দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
বৈশাখ মাস তো পরেই গেছে।আর সে উপলক্ষে মেলা শুরু হওয়াও বাকি নেই।দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে এই মেলা পালন করা হয়।যদিও মেলা পালন কথাটা বলা ভুল হলো।কারণ,মেলা তো পালন হয়না,মেলার মাধ্যমে বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া হয় আরকি!
আমাদের দেশে এই মেলা এক প্রকার ঐতিহ্যই বলা চলে।আর সত্যি বলতে অন্যান্য মেলার থেকে এই মেলার প্রতি ছোট থেকেই আমার ঝোক একটু বেশিই কাজ করে।আর হ্যাঁ, অবশ্যই এর পিছে কারণ রয়েছে।সেটা হচ্ছে,বৈশাখের এই মেলাগুলো স্বাভবতই অন্যান্য মেলা থেকে একটু বেশিই বড় করে আর বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনার মাধ্যমে পালিত হয়।সার্কাসের জন্য এই মেলা আমার কাছে আরো বেশি ভালো লাগে।আমাদের ওখানে ফাসিতলা আর গাংনগর এই দুই জায়গায় বৈশাখের মেলা বিশাল আয়োজনের মধ্যে পালিত হয় প্রতিবছরই।গতবার মেলাতেও সার্কাস দেখতে গিয়েছিলাম ফাসিতলা মেলাতে।
এবার তো বাড়ি ছেড়ে আসছি মেসে মানে বগুড়ায় আরকি।তো বৈশাখের দিন ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে দেখলাম সাতমাথায় খোকোন পার্কে বৈশাখ উপলক্ষে মেলা বসেছে।যেহেতু,এই মেলায় এমনিতেই আমার আকর্ষন বেশি আর তার চেয়েও বড় কথা বগুড়ার দিকে এসব মেলা কিভাবে হয় সেটা জানার কৌতুহল আমায় ঘিরে ধরেছিল,তাই বৈশাখের দিন ইফতার পর মেলায় গিয়েছিলাম আমি আর আমার এক ফ্রেন্ড।
আমার কথা শুনে হয়তো এতোক্ষনে বুঝে গেছেন,কতটা কিউরিওসিটি নিয়ে গিয়েছিলাম? মাশাল্লাহ,মেলায় পৌছানোর পর সব কিউরিওসিটির বাপ-মা পটল তুলেছিল।
এখন বলেন কেন?মূল কারণ মেলার স্পেস।অত্যন্ত ছোট জায়গায় হচ্ছিলো মেলাটি।তারপর আসুন দোকানপাটের ব্যাপারে।বড়জোর ২০/২২ টা দোকান হবে আর তার মধ্যে প্রায় ১৫ টা দোকানেই জাস্ট মেয়েদের ড্রেস।দেখে মনে হচ্ছিলো কোনো লেডিস মার্কেটে এসে পরেছি।আর বাকি যে কয়টা দোকান ছিল সেগুলোর ভেতর মাটির জিনিস,খেলনা আর একটা বড় আচারের দোকান ছিল।
যেকোনো মেলাতে একটা আকর্ষনের বিষয় হলো নাগরদোলা।আল্লাহর রহমতে সেটুকুও ছিল না মেলায়।
এক পাশে একটা মুক্ত মঞ্চ ছিল,সেটার উপর কয়েকটা পিচ্চি খেলছিলো।থাক,এ মেলা নিয়ে আর কিছু না বলি।
ভেবেছিলাম কি আর দেখে এলাম কি!এ যেন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো।
আমি আর আমার বন্ধু লিমন
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.18/04/22
দুই বন্ধু মিলে মেলায় খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অসাধারণ হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো মাঝে মৃৎশিল্প এবং হস্তশিল্প দেখে খুব ভালো লাগলো। মেলার এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই
বলতে গেলে নাড়িদের জন্য কাপড়ের দোকানের পরই যে দোকানের আধিক্য ছিল সেটাই ওই মৃৎশিল্পর।বেশ সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র ছিল দোকানগুলোতে।
ধন্যবাদ 🥰
একদম ঠিক বলেছেন এত অল্প পরিসরে হাতেগোনা কয়েকটি দোকানপাট নিয়ে বৈশাখী মেলা আসলে জমে ওঠে না। বৈশাখী মেলা হবে বিশাল এলাকাজুড়ে অসংখ্য দোকানের ভিড়ে হাটতে হাটতে মোটামুটি ক্লান্ত হয়ে যাব তবেই না জমে উঠবে বৈশাখী মেলা। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে আমাকেও বলতে হচ্ছে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। যাক দিনশেষে এতোটুকু সান্তনা নিয়ে ফিরতে পেরেছেন যে মেলাতো দেখতে পেরেছি। দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানো অভিজ্ঞতাটুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুধু নামেই মেলা ছিল,তাছাড়া কোনোদিক থেকে মনে হয়নি যে আমি কোনো মেলায় ঘুরতে গেছি😐।
ধন্যবাদ আপনাকেও এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য 🥰
আগের মতো আর কিছুই নেই এখন। আমাদের এলাকাতেও আগে জমজমাট মেলা হতো টানা তিন দিন। তবে এখন করোনার জন্য বন্ধ করে দিয়েছে মেলার এই খেলা৷ তবে আপনাত ফটোগ্রাফির মধ্যে মাটির তৈরি জিনিস খুব ভালো ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
হুম,এখনো অনেক জায়গায় বেশ ভালোই বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে।ইনশাল্লাহ,আগামী বছর বৈশাখের মেলা উপভোগ করতে পারবেন😊।
ধন্যবাদ আপনাকেও😊