শিক্ষা ব্যবস্থা(১০% টু শাই-ফক্স)
আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।
যতটুকু বুঝতে শিখেছি,তাতে এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি বরাবরই আমার আকাশ সমান অভিযোগ আছে।আর আমি জানি দিন দিন এই ব্যবস্থায় আরো অবনতি আসবে,উন্নতি কোনোদিন হবেনা।
আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে,এতো বিষয় থাকতে আমি হঠাৎ করে কেন এই বিষয় নিয়ে আলোচনায় এলাম?এই প্রশ্নের উত্তর কোনটা ফেলে কোনটা নিয়ে দেবো তা বুঝে উঠতে পারছিনা।শিক্ষার এ সমস্যা নির্দিষ্ট একটা জায়গায় আটকে থাকলে নাহয় বলতে পারতাম,এখানে তো আগা-গোড়া পুরোটাই সমস্যায় জর্জরিত।তারপরেও মূলত যে বিষয়টা খেয়াল করে আমার এ কথা বলা,সেটাই নাহয় আলোচনা করি-
মামাতো বোন তোয়া এবার ক্লাস ৭ এ পড়ে।স্টুডেন্ট হিসেবে যথেষ্ট ভালো।বগুড়ার বেশ নামকড়া একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করে।তো ঘটনাক্রমে গতকাল ওদের বাসায় গিয়েছিলাম।
গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করার পর রেস্ট নিচ্ছিলাম।তোয়া কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো,ভাইয়া অস্ট্রেলিয়ায় যখন কারো দাঁত পরে যায় তখন তারা সেই দাঁত নিয়ে কি করে?
আমি ওকে বললাম,প্রশ্নটা বুঝিয়ে বলো।ও বললো,আমাদের দেশে তো দাঁত পরে গেলে তা ইঁদুরের গর্তে ফেলার নিয়ম আছে।তেমন অস্ট্রেলিয়ায় কোন নিয়ম চালু আছে?
নিজে যেহেতু জানিনা,বাধ্য হয়ে গুগলে অনেকভাবে সার্চ করার ট্রাই করলাম।কোনোদিক থেকেই তেমন কিছু পেলাম না।একটা পর্যায়ে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম,হঠাৎ এ প্রশ্ন কেন?
ও বললো,স্কুল থেকে দিয়েছে।অস্ট্রেলিয়া,ইন্ডিয়া আর একটা যেন কোন দেশ বললো,এই তিন দেশের দাঁত নিয়ে সংস্কৃতি জেনে যেতে হবে।এগুলোই তাদের মূল্যায়ন করার মাধ্যম।
অনেকটা যখন অবাক হয়ে গেলাম ওর কথা শুনে,ও তা দেখে আরো শুনালো যে,সম্পূর্ণ বাংলাদেশে ক্লাস ৬ আর ৭ এর উপর একটা এক্সপেরিমেন্ট করা হচ্ছে।কোনো এক্সাম থাকবেনা,দাঁতের মতো যত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতিগুলো আছে আশেপাশের দেশের সেগুলো জানতে হবে।
তাদের যে ম্যাথ বই আছে সেটা দেখার পর আমি বুঝতে পারছিলাম সেটা আদৌ ম্যাথ বই নাকি বাংলা সহপাঠ বই!একে তো বইটা পেপার প্রিন্ট,দ্বিতীয়ত বইয়ে ম্যাথ বলতে কিচ্ছু নেই।প্রসেজার দেখানোর পর যে আলাদা একটা অনুশীলনী থাকে প্রাকটিসের জন্য সেই অনুশীলনী নামক জিনিসটাই নেই।
আবার শুনলাম,৬ আর ৭ কোনো এক্সাম সিস্টেম নেই।কোনো মূল্যায়নে প্রথম দ্বিতীয় নেই,সবাই সমান।
অভিযোগের হিসাব দিতে থাকলে কবে শেষ হবে আমার জানা নেই।তাই ওদিকে আর বেশি না বাড়াই।
আমার কথা হচ্ছে,আপনারা ৬ আর ৭ এর উপর এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছেন বেশ ভালো কথা।এই স্টুডেন্টগুলো যখন কোনো ম্যাথ না করে,সাইন্স বইয়ে ভালো ব্যাসিক না পেয়ে ক্লাস এইটে যাবে তখন তো এদের ফাঁকা মরুভূমিতে ফেলে দেওয়া হবে।কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পাবে কি?
আচ্ছা এগুলো সবই বাদ দিলাম,আজকের মেডিকেল এক্সামের কথাই বলা যাক।স্টুডেন্টগুলো শর্ট সিলেবাস পড়ে এইচ,এস,সি দিলো কিন্তু ম্যাট বা বুয়েট বা ভার্সিটি টেস্ট হবে ফুল সিলেবাসে।তাতেও কোনো সমস্যা নেই।প্রশ্নটা যখন করা হবে,তখন কি শর্ট সিলেবাসের উপর গুরুত্ব একটু বেশি দেওয়া যায়না?মাশাল্লাহ আজকের প্রশ্নে জুলোজি পার্টে জাস্ট একটা প্রশ্ন শর্ট সিলেবাসের আর বাকি সব বাহিরের।স্টুডেন্টকে ডিপ্রেশন দেয়ার জন্য এগুলোই যথেষ্ট।
অনেক কথা বলার ছিল কিন্তু সব বলা সম্ভব না।যা বলেছি,বুঝার হলে তাতেই বুঝে ফেলবেন আশা করি।
যেহেতু,সিস্টেম চেইঞ্জ করার এবিলিটি আমার নেই তাই মেনে নিতে হবে সবই।তবে একটা কথা বলতে না চাইলেও বলতে হয়,এ দেশে বছর কয়েক পর মেধা বলতে হয়তো কিছু থাকবেনা।
সোনার দেশের সবাই সোনার সিস্টেম নিয়ে ভালো থাকুক,সোনার মানুষ হয়ে উঠুক সব সোনামণিরা-এটুকুই চাওয়া🤲।
সবাইকে সম্মান জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি,
🌼আল্লাহ হাফেজ। 🌼
Cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.10/03/23
দাঁত নিয়ে সংস্কৃতি জানার মাঝে কি জ্ঞান থাকতে পারে সেটাই তো বুঝে উঠতে পারছি না😱। আসলে অযথা প্রশ্ন পড়িয়ে পড়িয়ে বাচ্চাদের মাথা একেবারে শেষ করে ফেলছে। আর সেখান থেকে মূল জিনিস গুলো বাদ পড়ে গেছে। ভাইয়া আপনার পোস্টের টপিক দারুন ছিল। ভালো লাগলো পড়ে।
ধন্যবাদ আপু,ভালোবাসা নিয়েন।
এমন প্রশ্ন আজকে প্রথম শুনলাম দাঁত নিয়ে তিনটি দেশের সংস্কৃতি জেনে যেতে বলা হয়েছে। আসলে এই প্রশ্নটা শুনে আমি নিজেই ভাবছি এ কেমন প্রশ্ন। সত্যি বলতে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন যেটার প্রতি আমার নিজের অনেকটা অভিযোগ রয়েছে। যেগুলো দরকার সেগুলো না শিখিয়ে না পড়িয়ে অন্যান্য এমন কিছু বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় যাতে করে তারা প্র্যাক্টিকাল জিনিসগুলো ভুলে যায়। তবে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির পরিবর্তে অবনতি দেখা যাচ্ছে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হচ্ছে যার কারণে অনেকে ভালো কিছু শিখার থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। যাইহোক খুব সুন্দর লিখেছেন ভালো লাগলো পড়ে।
ধন্যবাদ আপু।
এতদিন একটি প্রবাদ বাক্য শুনেছি দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝতে হয়। কিন্তু দাঁতের ও যে সংস্কৃতি আছে সেটি এখন বুঝতে পারলাম। আমিও গত কয়েকদিন যাবত আমার ভাগ্নির গণিত বই নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি ।ওকে অংক করাতে বসি কিন্তু বই এদিক সেদিক উল্টেপাল্টে আবার রেখে দেই কারণ আমি কোন অংক খুঁজে পাই না। এমনকি অন্যান্য বই গুলোর সৌন্দর্য যেন খুঁজেই পেলাম না। এতে করে আমি লক্ষ্য করলাম ওদের পড়ালেখার প্রতি অনীহা চলে এসেছে। এমন সিস্টেম চলতে থাকলে এই জাতি মেধা শূন্য হয়ে পড়বে।
মেধা শূন্য হতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
আপনার আজকের পোস্ট পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ঠিকই বলেছেন দিন দিন আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অবনীতির দিকে যাচ্ছে। আমিও শুনেছি এখন নাকি কোন এক্সাম হবে না। তিনটি দেশের সংস্কৃতি জানার বিষয়টি বুঝলাম না। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এসাইনমেন্ট হিসেবে ওদের বলা হয়েছিল,অস্ট্রেলিয়া ইন্ডিয়া আর একটা দেশে(নাম মনে নেই আমার) দাঁত পরে গেলে মানুষ কি করে?আমাদের দেশে তো ইঁদুরের গর্তে ফেলার নিয়ম আছে বা সংস্কৃতি আছে,ওদের কি নিয়ম আছে?
কী আর বলব ভাই আহা টুনটুনি উহু টুনটুনি টাইপের মানুষ যদি বই লিখে তাহলে তো এটাই হবে। আমিও শুনেছি এমনটা ক্লাস সিক্সের ম্যাথ বই থেকে নাকী অংকের থেকে ইতিহাস বেশি। মানে দিন দিন এদের বুদ্ধির এতো অবনতি যে কেন সেটা বোধগম্য হচ্ছে না। বিবেক হীনতার কোন পর্যায়ে গেলে একজন শিক্ষার্থীকে বলে অস্ট্রেলিয়ার দাঁতের রহস্য জেনে আসতে।
সাথে ইন্ডিয়াও ছিল,জানলে বইলেন😂।
এভাবে আস্তে আস্তে আমাদের দেশ থেকে শিক্ষা উঠে যাচ্ছে, দেশ মেধা শূন্য হয়ে যাচ্ছে ,শিক্ষা থেকে এখন পোলাপান বঞ্চিত হচ্ছে ।ছোট বাচ্চারা তো বুঝবে না, ওরা তো পড়াশোনা কম দেখে খুশি। কম দেখেও যদি পড়াগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ হতো তাহলে হতো। ক্লাস সেভেনের বাচ্চাদেরকে দাতের সংস্কৃতি!! আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে।
সেদিন শুনার পর আমার নিজের চোখও কপালে উঠে গিয়েছিল😬!
শিক্ষা ব্যবস্থার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
আমাদের দেশের সিক্ষা ব্যবস্থা খুবই হুমকির সম্মুখীন আজ।অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু শিখিয়ে কি লাভ।বাস্তবসম্মত শিক্ষা চাই।বাচ্চারা যাতে করে যুগের সাথে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে। কি সব আজব প্রশ্ন, এমনতো কখনও শুনিনি।যাক ভাল লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। আবার খারাপ ও লাগলো এই ভেবে দেশ কোথায় যাচ্ছে আসলে?
দেশ যাচ্ছে রসাতলে,মেধা যাচ্ছে বাহিরের দেশে।