আলহামদুলিল্লাহ,এবারেও আমরা সফল(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।
আজ আমি একটু বেশিই খুশি।আর এর পিছে বেশ অনেকগুলো কারণও আছে।যদিও সব বলবোনা,একেক করে পোস্টের মাধ্যমে জানায় দেবোনি।খুশি হওয়ার পিছে যেটি সবচেয়ে বড় কারণ তা হলো,সকলের সাহায্য সহযোগিতায় গতবারের মতো এবারেও আমরা ইয়াতিম-অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে পেরেছি।ইনশাল্লাহ,আগামী দিনেও পারবো এভাবেই সবাইকে পাশে পেলে।
গতবারের কার্যক্রম থেকে সামান্য অভিজ্ঞতা পাওয়ার পর এবার রোজার শুরু থেকেই আমরা নানাভাবে লোকের কাছে পৌছানোর চেষ্টা করেছিলাম।নিয়মিত সামাজিক মাধ্যমগুলোতে পোস্ট করে,আত্মীয়-স্বজনদের জানিয়ে,বিভিন্ন প্রাইভেটে গিয়ে বলে বলে।মানে যে যেভাবে পেরেছিলাম চেষ্টা করেছি।আমি,মুন,জেনিন,অপ্সরা,ইশা,অরিন,তিন্নি-এই সাত বন্ধু মিলে গতবারেও ঠিক এভাবেই ফান্ড ক্রিয়েট করেছিলাম।বলতে গেলে মূল উদ্যোক্তা অপ্সরা।ওর মাথাতেই এই বিষয়টি প্রথম এসেছিল।
দুপুর ১২ টার পর থেকে আমাদের তোরজোর শুরু হয়েছিল।আমি,জেনিন আর মুন তিনজন মিলে আগে ইফতার আইটেম,বিভিন্ন ফলমূল আর পানির বোতল,স্যালাইন এগুলো কিনে ফেলেছিলাম।
সব কেনা শেষ হলে সেগুলো নিয়ে আমাদের বাকি চার মেম্বার মানে মেয়েদের কাছে দিয়ে আসা হয়েছিল,সব কেটে প্যাকেট করার জন্য।আর ওদিকে আমরা তিনজন তারপর হোটেলে গিয়ে বিরিয়ানি প্যাকেটে ব্যস্ত হয়ে পরেছিলাম।
ঘন্টা দেড়েকের ভেতর সব কাজ সেরে ফেলেছিলাম।তারপর বিরিয়ানির প্যাকেটগুলো একটা ভ্যানে করে নিয়ে গিয়ে ওদের করা ইফতারের প্যাকেটের সাথে একটা করে পানির বোতল দিয়ে আলাদা করে একটা প্যাকেট করেছিলাম।
মোটামুটি গোছাগুছির কাজ এখানেই শেষ হয়।প্রায় ১১০ প্যাকেট ইফতার করতে পেরেছিলাম আমরা।সব গোছানো শেষ হলে,৪৫ টা প্যাকেট নিয়ে আমি মুন আর জেনিন একটা এতিমখানার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম আর বাকি প্যাকেটগুলো থেকে ৪০ প্যাকেট নিয়ে মেয়েরা ভাগ হয়ে তিনটা রিক্সা নিয়ে বিভিন্ন মার্কেটের ভেতর আর রাস্তার আশেপাশে যে ফকির মিসকিনরা ছিল তাদের মাঝে ইফতার বিতরণ করে।আর অবশিষ্ট ২৫ প্যাকেট আমরা নিজেদের মাঝে ভাগ করে নিয়ে আমাদের বাসার পাশের যে অসহায় লোক ছিল তাদের দিয়েছিলাম।
সব বিতরণ শেষ করে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে ইফতার করেছিলাম।ইফতার শেষে ছোট্ট একটা বৈঠক করে দেখা গেলো প্রায় ৮ হাজার টাকার মতো বেচেছে।নানান রকম চিন্তা ভাবনা করে শেষে সেমাই-চিনি আর গুড়া দুধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী পরেরদিন আমরা আবার সেমাই চিনি আর গুড়া দুধ একসাথে প্যাকেট করে গরীবদের মাঝে বিতরণ করেছিলাম।এক্ষেত্রে প্রায় ৫২ প্যাকেট সেমাই-চিনি আমরা ম্যানেজ করতে পেরেছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ,সফলভাবে সবকিছু সারতে পেরেছিলাম আমরা।আপনাদের সকলের দোয়া আর উৎসাহ পেলে সামনের দিনগুলোতে আরো ভালোভাবে এমন কার্যক্রম চালাইতে পারবো।
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.30/04/22
এই সামাজিক কাজ গুলো খুব ভালো লাগে। আমরা যখন সমাজের জন্য সমাজের মানুষের জন্য কিছু করি তখন যে আত্ম প্রশান্তি লাভ করা যায় আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় তা আসলে অন্য কোন কাজ পাওয়া যায় না। আপনাদের এই ধরনের উদ্যোগ কে সম্মান জানাই। আপনারা অনেক পরিশ্রম করে এই সকল মানুষের জন্য কাজ করেছেন। সেই সাথে অনেক প্রশান্তি লাভ করেছেন। আপনাদের এই ধরনের সামাজিক কাজ আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনাদের জন্য মন থেকে আশীর্বাদ রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া😊এই কাজগুলো করে আসলেই অনেক প্রশান্তি আসে যা বুঝানোর মতো না✌️।ভালোবাসা নিয়েন,,,💜
সত্যি খুবই ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে। রমজান মাস মানুষের যথেষ্ট শিক্ষা দিয়ে থাকেন। সে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের উচিত সকল শ্রেণীর মানুষের পাশে দাঁড়ানো। শুধু রমজান মাসেই নয় যেকোনো মুহূর্তে। আশাকরি অনেক সওয়াবের অধিকারী হবেন আপনারা। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
হুম ভাইয়া,ইনশাল্লাহ যেকোনো প্রতিকূল অবস্থাতেও আমরা সকলের পাশে দাড়াইতে পারবো।দোয়া রাখবেন🌺
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া একাজগুলো আমিও করতে পছন্দ করি। যেটা প্রতিবছর করা হয়ে থাকে। আপনাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই ।অনেক ভালো একটি কাজ করেছেন এই রমজান মাসে আপনাদের সফলতা বয়ে আসুক।
জেনে ভালো লাগলো,আপনিও এসবের সাথে সম্পৃক্ত😊অশেষ ভালোবাসা জানাই🥀
আসলে সফলতা এত সহজে বিষয় নয়, এর প্রয়োজন অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা । সাহস করে আপনি বলতে পেরেছেন আপনি সফল। আসলে আপনি যে সমাজ হিতকরী কাজটি করেছেন সবাই করতে পারে না। এর জন্য একটা নিবেদিত মন থাকা চাই। আপনার জন্য শুভকামনা করছি আপনার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আসুক এ ধরনের সফলতা।
ধন্যবাদ ভাইয়া,ভালোবাসা নিয়েন🌺
This post feature has been included in the latest edition of Steem Kindness Magzine
Regards