লেখনি-একাকিত্ব (১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
জানেনই তো মেসে থাকি।আর মেসে থাকার কথাটা প্রায় সময়ই বলি কারণ,এই বিষয়টা আমার কাছে এখনো কেমন কেমন লাগে!আসলে বাবা মাকে ছাড়া বাহিরে এভাবে থাকিনি এর আগে।প্রথমবার তো,তাই হয়তো একটু সাফার করতে হচ্ছে।
Source
সেদিন রাতে ঘুম আসছিলোনা।সবাইকে অনেক মনে পরছিলো।হঠাৎ করে যখন বাসার কথা মনে হয়,বিশ্বাস করেন পুরো দুনিয়া তখন অন্ধকার লাগে আমার কাছে।এমন সময় আম্মুকে ফোন করে কথা বলি।অনেকসময় কথা বলতে বলতে কেদেও ফেলেছি।এই অনুভূতিটুকু প্রকাশ করে বুঝানোর মতো না।ভেতরে যে কি তুফান শুরু হয়ে যায়!মনে হয় এক দৌড়ে বাসায় চলে যাই।কিন্তু,নিয়মের ব্যারাজালে আবদ্ধ।
ওই রাতে নোটপ্যাডটা বের করে এমনি লেখালেখি করেছিলাম আর সাথে সামান্য ছন্দ মেলানোর চেষ্টা করেছিলাম।যেটা ছিল-
নিজের সঙ্গী এখন আমি নিজেই,কাজ শেষে রুমে ঢুকে কাউকে পাইনা, যার সাথে করবো গল্প।
ঘুম আসার আগ পর্যন্ত সময়টুকু কেটে যায় কাজের মাঝেই।
অন্ধকার ঘরে বালিশে মাথা দেয়ার পর ফাপর আসে অল্প অল্প।
এখন রাত বারটা বেজে চব্বিশ,
চোখে ঘুম আর মাথায় চিন্তা ভাবনা উনিশ-বিশ।
পাশে ইশামকে অনেক মিস করি-
একসাথে ঘুমাইনি বেশ অনেকদিন।
স্মৃতিগুলো রোমন্থন করি আর ভাবি যদি এগুলো হয়ে যেতো চুরি!
তাহলে হয়তো,এই একাকিত্বটা আর প্যারা দিতোনা!
মানিয়ে নিতোই সকল যাতনা।
উপরে নিচে সবাই ঘুম,
লো ভোলিউমে বাজছে-বাবা তুমি আমার যত খুশির কারণ!
নিয়মের বাধন ছিড়ে বাবা-মায়ের কাছে ছুটে যাওয়া যে বারণ।
এটা বিচ্ছেদের থেকে কম নয়,
জীবনের উদ্দেশ্যেই হয়তো পেটকে পোষা আর তিলে তিলে আত্মার ক্ষয়।অর্থ বহন করে কিনা আমি জানিনা,তবে আমার মুহুর্তটুকু ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।ছন্দ মিললেই তাকে কবিতা বলা চলেনা,কবিতার নিয়মে চললে সেটা কবিতা হয়।আর কবিতার নিয়মের ন-পর্যন্ত জানা নেই আমার।এটা অন্য দশটা লেখনির মতোই একটা লেখনি।যা প্রকাশ করছে আমার সেদিন রাতের মনের অবস্থা।
©@farhantanvir
Date.24/09/22
একাকিত্বের মুহুর্তগুলো খুবই খারাপ ভাইয়া যা আমি বুঝি, কারন বাবা মাকে ছাড়া আমিও অনেক দিন থেকেছি প্রতিটা রাত প্রতিটা দিন খুবই খারাপ যায়, সংগী একমাত্র নিরবতা ছাড়া আর কিচ্ছু নাহ। তাও বাবা মার জন্য কিছু যদি করা যায় সেটা কষ্ট হলেও মেনে নেয়া যায় কারন দিনশেষে তারা তো খুশি। এটাই অনেক। সেলুট আপনাকে ভাইয়া এত প্রতিকুলতার মাঝেও নিজিকে স্ট্রং রেখে এগিয়ে যাচ্ছেন। ধৌর্য ধরুন ভাইয়া ভাল দিনের অপেক্ষায় থাকুন। ইনশা আল্লাহ একাকিত্ব একদিন দূর হবেই।
দোয়া রাখবেন ভাইয়া।স্বপ্ন যেন পূরন করে একা থাকাটাকে স্বার্থকতার ছোয়া দিতে পারি।
ভালোবাসা নিয়েন
একাকীত্বের জন্যই মানুষ বিভিন্ন জিনিস ভাবতে থাকে। বিভিন্ন চিন্তা চেতনা মনে আসে। কারো বা ম্যাচিউরিটি বৃদ্ধি পায় । যদিও একাকীত্ব অনেক কষ্টের তবে এর একটি ভাল দিক রয়েছে। যাই হোক আপনি একাকিত্বের মধ্যে সুন্দর কিছু লিখা লিখি করেছেন তবে এই একাকীত্ব নিয়ে আপনি অনেক কষ্টের মধ্যে আছেন বুঝাই যাচ্ছে। একটা প্রশ্ন ছিল ভাইয়া পড়ালেখা তাগিদিই কি মেসে আছেন?
জি আপু,এবার আমি ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে।
আমাদের ওদিকে উচ্চ-মাধ্যমিকে পড়াশুনার মান ওতোটা ভালো না হওয়ায় বগুড়া এসে থাকা।
দোয়া রাখবেন আপু❤️
ওহ আচ্ছা। জি ভাইয়া অবশ্যই দোয়া ও শুভকাল রইলো আপনার জন্য।
আসলে ভাইয়া একাকীত্ব মানুষকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। একাকিত্বের কারণে মানুষ হতাশায় ভোগে। কিন্তু জীবনে চলার পথে যখন একাকীত্ব চলে আসে তখন মানুষকে মেনে নিয়েই চলতে হয়। আপনার মত আমারও হঠাৎ করে মায়ের কথা মনে পড়লে ফোন দিয়ে কথা বলি আর কান্না শুরু করি।
দিনশেষে মা-বাবা ছাড়া আমাদের আপন বলতে কেউই নেই আপু।হাজার জায়গা ঘুরে এসে দেখবেন,সেই বাবা-মাই সেরা।
আমাদের প্রকৃত শখা কিন্তু ভাই আমরা নিজেরাই। একাকিত্বকে যে আপন করে নিতে পারবে তার আর কোনো পিছুটান থাকবে না। যদিও এটা সহজ না। প্রথম প্রথম পরিবার ছেড়ে এইরকম দূরে গেলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। আপনার অনূভুতি টা আমি বুঝতে পারছি। আপনার কবিতা টা একেবারে ভেতর থেকে এসেছে সেটা পড়ে বোঝা গেল। চমৎকার হয়েছে ভাই। ধৈর্য ধরুন সব শয়ে যাবে।।
ইনশাল্লাহ ভাইয়া। দোয়া রাখবেন।❤️🖤