পেট(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
ইদ মোবারক এবিবি বাসী।আশা করি,কালকের দিনটা সবাই মনের মতো করে কাটাতে পারবেন।সুন্দর একটি ইদের জন্য শুভ কামনা রইলো।
ছবি আর ছবির পিছে যে গল্পটি লুকিয়ে আছে,তা সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত।
লেখায় যে তিন-চারটে ছবি ব্যবহার করেছি তা একদিনে তুলিনি।এই গত দুদিনে তোলা।রাস্তাঘাটে এমন অবস্থা,যে বাসা থেকেই বের হতে মন চায়না।
যারা এভাবে বাস ট্রাকের উপর চড়ে আসছে,জীবনের ঝুকি নিয়ে আসছে আবার ট্রেনের উপর চড়েও-এনারা শুধু দুই তিনটা দিন কাটাতে চান পরিবারের সাথে।কোনো এক রোদচটা দুপুরে মনে হাজারো কষ্ট আর আশা নিয়ে হয়তো এনারা এনাদের পরিবার ছেড়ে হয়েছিলেন শহরমুখী।এখন আর সেভাবে দেখা হয়না,সময় কাটানো হয়না পরিবারের সাথে।তবুও প্রযুক্তির কল্যানে ফোনের মাধ্যমে যতটুকু যোগাযোগ হয় তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।আর মনের মধ্যে আশা বুনতে হয়, কোনো একদিন বাড়ি যাবো।বাবা-মায়ের সাথে বসে দুটো ডাল ভাত খাবো।
এমন সময় রাস্তায় শুধু গাড়ি আর তাতে এমন মানুষের ভীড় দেখবেন না।বিষয়টা একটু গভীরে গিয়ে ভেবে দেখিয়েন।ওই গাড়িগুলোতে আমাদের দৃষ্টিতে কেবোল আমরা হয়তো মানুষই দেখি,কিন্তু ওনাদের পরিবারেরা দেখেন তাদের অবলম্বন আসছে ওই গাড়িতে।সন্তান দেখে,তার জন্য খেলনা আর নতুন জামা আসছে।স্ত্রী হয়তো দেখছে,তার রক্ষাকবচ আসছে।মানুষ একজন অথচ কতজনের কাছে কতরকম ভাবে আছে।
জীবনের সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেকরকম।এসি ঘরে যিনি থাকেন তার সাথে নিশ্চয়ই এনাদের জীবনের গল্প মিলবেনা।যেহেতু,পরিবার ছেড়ে আমিও এখন বাইরে থাকি তাই একটু হলেও এনাদের মনের কোনে থাকা ব্যাথাটা বুঝতে পারি।যদিও আমি থাকি পড়া্শুনার উদ্দেশ্যে। যাইহোক সেদিকে না যাই।
জীবনকে এনারা খুব কাছে থেকে দেখছেন।দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার জন্য দেশের এ মাথা থেকে ও মাথায় গিয়ে থাকেন।জীবনের ঝুকি নিয়ে হলেও তাই পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগটা তারা ছাড়তে চান না।যে দুটোদিন থাকবেন পরিবারের সাথে সে দুটোদিনই এনাদের আগামী ৬ মাস কাজের উদ্দিপনা যোগাবে।
মায়ের হাতের রান্না,বাবার সাথে জমিতে যাওয়া,সন্তানের বাবা বাবা ডাক-এসবের মায়া ত্যাগ করে পেটের দাবি রক্ষা করতে পারি দেয় শহরে।অন্নচিন্তার নিগড়ে এনারা অবদ্ধ।মনের দাবি কাছে ঘেষতে এলেই পেট নাড়া দিয়ে ওঠে এবং বিদায় দেয়।দুদিনের সুখ ছেড়ে চোখের কোনায় জল নিয়ে আবার তাদের যেতে হবে।মাথায় হাজার রকম চাপ নিয়ে পেট বাচাতে হবে।
Cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.09/07/22
জীবন বড়ই সংগ্রামীময় যতদিন বেঁচে থাকতে হবে ততদিন ঠিক এভাবেই সংগ্রাম করে যেতে হবে বাঁচার জন্য। নানান পেশার মানুষ নানান কর্মে এভাবেই নিয়োজিত রয়েছে। একটি স্থান থেকে আর এক স্থানে ছুটে চলতে হয় সামান্য দুই পয়সা লাভের আশায়। আবার অনেকের সেই লাভ কপালে জোটে না। কপালে জুটলে ভাগ্যে থাকে না,বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। বেশ ভালো লাগলো এই শ্রেণীর মানুষের কথাগুলো তুলে ধরেছেন দেখে।
আপনার ভালো লাগাই আমার লেখার স্বার্থকতা।ভালোবাসা নিয়েন💙