বাবুমশাই বন্দুকবাজ(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
দূর্গা পূজার মেলা নিয়ে যে পোস্ট লিখেছিলাম তাতে বলেছিলাম আমার ছোট ভাইয়ের কথা।আমি বন্দুক কিনে নেওয়ার জন্য রাস্তায় বসে পরতাম আর ও নিয়ে দৌড় দেয় যেন ওকে সেটা কিনে না দেয়া ছাড়া উপায় না থাকে।
এবার মেলাতে গিয়েও একটা বন্দুক পছন্দ করেছিল।আমি যাবোনা সত্ত্বেও জোর করেই আমায় নিয়ে গিয়েছিল ওটা কিনে দেয়ার জন্য।গিয়ে দেখি তুলনামূলক দাম অনেক বেশি।
ভাইকে বুঝিয়েছিলাম যে,পরে পাইকারি দোকানে নিয়ে গিয়ে কিনে দেবোনি,মেলায় সবকিছুর দাম বেশি।
ও যে সহজেই মেনে যাবে, তা আমার কল্পনার বাহিরে ছিল।সন্ধ্যায় ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম দোকানে।
ওর পছন্দ হয়েছিল উপরের ছবিতে দেখানো গান-টা।আমারো বেশ ভালোই পছন্দ হয়েছিল।কিন্তু,ওটাতে যথাসম্ভব টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা ছিল।যেজন্য গুলি বের হচ্ছিলোনা।আর দোকানে ওই এক পিছ ছাড়া ওই টাইপের অন্য কোন গান ছিলনা।
পরে ওর পছন্দমতো এই গান-টা ওকে কিনে দিয়েছিলাম।বাসায় আসার পর থেকে ওটা নিয়েই ঘুম,খাইতে বসেও ওইটাই আর খেলার সময় তো কথাই নাই।
বাসায় থাকাকালীন আমিও খেলেছি ওর সাথে।ও লুকাইতো আর আমি খুজে খুজে মারতাম ওকে😅।
এই জিনিসগুলো নিয়ে আমার স্মৃতির শেষ নেই।নিজের কথা বললে ভুলই হবে,আমার মনে হয় এখানকার ৯৯% ছেলেই ছোটবেলায় এটার জন্য পাগল ছিলেন।মুভিতে দেখতাম পুলিশ দৌড়ায় চোরের পিছে,ওমনে নিজেরাও মনে মনে ভাবতাম।এক ফ্রেন্ডকে চোর বানিয়ে ঘুরতাম তার পিছে।কত টাকা যে নষ্ট করেছি এগুলোর পিছে!বাবার মার খেয়েছি তাও কিনে নিয়েছি।খেলার সময় আবার এর ওর গায়ে লাগলে বাবার কাছে এসে বিচার দিয়ে যেত।বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলে আপনা-আপনিই নস্টালজিক হয়ে যাই।আগের দিনগুলো ফেরত পাওয়ার সুযোগ থাকলে হয়তো ১৯-ই আমার জীবনে আসতোনা।আবার ৪/৫ এ চলে যেতাম। নস্টালজিয়ার কাহিনী আরেকদিন ভালোভাবে হবে ইনশাআল্লাহ।আজ এই অব্ধিই থাকুক।
.
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.08/10/22
ভাইয়া এই বন্দুক দেখে পুরোনো বহু কথা মনে পরে গেল। আমি যখন ক্লাস 4-5 এ পড়ি তখন এমন একটা বন্দুক ছিল আমার। সেই বন্দুক আর গুলি নিয়ে প্রতিযোগিতা হত কে কতবার নিশানায় ঠিক করে লাগাতে পারে। আমি বহুজনকে এতে হারিয়ে ছিলাম।
আমরাও খেলতাম।গ্লাসে লাগাইতাম।সুন্দর ছিল দিনগুলো।
বাহ্ আপনার ভাইয়ের বুদ্ধিটাই ভালো পছন্দ হলে নিয়ে দৌড়। তারপরেও আপনার কথা শুনে মেনে নিল যে পাইকারি দামে কিনে দিবেন শুনে,এটা বেশ ভালো। সত্যি আগের দিন ফিরে পাওয়া গেলে অনেকেই হয়তো ৪-৫এই নেমে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর লেখাটি শেয়ার করার জন্য।
দিনগুলো যে সহজ-সরল ছিল।এখনকার মতো জটিল লাইফ তো কেউই চাইনা।
ঠিক ভাই এরকম ছোটবেলার স্মৃতি বেশিরভাগ মানুষেরই থাকে। আর ছোট ছেলেদের মেলায় নিয়ে গেলে দেখবেন বন্দুকটাই বেশি পছন্দ করে । যাইহোক আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এটা শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য 🥰😍
মেলা ঘুরতে গেলে ছোট ছেলে বাচ্চারা বেশি ভাগ পছন্দ করে বন্দুক গুলো আর মেয়ে বাচ্চারা পছন্দ করে পুতুল।সত্যি ছোট বেলার দিন গুলি ফিরে পাওয়া যেত খুব ভালো লাগত।আপনার ভাই সাথে ভালো মুহূর্ত কাটিয়েন মেলায় আর বাসায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ, আপনার সাথে আমি একমত।আমার ফুফাতো বোনরাও, মেলায় গেলেই শুধু পুতুল।এছাড়া কিচ্ছু বুঝেনা।
আপনার ভাইকে বন্ধুক হাতে বেশ ভালই মানিয়েছে। আসলে ছোটরা মেলায় চিনবা যেখানেই যাওয়া হোক না কেন তাদের বাহানার শেষ নেই। আপনার ভাই তো বেশ দামী একটা বন্দুক ধরলো। শেষমেষ ওকে বুঝিয়ে মানাতে পেরেছেন এটাই ভালো। তারপরেও আবার ওকে নিয়ে গিয়ে দোকান থেকে কিনে দিয়েছেন, গানটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। ও খেলছিল দেখে ভীষণ সুন্দর লাগছিল দেখতে। আপনার আজকের পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
আপনার ভালো লাগাই আমার স্বার্থকতা আপু🤍 ভালোবাসা নিয়েন 🥰