো আর অভি(অপরজন)ওর বাড়ি গেল।একটু পর সজলের সাথে ওর বড় বোন আর ওর ভাগ্নেও বের হলো ওর সাথে।ইশামও আসলো আর তার একটু পর অভিও আসলো।ইশামকে হাত ধরে নিয়ে তিনজন একটু এগোতেই সজলের ভাগ্নে বাসিদ কেদে উঠলো। হয়তো আমাদের সাথে যেতো।আমি হঠাৎ বললাম, নে ওকেও সাথে নে।ওকেও একটু ঘুরিয়ে আনি।যেহেতু ওকে কোলে করে নিয়ে হাটা একটু মুশকিল তাই রিক্সা নিয়েছিলাম।

সজলের কোলে ইশাম,আমার কোলে বাসিদ আর উপরে অভি।যদিও চেহারা দেখে অভিকেই বড় মনে হয় আমাদের থেকে,তবুও আমরাই বড়।আর আমার থেকে সজল দুই বছরের সিনিয়র।ও রংপুর পলিটেকনিকে পড়ে আর অভি এবার এস,এস,সি এক্সাম দেবে।

রিক্সা নিয়ে গিয়েছিলাম বাসা থেকে কিছুটা দূরে প্রগতিপাড়া নামক এক জায়গায়।বেশ কিছু ফার্স্ট ফুডের দোকান রয়েছে ওখানে।ইশাম বললো,তান্দুরি চিকেন আর লুচি খাবে।যেহেতু ও তরল খাবার ছাড়া এখন কিছু খেতে পারছেনা তাই ওকে ওখানে বসে খাওয়ানোর সাহসটা পাইনি,পার্সেল নেওয়ার চিন্তা করেছিলাম।অর্ডার দিয়ে ব্রিজের দিকে একটু হাটতে গিয়েছিলাম সবাই মিলে।

মিনিট দশেক হেটে এসে চা খাওয়ার জন্য একটা দোকানে ঢুকেছিলাম।চারজনের জন্য চারটে মালাই চায়ের অর্ডার করেছিলাম।

চা খাওয়া হলে,সেখান থেকে উঠে চিকেন তান্দুরি আর লুচির পার্সেলটা নিতে গিয়েছিলাম।তারপর আর দেরি করিনি কোথাও।আবার একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় এসেছিলাম।
পিচ্চি দুইটাকে নিয়ে সময়টুকু ভালোই কেটেছিল।বাসিদ থেকে থেকে কেদে উঠছিলো,এটাই বেশি ভাল্লাগছে আমার😅।

cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.29/03/22