গল্প
আসসালামু আলাইকুম,
এই মুহূর্তে আমার মাথায় নজরুল ইসলামের লেখা মানুষ কবিতার
ভুখারি চরিত্রের কথাটা ঘুরপাক খাচ্ছে।অনেকে হয়তো কবিতাটি পড়েননি,তাদের সুবিধার্থে সংক্ষেপে ভুখারিকে নিয়ে একটু বলি।
ক্ষুধার পীড়া সহ্য করতে না পেরে ভুখারি তথা অনাহারে থাকা এক লোক মন্দির মসজিদে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো।কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত খাবার থাকার পরেও সে কোনো খাবার পায়নি।মূলত এটুকু বুঝলেই হয়ে যাবে।আমি এখন উপলব্ধি করতে পারতেছি যে,ভুখারি কতটা পীড়ায় ছিল না খেয়ে।ক্ষুধার জ্বালা যে কতটা সেটা উপলব্ধি করতে পারতেছি খুবই ভালোভাবে।যদিও ভুখারির সাথে খাবার না পাওয়া নিয়ে এখানে আমার কোনো সাদৃশ্যতা নেই।কেবোল ক্ষুধার জ্বালা বোঝার দিক থেকেই তার সাথে নিজেকে মিলিয়েছি।
মেসে দুদিন থেকে মিল অফ আছে।পিছে অবশ্য বেশ কিছু কারণও আছে,সেদিকে না যাই।মেসে এমন কাহিনি অবশ্যই চমকে তোলার মতো কিচ্ছুই না।একবার বাইরে খেতে গেলে কমপক্ষে ৫০ টাকা যাবেই যদি ডিম দিয়েও ভাত খাই।সেদিন দুপুর থেকে আজ দুপুর অব্ধি প্রায় ৪০০ টাকার মতো খেয়ে ফেলেছি।কাছে খুব বেশি টাকাও নেই এখন।বাসায় বললে অবশ্যই দেবে কিন্তু এই মাসে এমনিতেই কলেজ আর কোচিং বাবদ অনেক খরচ করে ফেলেছি।যেহেতু বড় ছেলে,বুঝতে একটু হবেই আমায়।ইদ উপলক্ষে বাসায় যেতে যেতে ২৭ তারিখ।এই কয়দিন চলতে হবে,এখানে সেখানে যাওয়ার ভাড়া রাখতে হবে আর বাসায় যাওয়ার ভাড়া তো আছেই।সন্ধ্যায় ভাবলাম রাতটা না খেয়েই কাটাবো আর দিনে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে দুপুর বানিয়ে ফেলবো।তারপর বাহিরে গিয়ে কিছু খেয়ে নেবো।
রাত ১২ টাই বাজে বলতে গেলে,পেটের ভেতর যে কি অবস্থা হচ্ছে এখন বুঝানোর মতো না।দেখি দুপুর অব্ধি চলা যায় কিনা!
তবে মেসে আসার পর একটা দিক আমার খুব ভালো লেগেছে,এটাকে জীবনমুখী শিক্ষাই বলা যেতে পারে।মেসে এই যে খাবারের কষ্ট,টাকা পয়সার কষ্ট এই প্যারাগুলো জীবনকে বুঝতে খুবই সাহায্য করছে।ম্যানেজমেন্ট জিনিসটার সাথে বেশ ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি করে দিচ্ছে।প্রথম প্রথম সহ্য হতোনা তবে এখন এই জিনিসগুলো মন থেকেই উপভোগ করি।
দোয়া রাখবেন, আল্লাহ যেন কষ্টগুলোর যথার্থ মূল্য দেন।সবার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি,
আল্লাহ হাফেজ।
Cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.24/06/23
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
খাবারের এই কষ্টগুলো আপনাকে আরো পরিশ্রমী করে তুলতে সাহায্য করবে ভাইয়া। তারপরও অন্যান্য খরচ একটু কমিয়ে খাবার জন্য কষ্ট না করাই ভালো। কারণ শরীর সুস্থ না থাকলে কোন কাজ করেই শান্তি পাওয়া যায় না। তাছাড়া আপনার বাবা-মা যদি জানে যে আপনি খাওয়ার এত কষ্ট করছেন তারাও খুব কষ্ট পাবে। আশা করি আপনার মেসের এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।