রাইস কুকার কেনার অভিজ্ঞতা(১০% টু শাই-ফক্স)
আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।
যেহেতু আম্মু বাসার বাহিরে তেমন বের হয়না আর বাবাও নিজের কাজে দিনের অধিকাংশ সময় গ্রামের বাড়িতেই থাকে তাই সংসারের টুকিটাকি কেনাকাটা আমাকেই করতে হয়।এখন তো আমি নিজেই বাসা ছেড়ে মেসে থাকি,তাই বলতে গেলে কষ্ট করে তারা দুজনেই এসব দিক ম্যানেজ করে নেয়।
তবে যখন ছুটিতে আসি তখন দায়িত্বটা আবার আমার হয়ে যায়।আর টুকিটাকি কেনাকাটা বলতে আমি বুঝিয়েছি সবজি বাজার বা মশলা কেনা বা ধরুন বিল দেয়া সহ ছোট খাটো কিছু কাজ।
এবার বাসায় আসার পর দেখি রাইসকুকার টা নষ্ট হয়ে গেছে।আম্মু বললো,বাবা একটা রাইস কুকার কিনে নিয়ে আয়।এর আগে কখনো এমন মেকানিক্যাল জিনিসপাতি কিনিনি নিজে গিয়ে।তাই দায়িত্বটা বেশ ভারী ছিল আমার জন্য।তবুও গেলাম সাহস করে!
প্রথমে গিয়েছিলাম ওয়ালটনের শো-রুমে।সেখানে গিয়ে দেখলাম সবগুলো রাইস কুকারই ডবল-ডিস্কের।কিন্তু আম্মুর পছন্দ হলো সিঙ্গেল ডিস্কের কুকারগুলো।শো-রুমে যিনি ছিলেন উনি বললেন,ওগুলো তো অনেক পুরানো মডেল কোনো শো-রুমে বোধয় পাবেন না।
তাকে সব বোঝানোর পর উনি সাজেস্ট করলেন লোকাল দোকানগুলোতে দেখতে,পাওয়া গেলেও যেতে পারে।
তার কথা মেনেই গেলাম বাজারের ভিতরে।পরিচিত একটা দোকান ছিল সেখানেই গিয়েছিলাম।গিয়ে বলার পরেই ওমন একটা রাইস-কুকার বের করে দিয়েছিল।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ওই একটা কুকারই ছিল তার কাছে।
তবে যে ডিজাইনটা ছিল মোটামুটি সেটাই ভালো লেগেছিল আমার কাছে।রঙ টাও ইউনিক ছিল আর তার কথা মতো প্রোডাক্টটাও ভালো সার্ভিস দেবে।
কথা আর না বাড়িয়ে দরদাম করে ২২০০ টাকা দিয়ে কুকারটা কিনেছিলাম।যেহেতু আগে কিনিনি তাই দাম সম্পর্কে অবগত হতে দারাজে ঢু মেরেছিলাম।তো দেখি ২৫০০/২৬০০ এর নিচে কোনো কুকার নেই।তাই ভেবেছিলাম তাহলে বোধয় খুব একটা বেশি দাম দিয়ে নিইনি।
বাসায় আনার পরে আম্মুও রাইস-কুকারটা বেশ পছন্দ করেছে আর দাম কম-বেশি নিয়ে কিছু বলেওনি।
যেহেতু নতুন অভিজ্ঞতা ছিল তাই বেশ ইনজয় করেছিলাম ব্যাপারটা।আর একটা মজার বিষয় হলো কি,ভাত রান্নার পর খাওয়ার সময়ই বলি ভাতের খুব স্বাদ হয়েছে😂,কারণ রাইস-কুকারটা আমি কিনে এনেছি😂।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.30/12/22
রাইস কুকার টা কিন্তু আমারও বেশ পছন্দ হয়েছে। নতুন অভিজ্ঞতা হলেও বেশ ভালই চয়েজ রয়েছে আপনার। খুবই ভালো ইনজয় করেছেন দেখছি। আসলে সব কাজে একটা না একটা অভিজ্ঞতা রাখতে হয়। তাহলে কোন সমস্যা হলে আর দুশ্চিন্তা হবে না। এই রাইস কুকার টি আপনার আম্মুরও পছন্দ হয়েছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম। দেখছি দাম তো খুবই কম নিয়েছে। এখন তো যেহেতু চারপাশে সবকিছুর দাম বেড়ে গিয়েছে সে হিসেবে রাইস কুকারের দাম আমার মতে অনেক কম। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
রাইস কুকার টা কিন্তু আমারও বেশ পছন্দ হয়েছে। নতুন অভিজ্ঞতা হলেও বেশ ভালই চয়েজ রয়েছে আপনার। খুবই ভালো ইনজয় করেছেন দেখছি। আসলে সব কাজে একটা না একটা অভিজ্ঞতা রাখতে হয়। তাহলে কোন সমস্যা হলে আর দুশ্চিন্তা হবে না। এই রাইস কুকার টি আপনার আম্মুরও পছন্দ হয়েছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম। দেখছি দাম তো খুবই কম নিয়েছে। এখন তো যেহেতু চারপাশে সবকিছুর দাম বেড়ে গিয়েছে সে হিসেবে রাইস কুকারের দাম আমার মতে অনেক কম। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
দামের বিষয়ে আমি একদমই অজ্ঞ ছিলাম,কম একটু হয়েছে তা দারাজে ঢোকার পর বুঝতে পেরেছিলাম।
আপনি বাসার ছেলে হিসেবে তো এটুকু আপনার দায়িত্ব হতেই পারে । আপনি থাকতে আপনার মা কেন বাইরে কেনাকাটা করবে যেহেতু আপনার বাবা গ্রামের বাড়িতেই থাকেন সেহেতু বাড়িতে আসলে অবশ্যই সব দায়িত্ব আপনার পালন করা উচিত। আমার মনে হয় নতুন রাইস কুকার গুলো নেওয়াই আপনার জন্য ঠিক ছিল কারণ এগুলো এখন পুরানো হয়ে গিয়েছে তারপর আবার দোকানে এক পিস ছিল জানিনা ভালো সার্ভিস দিবে কিনা। তবে আপনি কেনার অভিজ্ঞতা খুব সুন্দর শেয়ার করেছেন।
আমারও নতুনগুলোই নেয়ার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু আম্মু এগুলোতেই কমফোর্ট ফিল করে।
আপনার তো দেখছি বেশ ভালোই একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। মনে হচ্ছে এই অভিজ্ঞতায় বেশ ভালই মুহূর্ত কেটেছে আপনার। আমার তো এরকম দোকানগুলোতে যাওয়ার ফলে সবকিছুই কিনে নিয়ে আসতে মন চায় সবকিছু খুবই পছন্দ হয় আমার। রাইস কুকার টি কিন্তু দারুন হয়েছে। আসলে আমরা যখন কিছু কিনে নিয়ে আসি তখন তার একটু সুনাম করি বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি বিষয়ে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই এটা ঠিক বলেছেন।আসলে এই দোকানগুলোর জিনিস এতো আকর্ষণীয় হয় যে যা দেখি তাই নিতে মন চায়।
একটা ছেলে বড় হোক বা ছোট যখন তার পর্যাপ্ত পরিমাণ বয়স হয়ে যায় তখন পরিবারের সকল দায়িত্বের মধ্যে তাকেও কিছুটার ভাগ নিতে হয়। আপনি আপনার পরিবারের জন্য একটি রাইস কুকার কিনেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো আসলে আমি মনে করি বাসায় যদি ছেলে থাকে তাহলে সেই পরিবারের কোন মেয়েকে বাজারের না আসাটাই উচিত। অবশেষে এই রাইস কুকার টি আপনার আম্মুর অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে জেনে খুবই খুশি হলাম। আসলে আমি মনে করি যদি কোন সন্তান কোন কিছু নিয়ে মা-বাবার সামনে হাজির হয় সেটা যদি খারাপ ও হয় তাহলেও মা-বাবা কখনো খারাপ এর কথা বলে না। সব সময় তাদেরকে উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকে। ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর অভিজ্ঞতার গল্প শুনে।
আপনাদের ভালো লাগাই আমার লেখার স্বার্থকতা,ভালবাসা নিয়েন।