ক্ষনিকের জন্য হলেও ভালো ছিলাম(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।

বলতে গেলে বন্দি জীবন কাটাতে কাটাতে হাপিয়ে উঠেছি।চিরচেনা পরিবেশ পালটে যাওয়ায় আমার মানসিকতাতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।স্বভাবও বদলাতে শুরু করেছে।এগুলো আমার কাছে মোটেও ইতিবাচক মনে হচ্ছে না।মানসিক শান্তি হারিয়ে ফেলছি এসব অদলবদলের মাঝে।জীবন অতিবাহিত করাই জুলুম মনে হচ্ছে।
এইতো গত পর্শু,বাড়ি থেকে মেসে এসে দেখি কোনো ব্যাটা নেই মেসে।সব বাড়ি গেছে।একা থাকতে হবে,ব্যাপারটা হজম করতে পারছিলাম না।ইফতার সেরে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম।তখন থেকেই কেমন জানি মনটা খারাপ হতে শুরু করলো।শান্তি পাচ্ছিলাম না কোনোভাবেই।বন্ধুকে ফোন করে বললাম,কিরে তুই মেসে আছিস?হুম,আছি।শুনে বললাম,সাহারিতে গেস্ট মিল দিতে পারবি?আমি যেতে চাচ্ছিলাম তোর ওখানে,আসলে একা একা ভালো লাগছেনা।ও বললো,তুই আয় আমি মিল দিতে বলছি।
একটু পর সাইকেলটা নিয়ে ওর মেসে গিয়েছিলাম।ওর নাম নিরব।ওর রুমে ও আর তাইন থাকে।আমি ওর রুমে ঢুকে দেখি আরেক বান্দাও সেখানে হাজির।তাইনের পাশাপাশি কাওছার-ও ছিল।আমি যেতেই ওদের ফাইজলামি শুরু হয়েছিল।
উর্তী বয়স আমাদের।চারজন ছেলে একসাথে থাকলে কোন রকমের দুষ্টামি ফাইজলামি চলে তা নিশ্চই বুঝতে পারছেন😁।
নিরব হঠাৎ করে বলে উঠলো,নুডুলস কিনে আনি।সাথে সাথে আমিও সম্মতি দিলাম।তখন বাজে রাত ১০ টা।নিরব আর কাওছার গিয়ে এক প্যাকেট নুডুলস আর একটা ডিম কিনে এনেছিল।এক প্যাকেট নুডুলস দেখে বললাম,চারজনের জন্য এক প্যাকেট সম্ভব না,আরেক প্যাকেট আন টাকা আমার থেকে পরে নিয়ে নিস।পরে আরো এক প্যাকেট এনেছিল।
মেস তো,তাই বাড়ির মতো করে স্বাধীনভাবে কিচ্ছু ব্যবহার করা যাচ্ছিলোনা।চোরের মতো করে নিঃশব্দে তেল পিয়াজ মরিচ এগুলো চুরি করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্যাসে নুডুলস বানিয়ে ফেলেছিলাম।ফেলেছিলাম বলা ভুল হবে,কারন আমি ফোন টেপা ছাড়া কোনো কাজই করিনি।নিরব আর কাওছারই সব করেছিল।
IMG20220407221704.jpg

IMG20220407221914.jpg
অস্ত্রপাতি নিয়ে সবাই রেডি ছিলাম😂।
IMG20220407222350.jpg

IMG20220407222716.jpg

IMG20220407223142.jpg

IMG20220407223738.jpg

খাওয়ার সময় সে আরেক কাহিনী।তাইন আর কাওছারকে পাঠিয়েছিলাম সস আনতে,সেই ফাকে আমি আর নিরব প্রায় অর্ধেক নুডুলস শেষ করে দিয়েছিলাম,হিহিহি।কিছুক্ষন পর ওরা যখন এসে দেখলো যে নুডুলসের এই হাল।ব্যাস,মুখ খুলে ইচ্ছামতো ঝারি দিলো দুজনকে😑।
ওতো কথা শুনেও ওদের খাওয়ার সময়েও দুজন আবার ভাগ বসিয়েছিলাম।এসব করতে করতেই ১২ টা বেজেছিল।
পরেরদিন বায়োলজি প্রাইভেটে হাইড্রার উপর এক্সাম ছিল।তো একটু বই নিয়ে এক কোনায় বসেছিলাম।২ মিনিট না যাইতেই,একজন কানের কাছে এসে দিলবার দিলবার বলছে আরেকজন চুল ধরে টানছে।ব্যাস,পড়া ওখানেই শেষ।সাহারি পর্যন্ত এসব চললো।তারপর সবাই একসাথে সাহারি করে একটু ঘুমিয়েছিলাম।
অন্তত রাতটুকু বেশ ভালো ছিলাম।দুনিয়াবি চিন্তা ভাবনা ভুলে আনন্দে আর বাদরামিতেই মেতে ছিলাম।
ওহ,যেটা না বললেই নয় সেটা হলো নুডুলসের টাকাটা এখনো দেইনি😂।

cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.09/04/22

Sort:  
 3 years ago 

ভাই ম্যাচ লাইফ টা সত্যিই অনেক মজার। বন্ধুবান্ধবরা মিলে একত্রে খুনসুটিতে মেতে ওঠা, সবাই মিলে নুডুলস পার্টি করা, থেকে শুরু করে আরো নানান ধরনের আয়োজন সবসময় লেগে থাকে। তবে এসব কিছুর মধ্যেও নিয়মিত পড়াশোনা করা উচিত। তা না হলে পরবর্তীতে গিয়ে মেসে কাটানো সেই দিনগুলোর জন্য আফসোস করতে হবে। সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

জি ভাইয়া,,আসার উদ্দেশ্যই তো পড়াশুনা,যদি সেটাই না হয় তাহলে তো আসাটাই বৃথা।
আপনাকেও ধন্যবাদ 💙

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 68338.18
ETH 2645.26
USDT 1.00
SBD 2.69